বিভাজনরেখা স্পষ্ট হয়েছে দিনে দিনে।
নাফের হাওয়া, বিস্তীর্ণ প্রান্তরের জমিজিরেত
আর শতবর্ষী কবরও তোমার থাকল না।
তুমি কী ভেবেছিলে?
তোমার জাতিসত্তার নাম এক খণ্ডবিখণ্ড আগুনচাঁপা?
আর তোমার ভূমির নাম দাহকাণ্ড?
ভেবেছিলে
ধর্মের নাভিকুণ্ডে তুমিই বইবে লাশ
তোমার পিতা প্রপিতা মাতা জায়া পুত্র কন্যার?
কতগুলো বিচ্ছিন্ন আঙুল, পা ও মস্তকের দাহ
দীর্ঘশ্বাসের ভেতর পুরে রেখে
পেরিয়ে যাবে জন্ম-জন্মান্তর?
না।
এ খেলা এমন—সর্বত্র একই দহনখণ্ড!
রক্তকাণ্ড কি ঘটেনি এমন—
গঙ্গায়, নীলে, অতি কাছের বাঁকখালিজুড়ে?
তবে—
মরুচোখ নিয়ে প্রতিটি সকাল কেন
পরবাসী হবে?
নাফের জলেতে তবে ধোও ওই রক্তছেঁড়া হাত
জন্মের বীজ থেকে বেড়ে ওঠা জীবনের নান্দীপাঠ করো হে,
পাঠ করো বিতাড়িত সকলে—
জন্ম ভূখণ্ড তোমার, আমৃত্যু তোমারই অধিকার!
ও জাতি রোহিঙ্গা—
তোমার দেশের নাম মিয়ানমার, মিয়ানমার।
মন্তব্য