(পর্ব-৩)
পৌঁছলাম স্বপ্নের দার্জিলিঙ
শিলিগুড়ি শ্যামলী কাউন্টারে গিয়ে একজন গাইড পেলাম। নাম তার পার্থ বাসনেত। বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। বাংলা বলতে পারেন না, কিন্তু বোঝেন। হিন্দিতে ভালো। ইংরেজিতেও চলনসই।
শিলিগুড়ি গিয়ে টাটা সুমো জিপে চড়ে প্রথমেই গেলাম হোটেল স্বস্তিকাতে। হোটেলের ম্যানেজার চলে আসলেন লবিতে। আমরা ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত। তারপরও কিছু আচার মানতে হচ্ছিল। সবাইকে গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হলো। লাইনে দাঁড়িয়ে সবাই এক ফ্রেমে বন্দি হলাম। ছবি তোলা শেষ করেই চলে গেলাম পাঁচ তলায়। সেখানেই লাঞ্চের আয়োজন। লেট লাঞ্চের পর রওনা হলাম দার্জিলিঙয়ের পথে। মূল রাস্তায় না গিয়ে শহরের ভেতরের রাস্তা দিয়ে সোজা পথে চলছিলাম। শিলিগুড়ি শহরটা পুরনো। ঘিঞ্চি। বাংলাদেশের কোনো উপজেলা শহরের মতো। যে রকম নাম ডাক শুনেছি সে রকমটা নয়। সরু রাস্তা। ট্রাফিক জ্যাম। ভালো কোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নেই। রাস্তায় ধুলো। রিকশার টুংটাং, সস্তা গাড়ির ভটভট আওয়াজ, কালো ধোঁয়া। থাক, শিলিগুড়ি নামটার প্রতি যতটা আকর্ষণ ছিল সেটা আর কমাতে চাই না। অদেখা প্রেমেই আকর্ষণ বেশি।
শিলিগুড়ি শহরের পশ্চিমে একটি বড় মোড়। যার নামই দার্জিলিঙ মোড়। সেখান থেকে দক্ষিণ দিকে, বায়ের রাস্তা চলে গেছে কোলকাতা। এই রাস্তা ধরে নেপালও যাওয়া যায়। আমরা চলে গেলাম ডানে। ডানের রাস্তা দার্জিলিঙ আর গ্যাংটক যাওয়ার। গ্যাংটক হচ্ছে সিকিমের রাজধানী। সিকিমকে একসময় বলা হতো নিষিদ্ধ শহর। এখন অবশ্য পর্যটকদের জন্য সিকিম খুলে দেয়া হয়েছে।
শিলিগুড়ির উত্তরে বিশাল পাহাড়। সেটি অবশ্য নিউ জলপাইগুড়ি রোড থেকেই চোখে পড়ে। মদুল সওদাগর বলেছিলেন, ওই পাহাড়গুলোই হচ্ছে দার্জিলিঙ। এত কাছে মনে হলেও যেতে সময় লাগে অনেক। আগে শুনেছিলাম, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙ যেতে দুঘণ্টা লাগে। পার্থ বাসনেত বললেন, তিন ঘণ্টা লাগবে।
এত সময় কেন?
কারণ পাহাড়ি রাস্তা। তাছাড়া যাচ্ছিলাম ঘুর পথে।
ঘুরপথে কেন?
কারণ আমাদের রুট প্ল্যানে মিরিক ও সুমেন্দু লেক ছিল। ওই দুটো স্পট ভিজিট করে তারপর দার্জিলিঙ। যাচ্ছিলাম এক পথ দিয়ে। ফেরার কথা আরেক পথ হয়ে। তাতে দুটো রাস্তাই দেখা হয়ে যাবে। দার্জিলিঙ মোড় পার হয়ে ডানের রাস্তা ধরলাম আমরা। ওই পথে রাস্তার ডানে দেখলাম সরু ট্রেনের রাস্তা। দুই লাইনের মাঝখানে ফুট দুয়েক ফাঁক। পার্থকে জিজ্ঞেস করলাম, এটা কি টয় ট্রেনের লাইন? বললেন, হ্যাঁ।
-তাহলে টয় ট্রেনে যেতে পারব না আমরা?
-না।
-কেন?
-এখানে ট্রেন চলে সপ্তাহে মাত্র দু’দিন। তবু নিয়মিত না। সময়ও লাগে অনেক। টিকিট নিতে হয় আগে থেকেই।
-ও আচ্ছা।
মিনিট দশেক পর দেখলাম একটা পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের মতো। নির্বাচনের প্রস্তৃতি, প্রশিক্ষণ চলছে। আরো সামনে গিয়ে একটা মাঠে কিছু লোকের জটলা চোখে পড়লো। ইলেকশনের প্রস্তুতি।
এতক্ষণ গরমে অস্বস্তি লাগছিল। দার্জিলিঙ কাছিয়ে আসতেই হাওয়া ক্রমশ শীতল হয়ে আসছিল। জুড়িয়ে যাচ্ছিল শরীর। উত্তরে এসে পশ্চিমে একটা মোড় নিল গাড়ি। মিনিট পাঁচেক চলার পর দেখতে পেলাম সেনাবাহিনীর অ্যাক্টিভিটি। ক্যান্টনমেন্ট। সেনানিবাসের ভেতরে ফুটবল খেলা হচ্ছিল। রাস্তার দুধারে, চা বাগানে, গাছের আড়ালে সেনাসদস্যরা সতর্ক পাহারায়। এই পাহাড়ি অঞ্চল মাঝে মাঝেই অশান্ত হয়ে ওঠে। মাওবাদীরা তো আছেই, গোরখা মুভমেন্টের কথাও অনেকেই জানেন। গোরখাদের নেতা সুভাষ ঘিষিং ভালোই বিখ্যাত। পাহাড়ের অশান্তি নিয়ে গায়ক অঞ্জন দত্তের কত আপসোস। তিনি চাইছিলেন শান্তির পাহাড়। এসব কারণেই সেনাবাহিনীকে সতর্ক থাকতে হয়।
একটা শুকনো নদী পড়লো সামনে। নাম কী? পার্থ জানালেন, বালাসান। ঠিক নদী না, খাল। তাতেও আবার কোনো জল নেই। তবে শুকনো জলরেখা আছে। অতি বৃষ্টি কিংবা পাহাড়ি ঢল হলে এখান দিয়েই জল গড়িয়ে যায়। ইন্টারনেটে দেখেছিলাম, বৃষ্টি হচ্ছিল; বনভূমির ভেতর থেকে জলধারা ধেয়ে যাচ্ছিল। যৌবনা সে ধারায় মন ভেসে যায় সুদূরে।
হোটেল স্বস্তিকায় পৌঁছানোর পর কর্তৃপক্ষ গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছিল আমাদের। জমিদারি অভ্যর্থনায় আমরা মুগ্ধ। ‘আমরা সবাই রাজা আমাদর এই রাজার রাজত্বে..’। হয়ে গেলো একটা গ্রুপ ছবি। ছবিটি স্বস্তিদায়ক স্মৃতি হয়ে থাকুক আমৃত্যু।
কিছুক্ষণ পর পাহাড়ে ওঠা শুরু হলো। প্রথম জায়গাটির নাম শুকনা। এখানে একটি নদীও আছে। নদীর নামও শুকনা নদী। যদিও নদীটা শুকোয়নি, জলধারা ছিল। মনে পড়লো, বাংলাদেশে নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুরে যাওয়ার পথে একটা বিল পড়ে, যার নাম শুকনাকুঁড়ি। দার্জিলিঙয়েল কাছাকাছি এই শুকনা অবশ্য অনেক বিশাল এলাকা। এখান থেকেই মূলত পাহাড় শুরু। পাহাড় বেয়ে এঁকে-বেঁকে গাড়ি উঠতে শুরু করলো উঁচু পাহাড়ে। ঘন বন, রেইন ফরেস্ট। আশপাশে জনবসতি নেই। বিকেল বেলা প্রায় অন্ধকার। এরকম বনকে ইউরোপিয়ানরা বলেন ব্ল্যাক ফরেস্ট।
রাস্তার দু’ধারে অনেক বানর। আমাদের দলে সবচেয়ে সিনিয়র এস এম জাহিদ হাসান। তিনি বললেন, সম্ভবত এখানে গাড়ি থামিয়ে বানরদের খাবার দেওয়া হয়। যে কারণে ওরা রাস্তার ধারে বসে থাকে খাবারের আশায়। ফিরোজ আলম বললেন, এরা খুব অলস। না হলে বনে খাবারের অভাব আছে নাকি। ফলমূল কত কিছু আছে। মামুন যোগ করলেন, বানরতো ঘাসও খায়। তাহলে এখানে খাবারের জন্য বসে থাকবে কেন?
মিলটন জিপের সামনে বসে ছিল। শিলিগুড়ি থেকে দুই জিপে ভাগ হয়ে গেছি ১৫ জন। গাইড পার্থসহ ১৬ জন। মিল্টনের অভ্যেস হলো গাড়িতে উঠেই ঘুমিয়ে যাওয়া। কিন্তু দু’পাশের অনিন্দ্য সুন্দর প্রকৃতি তার ঘুম কেড়ে নিল। ডিএসএলআর বের করে বসে ছিল। ভালো শিকারের আশায়। বেশ খানিকটা সময় লাগলো পাহাড়ের ওপরে উঠতে। চমৎকার একটা ভিউ পয়েন্টে গিয়ে গাড়ি থামলো।
নিচ থেকে বোঝার উপায় ছিল না শুকনা জায়গা কত সুন্দর! উত্তরে পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে গিয়েছে নদী। মিশেছে শুকনা উপত্যকায়। বেসিনটা বেশ বড়, পাহাড়ি জায়গা বিবেচনায়। পানি প্রায় শুকিয়ে গিয়েছিল। ওখান থেকে দুটি নদী বেরিয়ে গেছে। একটি মহানন্দা, আরেকটি শুকনা। যদিও শুকনার জলধারা একেবারেই ক্ষীণ। বিশাল চত্বরজুড়ে কেবল উজ্জ্বল লালচে বালি। চারদিক রাঙানো, যেন শ্যামা তরুণীর লাল টিপ।
উপত্যকার চারপাশ ঘিরে কেবল গাছগাছালি। পাহাড়ি জঙ্গল। শুকনা জায়গাটি দার্জিলিঙ এর দক্ষিণ-পূর্ব কোণে। যদিও শুকনার বিস্তৃতি দার্জিলিঙয়ের উত্তর-পূর্বাংশ অব্দি। ওই শুকনা পাহাড় থেকেই শুরু মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ সাঞ্চুরি। দার্জিলিঙয়ের চা বাগানগুলোও এখান থেকেই শুরু। শিলিগুঁড়ি থেকে এটি ১১ কিলোমিটার দূরে। প্রশাসনিকভাবে জায়গাটি দার্জিলিঙয়ের কুরসিঙ সাব ডিভিশনের আন্ডারে।
ওয়েব সাইট বলছে, শিলিগুড়ি থেকে তিনধারিয়া পর্যন্ত সেখানে ট্রেনে জঙ্গল সাফারির ব্যবস্থা আছে। যদিও আমাদের গাইড বললেন, সেটি এখন বন্ধ।
শুকনা পাহাড় থেকে নামছিলাম। চা ক্ষেত নয়, এবার বড় বড় চা বাগান চোখের সামনে। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা। জিপগুলো সাপের সতো একেঁবেঁকে চলছিল। উঠছিলাম বেশি। মাঝে মাঝে নামতে হচ্ছিল। নিচে তাকালে মাথা চক্কর দিচ্ছিল। কখনো কখনো বিশাল শাল বাগান। সবচেয়ে বেশি পাইন গাছের শাড়ি। অনেক পুরনো গাছ। শতবর্ষী গাছও আছে অগুনতি। পরিসংখ্যান বলছে, ওই অঞ্চলে চা বাগান আছে ৭৮টি। আরও বেশিও হতে পারে।
ওয়ালটন ক্রিকেট টিমের কোচ জাহিদ আলম। দু’পাশের প্রকৃতি আর সবুজ বাগান দেখে তার লোভ হলো ছবি তোলার। ড্রাইভারকে বলা হলো গাড়ি থামাতে। থামছিল না। গাইডকে বললাম। তার পরামর্শ, এখন না। সামনে আরও সুন্দর জায়গা আছে। সেখানে ছবি তোলার সুযোগ হবে।
সূর্য ডুবে যাচ্ছিল। সূর্য ডুবলে ছবি তোলা যাবে না। ছবি মানেই আলোর খেলা। মিনিট পাঁচেক গেলো। চোখে পড়লো ফুলগিরি। চমৎকার জায়গা। ফুলগিরি চা এস্টেট খুব বিখ্যাত। অবশেষে পাহাড়ের মাথায় একটি সুন্দর ভিউ পয়েন্টে গাড়ি থামলো। কিন্তু পরে গেলাম বাটে, সূর্য তখন পাটে। এমনিতেই আমরা কজন দেখতে কালো। তারপর নেই আলো। ছবি আসছিল আরও কালো। মোবাইল আর ডিএসএলআরের চেয়ে মনের ক্যামেরাই বেশি সচল হলো। মনের চোখের কাছে পৃথিবীর আর সব চোখ তুচ্ছ। দার্জিলিঙ যাওয়ার পথে ওই ভিউ পয়েন্ট বেশ জনপ্রিয়। ওখানে গিয়ে ছবি তুলতে চায় সবাই। কিছু বৈদ্যুতিক টাউয়ার, চা বাগান আর রাস্তা এমনভাবে সাজানো, মনে হয় স্বপ্নের পথ, ওয়ে অব হ্যাভেন।
পেছনের গাড়িতে ছিল মিজান, সোহাগ, সাহেল, জনি, সাইফুল, আলভি, শাকিল আর জাহিদ। নেমে এলো তারাও। সেলফি ফিভার ভালোই চলছিল। সবাই সেলফি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলো।
উত্তর-পূর্ব দিকে সুন্দর একটা শহর নজরে এলো। অনেকক্ষণ ধরেই দেখছিলাম। উঁচু বিস্তৃত পাহাড়ের গায়ে অসংখ্য বাড়িঘর। ছবির চেয়েও সুন্দর। ইচ্ছে করছিল দার্জিলিঙ বাদ দিয়ে ওই শহরেই যেন গন্তব্য বানাই। নুরুল বললো, শহরটা অদ্ভূত সুন্দর।
হোটেল স্বস্তিকায় পৌঁছানোর পর কর্তৃপক্ষ গাঁদা ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছিল আমাদের। জমিদারি অভ্যর্থনায় আমরা মুগ্ধ। ‘আমরা সবাই রাজা আমাদর এই রাজার রাজত্বে..’। হয়ে গেলো একটা গ্রুপ ছবি। ছবিটি স্বস্তিদায়ক স্মৃতি হয়ে থাকুক আমৃত্যু।
পার্থকে জিজ্ঞেস করলাম পাহাড়ের গায়ের ওই শহরের নাম কী? উত্তর এলো কার্শিয়ান। ফিরোজ আলম বললেন, কেন নাম শোনেননি? কার্শিয়ান তো অনেক ফ্যামাস শহর। চুপ রইলাম। কারণ আমি নামটা হয়তো শুনিনি। তবে কোনো মেয়ের রূপে মুগ্ধ হলেই যে তার নাম জানতে হবে তা তো নয়। নামের চেয়ে প্রেমটাই মুখ্য।
শুকনা থেকে ডানে, অর্থাৎ উত্তরে দার্জিলিঙ যাওয়ার সহজ রাস্তা। আমরা যাচ্ছিলাম পশ্চিমে। কারন আমাদের প্ল্যান মিরিক হয়ে যাওয়ার। কিন্তু মিরিকের পাহাড়ে উঠে মাথা চিরিক দেওয়ার মতো অবস্থা। এত ওপরে উঠে গিয়েছিলাম! মাই গড! বিমান থেকে নিচে তাকালে যেমন ছোট ছোট বাড়ি ঘর নদী-খাল-উপত্যকা দেখা যায়, দেখিছিলাম সেরকমই। নিচে দেখছিলাম বিস্তীর্ণ উপত্যকা। শুকিয়ে যাওয়া নিচু জমি। ঢালু জমি। ছোট ছোট গাছপালা। জাহিস হাসান বললেন, ব্রিটিশরা আসার কারণে এত উঁচু পাহাড়ে সুন্দর রাস্তা হয়েছে। না হলে হয়তো সম্ভব হতো না।
সন্ধ্যায় পৌঁছলাম মিরিকে। সেখানে একটি লেক আছে। দেখার মতো তেমন কিছু নেই। লেকটাও খুব একটা বড় না। তারপরও উঁচু পাহাড়ের মাঝখানে জলাধার বলেই কিনা, সেটি দেখতে যান অনেকেই। এর নাম সুমেন্দু লেক। তবে এরচেয়ে বান্দরবানের বগা লেক অনেক বেশি সুন্দর।
জলপাইগুড়ি রোডে একটা নদী দেখেছিলাম। বহমান ক্ষীণ ধারায় কয়েকটা কানিবক বসে ছিলো। বুভুক্ষূ এবং তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে। সুমেন্দু লেকের পাড়েও আলো আধারিতে বসে ছিল একটি বক। মনে হচ্ছিল এই বকের মতো আমরাও দার্জিলিঙ দেখার লোভে কতদূর থেকে ছুটে এলাম।
মিরিক বিখ্যাত মূলত, পাহাড় ঘেরা হ্রদ এবং মনোরম পরিবেশের জন্য। এটি পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিঙ জেলাতেই পড়েছে। রোমান্টিক অবকাশের জন্য অনেকেরই পছন্দের জায়গা এটি। পর্যটনকেন্দ্র মিরিকের নাম এসেছে লেপচা তথা মির-ইওক থেকে। যার অর্থ অগ্নিদগ্ধ স্থান। সুন্দর পরিবেশ, সুখজাগানিয়া আবহাওয়া, যাতায়াতের সুবিধার কারণে অনেক পর্যটক সেখানে যান।
আর ওই যে সুমেন্দু লেকের কথা বলেছি- যার একদিকে বাগান, অন্যদিকে পাইন গাছের বাগান; সেগুলোই আকর্ষণ করে মানুষকে। এখানে ইন্দ্রানি পুল নামে একটা সাঁকো আছে। লেকের জলে নৌবিহার করা যায়। ঘোড়ায় চলে এর চারপাশে বেড়ানো যায়। তিন কিলোমিটার দীর্ঘ চমৎকার রাস্তা আছে হাঁটার জন্য।
অনেকেই মনে করেন হিমালয় একটি পাহাড় বা পর্বত। মোটেও তা নয়। হিমালয় বহুবচন অর্থে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ অসংখ্য পর্বতের সমারোহ হচ্ছে হিমালয়; পর্বত শ্রেণী বা পবর্তমালা। সেই অর্থে এই মিরিক, কিংবা দার্জিলিঙ সবই হিমালয়ের অংশ।
চলছে…
দার্জিলিঙে বৃষ্টি, কালিম্পঙে রোদ-২॥ উদয় হাকিম