নির্লক্ষ্য মুক্তি
কী এক ব্যর্থ স্বাক্ষর শেষে খুলে যায় প্রথাগত জানালা!
ঝুলে থাকা করুণ চুলে নৈঃশব্দ্যের প্রতিরূপে আঁকা ক্লান্ত অধ্যাস
ঢলে পড়ে তীব্র উদাসীনতায়।
তবু গলিত চোখ প্রহেলিকার বাইরে খোঁজে সত্যের অভিজ্ঞান।
নিচে অনাবৃত রাস্তায় খসে পড়া আঙুলের ছায়ায়
কেমন নিশ্চুপ নড়াচড়া!
ভেতরে অস্ফুটবাষ্প
বিশ্বাসী বাতাসের সাথে মিশে যায় প্রার্থনার মতো!
আলোহীন আকাশের উপচারে উৎসর্গিত জীবনপ্রবাহ
ছিঁড়ে ফেলে ফেনায়িত পাপ।
কেবল নির্লক্ষ্য মুক্তি ডানা মেলে অচেনা শূন্যতায়!
পাউরুটি
নেমে আসা শূন্যের মতো সে এক নিশ্চুপ ছায়া!
মরা নদীর গহ্বরে কত আর জাহ্নবী জমে, কবি!
প্রায়ান্ধ রাতে সময়ের সিঁড়ি বেয়ে বেয়ে গড়িয়ে পড়ে জড় মার্বেল!
মৃত পোশাকের শব্দে ফিরে আসে কাতর মেঘ-
ধ্রুপদী ধ্বনিগুলো চুরমার এক গোলাপি বিস্ময়!
শোকেরা ব্যর্থ ঘোড়ার মতো একাকী।
ভাটিয়ালি রাগে যে পাখি উড়ে গেল অনন্ত ডানায়,
তার মুখে শোনা গেল-
জীবন আসলে চেয়ে থাকা কোনো কাঁচের চেয়ার;
সময়-মুছে যাওয়া এক প্রিয় পাউরুটি!
চুরুট
খোলা দিন।
সন্দিগ্ধ চেতনার চাপে অনুসন্ধানের নিচে জমে ওঠে কুণ্ডলী মেঘ!
কমলার ধোঁয়াজুড়ে কেবল গলিত গন্ধ!
শঙ্কর ষাঁড়ের মুখে বিচিত্র সব রেখা নরক আঁকে দৃশ্যপটে!
জীবনের সংক্ষিপ্ত যাত্রায় কিছু পদচিহ্ন দর্শকের অ্যানিমেশন!
বিদ্রূপের প্ল্যাকার্ডে ঘষা খায় রাসভের গাল!
আসলে চুরুটের শরীর জানে না-
মুহূর্তেই সে মুছে দিতে পারে ঠোঁটের ঠিকানা;
ভাঙা হরফ-ক্রমেলক সভ্যতার দু’পাটি করুণ দাঁত!