(পর্ব-৩১)
ও আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়
এক.
কবি ও গীতিকার ড. মনিরুজ্জামান পড়াতেন বাংলা কবিতার ছন্দ। তার নিজের লেখা ‘বাংলা কবিতার ছন্দ’ বইটি হাতে নিয়েই তিনি আমাদের ক্লাসে আসতেন। আমাদের হাতেও শোভা পেতো বইটি। পরবর্তী সময়ে পরীক্ষার নোট তৈরি করতে গিয়ে পাঠ করি অমূল্যধন মুখোপাধ্যায়ের ‘বাংলা ছন্দের মূলসূত্র’ আর কবি আবদুল কাদিরের ‘ছন্দ সমীক্ষণ’। এদিকে ওই সময়ে জীবেন্দ্র সিংহের রায়ের ‘বাংলা অলঙ্কার’ ও ‘কাব্যতত্ত্ব’ গ্রন্থ দুটি ছিল সাহিত্যবোদ্ধার জন্যে খুবই আদর্শ গ্রন্থ। কবিতায় নিজের হাত পাকাতে পড়েছি শঙ্খ ঘোষের ‘ছন্দের বারান্দা’ ও নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘কবিতার ক্লাস’। প্রকৃত অর্থেই নীরেন দার গ্রন্থটি নবীন কবিতা লিখিয়েদের জন্যে ছন্দের ক্লাস হিসেবেই কাজে দিয়েছে।
আবদুল কাদিরের ‘ছন্দ সমীক্ষণ’ বইটি ছন্দের উৎস ও ব্যাপকতা পরিধির আলোচনায় সীমাবদ্ধ ছিল। আবদুল কাদির ছিলেন বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও সম্পাদক। ছান্দসিক কবি হিসেবে তিনি সমধিক পরিচিত। ‘দিলরুবা’ও ‘উত্তর বসন্ত’ নামের কাব্যদুটো মূলত তার কবি-খ্যাতি অর্জনে বিশেষভাবে পরিচিত। পরবর্তী সময়ে আবদুল কাদিরের এক কন্যা ইডেন কলেজে আমার সহকর্মী ছিলেন, তিনি ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক তখন আমি বাংলায়।
মুসলিম সাহিত্য সমাজ (১৯২৬)-এর নেতৃত্বে ঢাকায় যে ‘বুদ্ধির মুক্তি’ আন্দোলন সূচিত হয়, কবি আবদুল কাদির তার নেতৃস্থানীয় উদ্যোক্তা ছিলেন। বলা যায়, বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ও সাহিত্য পত্রিকা শিখা’র অন্যতম প্রকাশক-লেখকও ছিলেন তিনি। পক্ষান্তরে মনিরুজ্জামারের বইটি অধিক সহজবোধ্য করে রচিত ছিল বলে, এই বইটি আমাদের অনেকের কাছে প্রিয় ছিল।
সেদিন ছন্দের ক্লাস শেষ করে স্যার চলে গেছেন ক্লাসরুম থেকে। স্যার তখন কবির চেয়ে গীতিকার হিসেবে জনপ্রিয় বেশি। লেখালেখির বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতেন বলেই কি না, জানি না, অধিকাংশ সময়ে স্যার একটু লেটেই ক্লাসে আসতেন। ক্লাসে আসতে স্যার বেশি দেরি করলে আমাদের দুষ্টু সহপাঠীরা গান ধরতো, ‘সে যে কেন এলো না, কিছু ভালো লাগে না। এবার আসুক তারে মজা দেখাবো।’ ‘রঙবাজ’চলচ্চিত্রের এই গানটি বাংলা সিনেমা পাড়ায় তখন হিট। সাবিনা ইয়াসমিনের কণ্ঠে দারুণ হিট এই গানটি।
এর পরের দ্বিতীয় ক্লাস ছিল, আবুল কাসেম ফজলুল হক স্যারের। তিনি সম্ভবত ছুটিতে ছিলেন সেদিন। ফলে ৪৫ মিনিটের ক্লাস ফাঁকা না রেখে আমাদের এক সহপাঠীকে গান গাইতে স্যারের চেয়ার টেবিলে ঠেলে দিলো অন্য সহপাঠীরা। হারমনিয়ামের রিডে হাত রেখে ছেলেটি যখন দাঁড়ালো, তার চেহারা দেখে খুবই আশাহত হলাম আমি। ছেলেটি যে ছিল খ্রিষ্টান, তার গান শোনার পরে সেদিন জেনেছিলাম তার নাম পরিচয় এবং গোত্র।
এই প্রথমবার আমি ফিল করলাম প্রতিভার আলোর কাছে চেহারার বাহ্যিক সৌন্দর্য যে কিছুই নয়—সেই উপলব্ধি আমাকে নতুনকরে নাড়া দিলো। ধারণা করি ওই দিনের ছোট্ট এই ঘটনাটি আমাকে শিল্প ও শিল্পীর প্রতি সহমর্মী এবং অধিক দরদি করে তুলেছিল।
ইতোপূর্বে তার সঙ্গে মনে হয় কখনো কথাও হয়নি আমার। আমি সেই সময়ে সবার সঙ্গে হরে-দরে মিশতে শিখিনি। এজন্যে আমার অতি কাছের প্রিয় বন্ধুর সংখ্যাও ছিল খুব কম। কিন্তু ছেলেটি যখন কণ্ঠ ছেড়ে গানটি গাইতে শুরু করলো, মুহূর্তেই যেন এক অপরূপ শিল্পী হিসেবে তার সুরের সৌন্দর্য আমার মনের মধ্যেও জায়গা করে নিলো অনায়াসে।
এই প্রথমবার আমি ফিল করলাম প্রতিভার আলোর কাছে চেহারার বাহ্যিক সৌন্দর্য যে কিছুই নয়—সেই উপলব্ধি আমাকে নতুনকরে নাড়া দিলো। ধারণা করি ওই দিনের ছোট্ট এই ঘটনাটি আমাকে শিল্প ও শিল্পীর প্রতি সহমর্মী এবং অধিক দরদি করে তুলেছিল।
দুই.
বাংলা বিভাগের অধিকাংশ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের পুরোধা পুরুষ ছিলেন ড. রফিকুল ইসলাম স্যার। তিনি আমাদের পড়াতেন ভাষাতত্ত্ব। সবচেয়ে খটমট বিষয় ছিল এটি আমার জন্যে। বিশেষভাবে ভালোভাবে বোঝার জন্যে ক্লাসের পরেও স্যারের কক্ষে যেতাম আমরা তিন বান্ধবী—লিলি, সাঈদা ও আমি। স্যার অনেক সহজ করেই বোঝাতেন, কিন্তু স্যারের কক্ষ থেকে বের হওয়ার পরে সব গুবলেট হয়ে যেতো। অনার্স ফাইনাল ইয়ারে ভাষাতত্ত্ব ছিল আমাদের অষ্টম পত্র। পরীক্ষা দিয়ে মনে হলো নিশ্চয় ৭৪ পাবো। ওমা ফল প্রকাশের পরে দেখি হিসাব উলিটে গিয়ে ৪৭ নম্বর পেয়েছি। হায়রে আমার কপাল, চমক দেওয়া নম্বর কখনোই পেলাম না। যাক নাই বা পেলাম।
রফিকুল ইসলাম স্যারের নেতৃত্বে কবিতা আবৃত্তির একটি অনুষ্ঠানে নাম লেখালাম। অংশও নিলাম, কৃতকার্য হলাম না। এরকম ছোট ছোট ব্যর্থতা মিলে সেই নিষ্ঠুর সময়টা আমাকে কবিতা রচনার দিকে ঠেলে দিলো দ্রুত। স্যার প্রথম থেকেই জানতেন আমি কবিতা লিখি। ফলে ক্লাসের বাইরে দেখা হলেই বলতেন, তোমার কাব্যচর্চা কেমন চলছে? আমি ইনিয়ে বিনিয়ে টিউটোরিয়াল পরীক্ষার অজুহাত দিতাম, কখনো বা পড়াশোনার অতিরিক্ত চাপের কথা বলে প্রায়শ আমার উত্তর ছিল—একটু ফ্রি হলে লিখবো স্যার।
সম্ভবত, আমার উত্তর স্যারের মনপুত হতো না কখনো, তবু মুখে কিছু বলতেন না। কিন্তু একদিন স্যারের রুমের সামনে পেয়ে বললেন, দেখো দিলারা, জীবনে আদর্শ সময় কখনো আসে না। যখন যে অবস্থায় থাকবে, সেভাবেই লিখে যাবে। আদর্শ সময়ের জন্যে অপেক্ষায় থাকলে কখনো লেখা হবে না।
সেদিনের পর থেকে স্যারের এই কথা ক’টি লেখক জীবনের ধ্রবতারা করেছি। কিন্তু কাব্য-সাধনার পথে সেভাবে আর সময় পেয়েছি কই? জীবনযাপন ক্লেশ-পাতে যত সময় গেছে, শিল্পের পেছনে সেই আদর্শ সময় তো সত্যিকার অর্থেই আসেনি। জীবন থেকে পলাতক মানুষের জন্যে বোধ হয় সেভাবে আসেও না কখনো। তবু স্যারের উজ্জ্বল কথাটির সঙ্গে মানসপটে তার মুখটিও ভেসে আসে আজও।
সম্ভবত তৃতীয় বর্ষে উঠে আমাদের মেঘনাদ বধকাব্য পাঠ শুরু হয়েছিল। প্রথম বর্ষেই মাইকেল মধুসূদন দত্তের দুটো প্রহসন ‘একেই কি বলে সভ্যতা’এবং ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’পড়িয়ে ফেলেছিলেন ড. নীলিমা ইব্রাহিম আপা। বেশ সহজ ভাষায় রচিত প্রহসন বুঝতে কোনো অসুবিধা হয়নি আমাদের। তাছাড়া আপা পড়াতেনও নাটকীয়ভাবে। নব্য ইংরেজ সভ্যতা বাঙালি হিন্দুর সামাজিক জীবন ও মননে কতটা প্রভাব কিভাবে ফেলেছে, নাটকের সেই গল্পের সঙ্গে নিজের পারিবারিক গল্প মিলিয়ে মিশিয়ে তার পাঠ প্রক্রিয়া আকর্ষণীয় করে তুলতেন তিনি।
কিন্তু মেঘনাদ বধকাব্য (১৮৬১)-এর এই কঠিন ও দুর্বোধ্য ভাষারীতি এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত মহাকাব্যে বুঝতে তো অধিকাংশের গলদঘর্ম। উপরন্তু ক্লাসের সময়টাও ছিল উদ্ভট। বেলা ৩ টা থেকে ৩:৪৫ মিনিট। পড়াতেন আবুল কাসেম ফজলুল হক স্যার। প্রথম কয়েকদিন ছাত্র-ছাত্রীর আনাগোনা থাকলেও আস্তে আস্তে ছাত্র সংখ্যা মলিন হতে শুরু করলো। আমরা যারা শামসুন্নাহার হল বা রোকেয়া হল থেকে আসতাম, তাদের জন্যে দুপুরের আহার পরবর্তী ভাতঘুমের সময় ছিল সেটি। দশ মিনিটের বিশ্রাম নিতে গেলেই ঘুমে আমি কাদা হয়ে যেতাম। এরমধ্যে সাঈদা এসে হৈ হৈ রৈ রৈ করে তুলে নিয়ে যেতো আমাকে ও লিলিকে। তিন জনেই দ্বিতীয় বা তৃতীয় বেঞ্চে পাশাপাশি বসতাম। স্যারের টেবিল চেয়ারে অপলক তাকিয়ে আছি। কিন্তু কিছুতেই মনোযোগ আসছে না। যে অর্থে ড. আকরম হোসেন স্যার রবীন্দ্রনাথ পড়াতে গিয়ে আমাদের আকর্ষণ করতে পারতেন। দোতলায় বাংলা বিভাগের পাশেই ২০২২ নম্বর কক্ষে তিনি আমাদের ক্লাস নিতেন। তিনি শুরু করতেন নায়কোচিত ভঙ্গিমায় এবং শেষও করতেন—পরের ক্লাসের জন্যে আকর্ষণ জাগিয়ে রেখে। তার ক্লাসটি ছিলো রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ছোটগল্পের সংজ্ঞার মতো, যেন শেষ হইয়াও হইলো না শেষ।
তিনিই প্রথম সমালোচক যিনি মধুসূদনকে তার অন্তর্জীবনের আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন। এরপরই মেঘনাদ বধ মহাকাব্য সম্পর্কে পাঠকের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল। এর পূর্ব-পর্যন্ত দুর্বোধতার অভিযোগে গ্রন্থটি প্রায় অপঠিত ছিল।
তখন মনে হতো শিক্ষকতার পেশার চেয়ে কোনো মহৎ এবং আকর্ষণীয় পেশা বোধ হয় আর কিছু হতে পারে না। সম্ভবত, স্যারকে দেখেই অবচেতনে এই পেশার প্রতি দুর্বল হয়েছিলাম। যে কারণে সোনালি ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে, কাস্টমসের চাকরির লোভ পরিহার করে অধ্যাপনার চাকরিতেই নিজেকে অশেষ করেছি। এমনকি ড. আহমদ শরীফ স্যার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসটি পড়াতে গিয়ে বিধবা রোহিনী ও জমিদার গোবিন্দলালের অচল-প্রেমের কাহিনী আমাদের মনে যেভাবে লেপটে দিয়েছেন রূপজ মোহকে দায়ী করে—সেই বার্তাটি আমাদের মস্তিষ্কের গভীরে আজও বর্তমান।
কিন্তু আবুল কাসেম ফজলুল হক স্যারের কণ্ঠটি উদাত্ত নয়, উচ্চারণও কিছুটা অস্পষ্ট—যে কারণে শুরুর দিন থেকেই তার ক্লাস আমাদের মনে কোনো রেখাপাত করেনি। যদিও তিনি ভূমিকা পরবর্তী ক্লাসেই প্রথম সর্গের পাঠ দিয়ে শুরু করেছিলেন। সবকিছু মিলে মেঘনাদ বধকাব্য যবনের হাতে পড়ে যেন আরও দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছিল—বিশেষভাবে আমার কাছে তো বটেই।
‘সম্মুখ সময়ে পড়ে বীরচূড়ামনি—
বীরবাহু চলি যবে গেলা যমপুরে—
মনে হচ্ছিল আমিই যেন যাচ্ছি সেদিকে, একদিকে হাই তুলছি, অন্যদিকে সাঈদা বকবক করছে—লিলি শুধু চুপ চুপ বলে যাচ্ছে—আসলে স্যারের ক্লাস বা পড়ানোর গুণেই শিক্ষার্থীরা অন্যমনস্ক হয়ে পড়তো বলে আমার ধারণা। তবে এরমধ্যে আমাদের পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা নিশ্চয় মনোযোগী ছিল। আমার মতো আটপৌরদের জন্যে দুর্বোধ্যতাও অন্যতম একটি কারণ তো বটেই। এই হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার মেঘনাদ বধ কাব্য পাঠের জ্ঞান অর্জনের ইতিহাস।
ফলে আমার ছাত্রবস্থায় মেঘনাদ বধকাব্যের মাহাত্ম্য অধরাই ছিল আমার কাছে। ভাগ্যিস সুবল বনিক ও প্রভাস তরফদার মেঘনাদ বধকাব্যের দু/চারখানা নোট দিয়ে সাহায্য করেছিলো, নইলে তো খবর ছিল। তবে মৌখিক পরীক্ষার আগে ভাগে এবং পরবর্তী সময়ে অধ্যাপনার শুরুতেই মেঘনাদ বধকাব্য পড়ানো দায়িত্ব যখন কাঁধে এসে পড়লো, তখনই প্রকৃত অর্থে মাইকেল মধুসূদন দত্তের আধুনিক মহাকাব্যের ট্র্যাজিক সৌন্দর্য ও সুষমা পাঠে আপ্লুত হলাম তুমুলভাবে। জানলাম বীররস কিভাবে করুণ রসে পরিণত হয় শিল্পের বিচারে।
প্রাচ্য সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য ‘রামায়ণ’এ রাম ছিলো নায়ক এবং বারণ ছিল সীতা হরণকারী প্রধান ভিলেন চরিত্র। কিন্তু উনিশ শতকের রাবণ তার লঙ্কাপুরীর স্বাধীনতা রক্ষার জন্যে যুদ্ধে বীরপুত্র মেঘনাদকে হারিয়ে যখন নিঃস্ব, রিক্ত, শোকার্ত ও ব্যথিত। সেই মুহূর্তে তার সেই পিতৃহৃদয়ের বেদনা যেনজগতের সব পিতার হাহাকারে ধ্বনিত হয়ে ওঠে। যখন তিনি বলেন,
‘ছিলো আশা মেঘনাদ মুদিব অন্তিমে
এ নয়নদ্বয় আমি তোমার সমুখে
সঁপি রাজ্যভার পুত্র, তোমায়,করিব
মহাযাত্রা! কিন্তু বিধি—বুঝিবো কেমনে
তাঁর লীলা? ভাঁড়াইলা সে সুখ আমারে।’
বিয়োগান্তক এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে দানব শ্রেষ্ঠ বারণ মেঘনাদের পিতা হিসেবে মানবের মহিমায় যেন ভাস্বর হয়ে ওঠেন পাঠকের চিরন্তন হৃদয়ে।
১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে কবি ও সমালোচক শশাঙ্কমোহন মধুসূদন সম্পর্কে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, সেই বক্তৃতাই মূলত ‘মধুসূদন: তাঁর অন্তর্জীবন ও প্রতিভা’- এই নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থেই মধুসূদনকে বাংলা সাহিত্যের অনন্যসাধারণ স্রষ্টা এবং তিনিই যে বাংলা সাহিত্যের প্রকৃত মহাকবি তা প্রতিষ্ঠা করেন শশাঙ্কমোহন। তিনিই প্রথম সমালোচক যিনি মধুসূদনকে তার অন্তর্জীবনের আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন। এরপরই মেঘনাদ বধ মহাকাব্য সম্পর্কে পাঠকের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল। এর পূর্ব-পর্যন্ত দুর্বোধতার অভিযোগে গ্রন্থটি প্রায় অপঠিত ছিল।
চলবে…
বালিকার চরৈবেতি-৩০॥ দিলারা হাফিজ