আগের মতো
বিলে ঝিলে শ্বেত বলাকার সারি নেই,
‘ভোদড় নাচন’ কিংবা ‘মামার বাড়ি’ নেই।
সিলেবাসে মনের মতো পড়া নেই,
দাদুর মুখে ঘুমপাড়ানি ছড়া নেই।
মাঠের পিঠে উদাস বিকেলবেলা নেই,
দুষ্টুমিতে রকমারি খেলা নেই।
নাটাই হাতে আকাশছোঁয়া ঘুড়ি নেই,
জোছনামাখা ফর্সা চাঁদের বুড়ি নেই।
পাখির নাচন
শালিক নাচে কলিগ পেয়ে
ময়নার গায়ে সয় না,
ফিঙে নাচে ঝিঙেলতায়
কোকিল কথা কয় না।
টিয়ে নাচে বিয়ে করে
বৌয়ের গলায় গয়না,
হলদে নাচে ফল দে বলে
বাসার ভেতর রয় না।
টুনি নাচে শুনে কথা
এমন নাচন হয় না,
নাচে পাখি গাছে গাছে
কী যে মধুময়, না?
যেন
আগুনসূর্য দেখতে যেন ঝলসে যাওয়া সোনা,
ঘাসখামারের শিশির যেন হীরে কুচির পোনা।
রোদের শরীর দেখতে যেন হলুদ মাখা শাড়ি,
কদমফুলের পাপড়ি যেন বুড়োর খোঁচা দাড়ি।
শূন্য ঘুড়ি দেখতে যেন ধনুক আকাশ পানে,
শো শো করা বাতাস যেন সারেগামা জানে।
তপ্ত গ্রীষ্ম দেখতে যেন চাতক মনের খরা,
বর্ষাকালে মেঘের যেন কলস উপুড় করা।
আলোর জোনাক দেখতে যেন নেমে আসা তারা,
মধ্যরাতের পেঁচা যেন মাতা-পিতা হারা।
কোথায় গেল
আলসে খুকু ঘুমিয়ে রয়
ওঠে না তো রোজ রুলে,
কোথায় তবে ভোরের পাখি
কোথায় গেল নজরুলে?
ইচ্ছেমতো মা বকেছে
মনটা খারাপ খুকু’মার,
কোথায় তবে হাসির ছড়া
কোথায় গেল সুকুমার?
মিষ্টি খুকু যাক বেড়াতে
আনন্দরা অসীমে,
কোথায় তবে মামার বাড়ি
কোথায় গেল জসীমে?
মামার বাড়ি যাবে একা?
প্রশ্ন করে গবিন্দ,
একলা পথের গানটা কোথায়
কোথায় গেল রবীন্দ্র?