আমিগ্রাম-২
গভীরতম হ্যাজাকের বিকিরণ থেকে
কুহেলিকা ধরে ধরে
অপকীর্তি আমিগ্রামে নামে,
এনামেলের নীলিমায়।
মুদ্রাস্ফীতির মেটাগন্ধ
চারিধারে বিশদ নিভে যায়।
শ শ বৃক্ষ
নিজেদের জল্লাদীয় আহ্লাদে
ভেঙে দিচ্ছে
পাখিদের রুজি-রোজগার
আমাদের ক্ষুধার্ত ভিটামিন থেকে
ইল্লত হিঁচড়ে বেরোয় এন্ট্রপি
হেডলাইটের শাসন তবু অনাড়ম্বর হাইওয়ের কান্না থামায়।
না দোয়েলি দেশে এই গ্রামে ইক্ষণে ইক্ষণ ফিরায়ে
কবুলিয়ত কবুলিয়ত রব নাজিল হয়েছে
ফিরছে
কপিঞ্জল
আহা আমিগ্রাম
অতুলনীয়
জানানাদের ভিটেমাটি
খঞ্জ ও আতুরাশ্রম
আমিগ্রাম-৪
স্বর্ণেমিয়ানো গালেটোল নিয়ে প্যারাফিনবিলাস
বকের ঘ্রাণেন্দ্রীয় সূর্যসুরতের কথা ভনে।
বাক্যপাড়ায় অমরতা মোরগঝুঁটিগভীর সকালে
অর্থতরুর মতো সন্তসচকিত যত শ্মশানভূমি
হলো সেবকেরা আড়মোড়াতেও মিসোয়াকমুখিন।
এইসময় গ্রামজীবনে
চাঁদপানা মদের বেত্রকুঞ্জ থেকে
শসার মতোন কচ করে মাতলামি মাড়াতে মাড়াতে
একটা অস্বাতন্ত্রিক উড়ানি দিয়ে নরটিয়েটা উড়ে আসে
আদি ও অন্তের হিস্যায়
যে গুরুতর অপরাধ ছিটায়ে যায় জনপদে
প্রাথমিক পাখিদের কাছে
কাহাঁতক তা লুক্কায়িত রাখো আকলিমার মা?
আমিগ্রাম-১৭
যে কথাটা চাকু দিয়ে কেটে নিলে তার ফন্টের নাম ভালোবাসা।
অর্থপূরণের জন্য আমিগ্রামে
কর্ণকুম্ভের ঘুম ভেসে আসছে, মই দেওয়ার উচ্ছ্বাসে।
ত্রাতার সেতার বাজছে উন্মন
জোম্বিরা জাম্বুরা খেতে বকব্রতী হলে
মসোলিয়ামের জানালায় পুড়ে যাচ্ছে রিক্রিয়েশন।
মিকি মাউসের প্রতি জঘন্যতম ঈর্ষা নিয়ে আমিগ্রামে এক
চাতকচিহ্ন হয়ে বসে আছে ক্রান্তদর্শী উন্দুর!
আমিগ্রাম-১৮
কী নিতে আসে সন্ধ্যার লাতিনা?
শাল্মলীর স্খলন?
শেরপিঞ্জরের বাইরে প্রেমের চিহ্ন আজো নীলাফোলা, টুটাফুটা
ফাটা এক ধূপদান জীর্ণশীর্ণ ছড়ায় অসভ্যতা
পিঙল পিরানের পকেটে ঘুমাতে যায় আদ্যিকাল
ক্রিয়াপদের গ্লানি ময়জলচর সুভব্য খুব
আমিগ্রামে নিঃস্রোতা নদীর হিয়া
কারুকার্যহীন মীনের মানসে বয়ে ক্ষয়ে যায়।
আমিগ্রাম ২৩
বাঘের ক্রন্দন বেয়ে এগিয়ে যাচ্ছি,
হায়ওয়ান আমি—
যে একদিন
‘লও! লও! বাঘিনী’ বলে নখ শান দিয়ে
আমিগ্রাম এসেছিলো—প্রিজম আলোয়!
চারিদিকে সংগীতময় শীতল কু ডেকে
অসিত চাঁদের সুষুম্নায়
আলোকিত ফুলে মুখ,
চলনবলনে ঝিকিয়ে উঠেছিলো বিন্ধ পাহাড়—
আর তার সিত উপত্যকায়
উদযাপিত রাষ্ট্রবধের গোঙানি!
নিকাহবিলাস—
আদর করে এই যাত্রায়
নালন্দার হরিণ এর দিকে অনললীন পাল তোলে।
তবু ভাবি—
বাঘিনীর থেকে কার জানা বেশি আছে সতিনের সাধ?