হাত বাড়ালে
হাত বাড়ালে তোমরা সবাই
রাতের তারা গুনতে পারি।
ধান ছড়িয়ে ময়নাপুরের
আশার ভুবন বুনতে পারি।
হাত বাড়ালে তোমরা সবাই
মেঘের হাসি চাইতে পারি।
পথ কুড়িয়ে চোখের ভেতর
খুশির ভেলাও বাইতে পারি।
হাত বাড়ালে তোমরা সবাই
পলাশ, জবা আঁকতে পারি।
ঢেউ জড়িয়ে বাউরী আলোয়
কদম রেনু মাখতে পারি।
হাত বাড়ালে তোমরা সবাই
হৃদয় পুরো মেলতে পারি।
রঙ বিছিয়ে ঝরনা তলায়
সবার সাথে খেলতে পারি।
হাত বাড়ালে তোমরা সবাই
পেখম তুলে নাচতে পারি।
রোজ বাজিয়ে ধামসা, মাদল
আবার সুখে বাঁচতে পারি।
হাত বাড়ালে তোমরা সবাই
চিতার মতো ছুটতে পারি।
গুনগুনিয়ে শিউলি-টগর
ফুলের মতো ফুটতে পারি।
বাঘ
বাঘ ডোড়াকাটা জামা পেলে!
বাঘ ওড়ে জোড়া ডানা মেলে!
বাঘ তারা যদি ফোটে গাছে!
বাঘ কথাকলি, বিহু নাচে!
বাঘ উঠে পড়ে একা চাঁদে!
বাঘ মনে মনে ছড়া বাঁধে!
বাঘ আলাভোলা, আঁকে ছবি!
বাঘ খেলাপ্রিয়, যেন কবি!
বাঘ দুয়োনদী, পানিপাতা!
বাঘ ছবি ছড়া ভরা খাতা!
বাঘ মোনালিসা, রাঙা চেলি!
বাঘ এসো, বাগাডুলি খেলি!
বাঘ পারে পারে জোড়াসাঁকো!
বাঘ রাঙামাটি, ভালো থাকো!
বাঘ ডোড়াকাটা জামা পেলে!
বাঘ ওড়ে জোড়া ডানা মেলে!
কবি ও কিশোরীটি
নীলাকাশ কিশোরীটি।
কবি দ্যাখে তাকে।
যেন রূপকথা জাগে
জরির পোষাকে।
ধুপকথা, চুপকথা,
রামধনু পাখি;
বলে উড়ে যাও আজ
হাজার জোনাকি।
আর শুধু গান লিখে
টান টান সুখে,
ডুবে যায় রোগা কবি
আলোর অসুখে।
তারা হাসে। কিশোরীটি
সারা রাত ধরে,
কবিকেই আঁকে শুধু
ঘাসের ভেতরে!