নতুন ঋতু
শিউলী ফোটা শেষের পথে
স্থলপদ্মও শেষ,
ভোর বিহানের হাওয়ার মাঝে
একটু শীতের রেশ।
সবজি ক্ষেতে সবুজ চারার
একটু নড়াচড়া,
রাতের বেলা হালকা শিশির
ঘাসের গায়ে পড়া।
পিঁপড়ে সারি খাবার মুখে
শীতের আয়োজনে,
রোদেও যেন তীব্রতা নেই
স্তব্ধতা আজ বনে।
নদীর জলে টান ধরেছে
কাশের ফোটাও শেষ,
কালচে সবুজ মাখলো গায়ে
আমার বাংলাদেশ।
শরৎ শেষে হেমন্তেরই
ছোঁয়া গায়ে তার
আমার বাংলা খুললো বুঝি
নতুন ঋতুর দ্বার।
হেমন্ত
সকাল বেলা একটু শিশির ঘাসে
সূর্য এলে সেই শিশিরই হাসে
হালকা একটি চাদর কুয়াশার
সকালটা তো শিউলী ফুলের গন্ধ ছড়াবার।
সূর্যের আলোয় তেমন তাপ আর নাই
সকাল বেলার সূর্য আমার ভাই
মিষ্টি রোদে ভরায় সারা দেশ
তার সে আলোয় ভালোবাসার রেশ।
শর্ষে ক্ষেতে সবুজ চারার উঁকি
ফুলকপি আর বেগুন চারা সুখী
সকালবেলাই মজার সময় জানি
মাঠের মালিক তখনই দেয় পানি।
সূর্য যখন একটু তেতে ওঠে
মাটি থেকে সব পানি নেয় লুটে
খা খা করে মাটির নরম বুক
চারার মনে থাকে না আর সুখ।
বিকেলটা তো ঝুপ করে যায় নেমে
আঁধার আসে আলোটা যায় থেমে
একটুখানি হিমেল হাওয়া বয়
হেমন্ত আজ, শীত ঋতু আজ নয়।
নবান্ন
একটু শিশির সকালবেলা
সবুজ ঘাসের গায়
শীত আসছে শীত আসছে
নীরবে পায় পায়।
সোনার রঙে মাঠ ভরেছে
আঁচল সবুজ ভরা
নীল আকাশে মেঘের ভেলা
সত্যি মনোহরা।
নবান্নের ওই সুর উঠেছে
গাঁয়ের মাঠেঘাটে
পিঠাপুলির পসরা সাজ
গ্রামগঞ্জের হাটে।
পৌষ পার্বণ,নবান্ন আর
পিঠাপুলির দিন
বুকের ভেতর শংখ বাজে
আরও বাজে বীণ।