ঘুড়িকাব্য-১
ঘুড়ির কথা কোনোদিনও ভুলতে আমি চাহিনি
আজও আমার পড়ছে মনে ঘুড়িকাব্য, কাহিনি।
ঘুড়ি নিয়ে কাটাকাটি, ঘুড়ি নিয়ে খেলা
ঘুড়ি নিয়ে কাটতো শুধু আমার ছেলেবেলা।
ঘুড়িগুলো আছে, থাকবে আমার আকাশজুড়ে
ঘুড়িকাব্য, আনন্দ দিন উড়ছে ফুঁড়ে ফুঁড়ে।
ইচ্ছে-২
ইচ্ছে করে ঘুড়ির মতো
নীল আকাশে উড়তে,
মেঘবালিকা হয়ে শুধু
রোদের কণায় পুড়তে।
আমার এখন ইচ্ছে করে
নাও নিয়ে যাই ঘুরতে,
সব হারানো ছেলেবেলার
হৃদয়টাকে জুড়তে।
ইচ্ছে করে সাগরপাড়ে
পাল তোলা নায় চড়তে
সবার মতো দেশটাকে ফের
নতুন করে গড়তে।
ঘুড়িকাব্য-২
নাটাই-সুতো, চটি-ঘুড্ডি
পাবে সবাই
এই রাতে যে যাবে সে,
ওই দেখা যায় জিনের মাঠে
জোড়া ঘুড্ডি
মদির মাখা আবেশে।
ঘুড্ডি ওড়া নদীর পাড়ে
সবই আছে
নিরিবিলি যুৎসবে,
চলো এবার আমরা যাবো
নাটাই-সুতা
ঘুড়ি ওড়া উৎসবে।
জোছনা রাতের সন্ধ্যাবেলা
দেখবে সবাই
নতুন ঘুড়ি পঙ,
ঘুড়্ড়গিুলো সর্বক্ষণই
শব্দ করে
ঢয দেখাচ্ছে ঢঙ।
ঢঙ ও দোলায় হচ্ছে নরম
আমার এ মন
শাদা তুলোর কারপাশে,
দিচ্ছে দোলা
এখনও এই চারপাশে।
এই তো আমার দেশ
সবখানে আজ হলুদ-সবুজ দারুণ পরিবেশ
ঘাসের লতায় ফুল বিছানো এই তো আমার দেশ।
চারদিকে রোদ কৃষ্ণচূড়ায় লাল হয়েছে বেশ
পথের ধারে গাছের ছায়ায় এই তো আমার দেশ।
আষাঢ় মাসে টাপুর-টুপুর আহা কি বেশ বেশ
কদম-কেয়া, শাপলা ভরা এই তো আমার দেশ।
শরৎকালে শুভ্র মেঘে সুন্দরের নেই শেষ
কাশফুলে দ্যায় আলো দোলা এই তো আমার দেশ।
সবুজ-কোমল ডাল-পালাতে বিচিত্র তার বেশ
হলদে পাখি ময়না-টিয়া এই তো আমার দেশ।
দূর ভুবনে যাচ্ছে নদী দিগন্ত যার শেষ
খালে-বিলে জোয়ার-ভাটা এই তো আমার দেশ।
শীত সকালে পীঠে খাওয়া আর্জি হলো পেশ
ভাঁপা এবং ভিজা পিঠার এই তো আমার দেশ।
ডাহুক পাখির ডিম
ধানের ক্ষেতে ডিম পেড়েছে ডাহুক পাখি
কৃষক বলে এ ডিম এখন কোথায় রাখি !
হঠাৎ কৃষক এমন বুদ্ধি আটল না
অবশেষে কিছুটা ধান কাটল না।
পাখির এবার কান্না একটু থামল
সন্ধ্যা হলে নীড়ে পাখি নামল
কদিন পরে বাচ্চা নিয়ে উড়ল পাখি আকাশে
এখন তারা ঘুরে বেড়ায় সারা বাংলার বাতাসে।