গুড ফুড
প্রেমিকা বলে পাঁচশ টাকার লিপস্টিক
আমি নিজেই খেয়ে ফেলি তিনশ টাকা
এক হাজার টাকার বডি লোশনের
অর্ধেক যায় আমার পেটে
অর্ধেক দেখে লোকে।
বলে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরো
পেছন থেকে ধরে প্রেম করা আরাম
আগে চেয়ারে বসলে নিজেকে চেয়ারম্যান মনে হতো
বিছানায় শুলে পারফর্মার
এখন আমার চেয়ার পড়ে যায়
ছাতা হারিয়ে যায়
মাথা ভিজে যায়।
ঠোঁট দেখলেই মনে হয় হাঙর
আমি আটকে যাবো আটকে যাবো
মাগুরের মতো তড়পাতে থাকবো পেটের বেহালায়।
তিনটা বোতাম খুলতে এত অলসতা?
জ্ঞানের প্রয়োজনে
একটা মুসলমান মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম হয়েছিল
একদিন তার হাতটা ধরতে চাইলে সে দূরে সরে গেলো
বললো, আমার স্রষ্টা অনেক পবিত্র-সুবহান আল্লাহ
বললাম, দরিদ্র রবীন্দ্রনাথ তোমাকে ভালোবাসে
আজ একা পেয়ে তোমাকে খুশি করতে পারে
স্তন নিয়ে একা সৌন্দর্য গোপন রাখতে পারো না তুমি
আজ খোলো, তোমার স্রষ্টাও আবৃত নয়
ওষ্ঠ দাও, একটা চুমু তার দরবারে কবুল হবার অপেক্ষায় আছে
অন্তরে স্থান দাও তোমাকে সোনা করে তুলি
আমাকে নগ্ন দেখে চক্ষু বন্ধ করে ফেলো না
স্রষ্টার রিজিক অতি উত্তম।
মেয়েটি বলে, আমার স্রষ্টা অনেক পবিত্র-সুবহান আল্লাহ
মাখলুকাত থেকে নিজেক ফানা করে স্বীয় আমলে ফিরেছি
অনুমোদন করো, যদি মুমেন হয়ে থাকো তার নাম নাও
আর আমাকে গোপন কোথাও নিয়ে চলো
আমি পৌঁছে যাবো তোমার অঙ্গে
গুনাহ এড়িয়ে বন্ধু হবো, ঈমানে নৈকট্য দেবো
বললাম, স্রষ্টার স্মরণ থেকে তোমাকে শূন্য করার ইচ্ছে আমার নেই
একবার কাঁধে উঠো মাঠ পেরিয়ে যাই
আজ এই স্তন নিয়ে বিদায় নিও না
হাত দু’টো দাও লিপ্ত হই, প্রথম থেকে শুরু করি
জ্ঞানের প্রয়োজনে একে অপরের কাছে আসি
যদি আমাকে দেখে তোমার চক্ষু শীতল হয়।
মেয়েটি বলে, প্রকাশ পাবো দুই জাহানে
কায়েম হবে প্রেম
ছিদ্র পাত্রের মতো তিলে তিলে খালি হবো
আসো দরিদ্র, ঢোকে পড়!
দুর্গা
ছোটবেলায় বাবার আঙুলে ধরে মণ্ডপে গিয়েছিলাম। দুর্গার ক্ষমাহীন হাতে ওই লোকটা মাটিতে পড়ে উজ্জ্বল মুখরা মহিলাদের দীপ্র উলুধ্বনিতে শুয়ে পড়েছিল। বাবা ওই লোকটা কে? শয়তানের থুথু মুখে, সলাজ শ্যাওলার অসুর কোন দীর্ঘ তিরস্কৃত অন্ধকার! দুর্গার হাত গুণে প্রার্থনার বহু ব্যবহার ঘুরে মানুষের কোমল মনে, ছেলেরা নাচছিল। আমি দেখতে পাচ্ছিনা বাবা, দেখতে পাচ্ছি না।
বাবা এবার আমাকে তার কাঁধে তুলে নিলেন। এবার স্পষ্ট হলো দুর্গার স্তন, যেন দুই দুইটা গোলাপ ঠিকমতো ফুটতে না পারার কষ্ট থেকে মুক্তি পেলো। অনেক আলো নিভিয়ে জ্বলে আছে একমাত্র গভীর নাভির নদ, ওখান থেকে আলো আসে, যেন উড়ে গেলো এক লক্ষ একটা শুভ্র কবুতর। চোখের কোণে ঝকমক করছে তীক্ষ্ণ ত্রিফলা। জায়নামাজে বসা নবীন নামাজি আমি সালাম ফেরাতেই দেখতে পেলাম দুর্গার উরু, লাল চোখ মুখ। আমার ভালো লেগে গেলো। দুর্গা দুর্গা, চাঁদের শরীর ভেঙে ঝরে পড়ছে আলো। হাত তুলে দুর্গা ডাকছেন, আয় আয়!
প্রিয়তমো, সুন্দর সময় চলিয়া যায়
কে তবে হনন করে আকাঙ্খার গোপন থেকে!
প্রিয়তমো, ধূসর অপেক্ষা থেকে নেমে আসো এই ক্ষমা
মাটির বর্ণের মতো এই মুখ
আগুনের ঋণ থেকে আলাদা করা খড়ের ভেতর
স্রোত, প্রসবে একাকী তোমার গাভী।
অনাদ্র পাথর থেকে মাছের প্রতিভা হয়ে একা
মৃত্যুচিহ্ন থেকে ফিরে গেছো বীজে।
কখনও সংকেত কখনও বিস্তার থেকে এসে
ছাই থেকে ফেরাও তুষের মগ্নতা,
চাদর থেকে ফেরাও শীতের রক্ত
আজ আমাদের রোপিত ছায়া উড়ে যায় আলোর কৃষিতে
প্রিয়তমো, সুন্দর সময় চলিয়া যায়
কাঁচ ছুঁয়ে শুধু হাত কেটে যায়, ঠোঁটের কিরিচে ঝরে যায়
প্রজ্বলিত সেঁজুতি। প্রিয়তমো, রাত তো যায় না
যা মিষ্টি যা লাগছে, এমন রোজ কেনো হয় না!
হেসে হেসে হাওয়া ভরে খেলাও তোমার খেলনা।
সোনালি আপেল
আজ সন্ধ্যায় সাতটি রাজহাঁস আমার বুকের ভেতর ডুব দিয়ে পালিয়ে গেলো
সাতটি পাখার উষ্ণ অধ্যায়ে সবুজ পালক থেকে ঝরে পড়ে তৃষ্ণার জল
ত্বকের ভেতর ভূমিকম্প আর চোখের আয়ুতে উজ্জ্বল
আজ তোলপাড়, শিরা উপশিরায় লাল লোহিতের ঢেউ
কোন লোকে কোন চরে, কার আঙুলে নীল শব্দের চাবি বেজে উঠে?
আজ সন্ধ্যায় সাতটি রাজহাঁস আমার হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে উড়ে গেলো
সাতটি নখের চুমুতে বুকের স্তব্ধ বাগান থেকে মিথুন ফল ছিঁড়ে নিয়ে
সেই শোভা আর তার মুখ প্রগাঢ় চুমুতে নির্মাণ করতে আজ এই
উৎসবে, সাতটি রাজহাঁস আমার বুকের রক্ত পান করে চলে গেলো
আজ সন্ধ্যায় পাঁজরের জানালায় তারা ডেকে ডেকে অভিষিক্ত হলো
রাতের কাতরতা ছুঁয়ে আমি কি আর একবার তাকিয়ে দেখবো
বাসনারা অন্তিম দুঃখ নিয়ে কি করে দু’ঠোঁটে জমা রাখে চুমুর দাগ!
এই বিভক্ত পৃথিবীতে এই খণ্ডিত মানবিকী সময়ে এই রুগ্ন ইতিহাসে
আমাদের প্রেম কি সইবে ডানার আঘাত?
আহত আঙুল থেকে ঝরে পড়বে শোক!
আজ সন্ধ্যায় সাতটি রাজহাঁস কুরেকুরে খায় আমার বুকের মাংশ
সাতটি ডানায় উমের পালক ছড়িয়ে চারদিক ঘিরে মিলে ছিঁড়ে খায়
. প্রার্থিত সোনালি আপেল।
নদীর সমান হেঁটে গেলে
একটি তরুণ সাদা ঘোড়া আমাদের গ্রাম অতিক্রমের সময়
শরীর কাঁপিয়ে জ্বর এসেছিলো
টেবিলের ওপর দুধের গ্লাসটা নীল গাভি হয়ে
খেতে লাগলো আমার বুকের ঘাস
বাটি থেকে সেদ্ধ ডিমটা লাফিয়ে পড়ে তলপেটে
জলের রেখায় হাঁস হয়ে ভেসে গেলো পালক দুলিয়ে
টবের গাছগুলো ঊরুতে উড়ে এসেছিলো সবুজ আগুন নিয়ে
চুপিচুপি শো-কেসের হরিণ শাবক এসে স্মৃতি খেয়ে যায়
হৃদয় থেকে, আমি চেয়ে থাকি ছল করে দেখি না দেখে
নদীর সমান হেঁটে গেলে ওই তো আমাদের গ্রাম
পাতার মতো ঠোঁট কাঁপে জ্বরে আর সাদা ঘোড়া
তার চার পায়ের উৎকণ্ঠায় ফিরে আসে একাকী উদ্যানে।
তারপর সকালবেলা জানালার পর্দাটা একটু সরতেই
কুয়াশার ভেতর থেকে মাধবী লতার সবুজ হাত এসে
বুকে বেদনার শিল্পীর ক্ষত নিয়ে আমার বিছানায় বসে পড়লো
সূর্যটা পিঠে উঠে এসেছিলো মৌলিক আগুন ছড়াতে ছড়াতে।
যুগলমূর্তি
যাদুঘরে দেখেছিলাম এই যুগলমূর্তি। উঠতি বয়সী ছেলেরা তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। মূর্তিগুলো পরস্পরের স্নেহের কোমরে হাত রেখে দেহে পাথরের ভার বয়ে গৌরবের যুগ থেকে যুগ কত পুরুষ পার হয়ে, আজ তাদের একটুও লজ্জা নেই ভক্তদের কাছে। শরীরে কাপড় নেই, ভাঁজে ভাঁজে বিশ্রামের ক্ষত নিয়ে পাশাপাশি নিতম্ব বাঁকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যাদুঘরে, দুটি মূর্তি নিশ্চিত হাসির। ওরা কাঁদতে চায়, ওরা কথা বলতে চায়, আমরা একে অন্যকে প্রচুর ভালোবাসি। কতো হাজার বছর পর দুই পাথরের তেজি মধুর মিলন ঝলকের নির্লজ্জ নগ্ন গোপন মুহূর্তে। কেমন করে তার টুকটুকে বুকে সোপর্দ হয়ে ছুঁলো পায়রার বুক! যৌবন তাদের ধাওয়া করে নিয়ে গেছে, আমি আরও মনোযোগে দেখলাম- দেখলাম পুরুষটির হাত নারীর স্তনে আমার সামনেই আরও শক্ত করে ধরে। আরও জোরে নারী পেতে দিয়ে রাখে সর্বাজ্ঞের রূপাঘাত। সত্যি কথা আমি নিজেও গার্ডের চোখ ফাঁকি দিয়ে একবার ওই অক্ষয় রূপের আল্পনায় হাত বাড়িয়েছিলাম। ওরা এসেছে, কিন্তু প্রাণ পড়ে আছে রাজগিরের পিঠে। যাদুঘরে, আমি তাদের সঙ্গ দেই। কিংবা সবার অলক্ষে খুব ধীরে খুব আস্তে গান গেয়ে উঠি- এবার তোমরা একটা বাচ্চা নাও না কেন?
ডলি
ডলি আমার প্রেমিকা ছিলো, কেবল ঘোড়ার দিকে তাকিয়ে থাকতো। একটা আর্ট একজিবিশনে গিয়ে দশটা ধাববান ঘোড়ার ছবি দেখে ডলি খুশি হয়েছিলো। সত্যি কথা কি ঘোড়ার সঙ্গে আমিই তার বিশটা ছবি তুলে দিয়েছি। দশটা ঘোড়া যেন দৌড়ে যাচ্ছিলো তার তুলতুলে যোনির দিকে। বহুদিন আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে খুঁজেছি কোথায় উজ্জ্বল লাল ঘোড়া? ডলি একটা লাল ঘোড়ার জন্য মূর্ছা যায়। মতিঝিলে একটা বেলুনের ঘোড়া দেখে সে হঠাৎ নির্লজ্জের মতো খিলখিল হেসেছিল।
আমি বলেছিলাম এক জোড়া ঘোড়া পালবো, পপি ফুলের মতো লাল শরীর। ডলির ঘোড়াপ্রীতি দেখে আমার অস্তিত্বের মোহন ভূবন কেঁপে ওঠে। সে একটি লাল ঘোড়ার মতো উজ্জ্বল প্রেমিক চেয়েছিল। ঘোড়ার জন্য তাই এতো প্রেম এতো অভিমান। আমার আদিম ইচ্ছায় তখন জ্যান্ত ঘোড়ার শৈশবকাল, ডলি একদিন আমাকে ঘোড়া বলে ডেকেছিল। আমি প্রতিদিন ঘোড়া হই। ঘোড়া ঘোড়া খেলি। ডলি আমাকে বলে- ঘোড়া তুমি ছোটো, তোমার খুরের শব্দে আমিও ছুটবো। আয়নার কাছে দাঁড়িয়ে দেখি সত্যিই ঘোড়া ছুঁলো নাকি আমাকে!
আন্টি আমাকে কক্সবাজার নিয়ে গেলো
আন্টি বললো আমার ছেলে থাকলে কি আদর করতাম না! চলো ঘুরে আসি । সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে ঘুরতে কখন তাকে আপা বলা শুরু করলাম টের পেলাম না। যে হোটেল রুমে উঠলাম তার একদিনের ভাড়া আমার এক মাসের বেতনের সমান। আন্টি বললো এবার খেলাও তোমার খেলনা! এক বিছানায় আমি সারারাত ঘুমোতে পারলাম না। পাহাড়ে উঠলাম আর নামলাম। আন্টি বললো আমার স্বামীকে আমি এভাবেই দোলনায় চড়াতাম। চার দিন চার রাত পর ঢাকায় ফিরে আন্টি আমাকে শপিং করার জন্য বিশ হাজার টাকা দিলেন। আমি এতটাই ক্লান্ত ছিলাম দু’দিন প্রস্রাব করতে গেলেও ঠাস করে দরজার কাছে পড়ে যেতে লাগতাম।
এভরি স্টুপিড হেজ হিজ ওন পয়েম
স্বপ্নে দেখি বড় কানওয়ালা একটা কুকুর এসে
আমার গাল চাটছে, একটা মাদি শিম্পাঞ্জী কোলে উঠে এসেছে
সুতানলি সাপ প্যাচিয়ে ধরেছে গোপনাঙ্গ।
কমোড থেকে একটা টিকটিকি দৌড়ে এসে
ঢুকে গেছে গুহ্যদ্বারের ভেতর
সেমাইয়ের মতো কৃমি ঝুলছে ঠোঁট থেকে
গাভর্তি গজাচ্ছে অকেজো ঘাস,
স্বপ্নে দেখলাম গুচ্ছ গুচ্ছ কেঁচো ঝরছে আকাশ থেকে
সাপের বিষে নীল হতে হতে কুচকুচে কালো হয়ে গেছি
স্বপ্নে দেখি ফেইসবুকে ফাঁস হয়ে গেছে
বেশ্যার সাথে আমার সব চ্যাট হিস্ট্রি
সুনামের কলস ভেঙে গড়িয়ে পড়ছে আসল লালা
স্বপ্নে দেখলাম সাবেক প্রেমিকার বাবা পুলিশ নিয়ে এসে
. দাঁড়িয়ে আছে বাসার নিচে।