ফল
পেছনে তোমার ওড়ানো ঘুড়ি-
গোধূলি বিছানো চাঁদ, উঁকি দিয়ে দেখতেছে তারে
বহুদিন হলো, তীর থেকে ছাড়িয়ে পাখির বুক
দিগন্তে রক্ত ছড়ালো কে?
এই জ্যোতিগল্পে, প্রশ্নকাতর ঘুম
ধোঁয়া উড়ে উনুন হচ্ছে কালো
মৃত শিশুরা দেখা দেয় এসে স্বপ্নে
মায়ের ঘটি উপচে পড়ছে জল!
ডেওয়া ফলেরা আঙিনায় পড়ে ধূলা
বোঁটাচ্যুত স্মৃতি, মনে রাখে নাকি ফল?
রাষ্ট্র
ভিড় করে লাভ নেই
সব ছায়া খেয়ে গেছে
লাল পীপিলিকা, মাঝখানে নদীর ভাঙন
স্কুলঘর বুকে নিয়ে ধপ করে পড়ে।
মাথার বায়ে মাইগ্রেন
ডানে ছায়া দেয়া ছাউনী যে ছিল
সেও গেছে দখলদারের গ্রাসে!
মিথ্যে বলে লাভ নেই
আমরা বারবার বের করে এনে
বুঝিয়ে সুঝিয়ে বুকে রেখে দিচ্ছি
আমাদের হৃদপিণ্ডকে;
রাষ্ট্রকে জড়িয়ে ধরেছে রোদ
রক্ত শুকিয়ে কটকট করছে
সমস্ত ইনজুরি!
সমাজ
যেকোনো দুপুরের মতো
যেকোনো দিক থেকে
আমি তোমার দিকে চাই আম্মা।
এই যে অনন্তনাগ এই সমাজ
চূর্ণ রোদের মতো নদীর পানি বৃদ্ধির
দিকে চেয়ে আছে এখন, সামনে থেকে
মেঘ আসে, আমরা কেউ খুব ব্যক্তিত্ব বিষয়ে
আলোচনা করি নগরীর, দেশে যেকোনো
সন্ধ্যার মতো উচ্চবর্ণ আলো ঘিরে রাখে নিউজের
অধঃপাত, টাউন ক্লাবের সামনে আরও আলো, উচ্চবর্ণ!
চুপ করে আছে বারান্দা
দূর থেকে সশব্দ স্বৈরাচার
আমি তখনো কুহক শব্দে হেঁটে
রাস্তা পার হচ্ছি।
আরও পড়ুন
কথা বলার সময়-অসময় ॥ মোহাম্মদ নূরুল হক