[পর্ব-১]
সড়ক পথে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরের কথা। মাঠে-ঘাটে-কল-কারখানায় সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত। বিনোদন বলতে তেমন কিছু ছিল না। রেডিও-টিভি সবার ঘরে ছিল না। টেলিভিশন যন্ত্র ঘরে ঘরে পৌঁছতে শুরু করে ১৯৯০ সালের পর থেকে। তখন বিনোদন বলতে ছিল গান বাজনা আর নাটক-যাত্রা।
গ্রামে গ্রামে তখন অনেক গানের আসর বসতো। কবি গান, গাজীর গান ছিল খুব জনপ্রিয়। এছাড়া মুর্শিদি, ভাটিয়ালি, দেহতত্ত্ব, লালন ও বাউল গান ছিল মানুষের মুখে মুখে। তবে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল যাত্রাপালা, নাটক। অবশ্য সভ্যতা সৃষ্টির পর থেকেই লাইভ নাটক বা মঞ্চ নাটক মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রে।
৮০’র দশকে আমি খুব ছোট। তখন বাবাকে দেখতাম অভিনয় করতেন। সব নাটক বা যাত্রাপালাতেই রাজার ভূমিকায় দেখো যেতো তাকে। গ্রামের লোকজন তাকে রাজা মশায় বলে ডাকা শুরু করলো। আমাকে বলতো রাজার ছেলে। যদিও আমাদের আর্থিক অবস্থা ছিল ঠিক এর বিপরীত।
একটি নাটক ছিল ‘ভিখারির ছেলে’। সেখানে রাজার ছেলের নাম ছিল উদয় শঙ্কর। আমার প্রতিবেশী ছিল লতিফ। সমবয়সী আমরা। চাদনি রাতে রিহার্সেল হতো। আমরা ওই রিহার্সেল দেখতে দেখতে সংলাপ মুখস্ত করে ফেলেছিলাম। ফাইনাল শো হওয়ার পর আমরা ছোটরা সেসব অভিনয় করে দেখাতাম। তাই দেখে পাড়ার লোকেরা খুব মজা পেতো।
যাত্রা-নাটকের প্রতি আমার বাবার এতটাই ঝোঁক ছিল যে, টানা ১৫ দিন হয়তো সে বাড়িতেই যেতো না। আমরা কী খেয়েছি না খেয়েছি কোনো খবর নেই। কখনো হয়তো টানা ৭ দিন ৭টি যাত্রাপালা বা নাটক হতো। একবার এরকম একটা নাটক হয়ে গেছে রাতে। যে বাড়িতে নাটক হয়েছে, সকাল বেলা মা গিয়ে হাজির ওই বাড়ি। বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেছে। বলেছে, ঘরে কোনা খাবার নাই সে খেয়াল আছে? বাবা নাকি উত্তরে বলেছেন, প্রহরী..এই তোরা কে কোথায় আছিস। সারারাত রাজ ভাণ্ডার থেকে যে ধন রত্ন বিলিয়ে দিলাম, তখন এই ফকিরনী কই ছিল!
যাহোক, ছোট বেলা যেসব নাটক-যাত্রা পালা দেখেছি সেখানে রাজা-জমিদারদের একটা কমন বিষয় ছিল। দেখা যেতো জমিদারের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনি দার্জিলিঙে পড়তো। দার্জিলিঙে পড়া মানে জাতে ওঠা। জমিদারি স্ট্যাটাস।
শুনতাম ব্রিটিশ আমলে ইংরেজরা দার্জিলিঙে থাকতে পছন্দ করতেন। ইংল্যান্ডের আবহাওয়ার সঙ্গে এর অনেকটা মিল আছে। ঠাণ্ড, এই রোদ, এই বৃষ্টি। চা বাগান। ছায়া গাছ। শান্ত সুবোধ পাহাড়ি জনপদ। সুখী, সমৃদ্ধ নির্ভেজাল জীবনযাপন। সহজ সরল মানুষ। ছিমছাম নিরাপদ জনপদ।
শুনেছি ইংরেজ সাহেবরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও তাদের ছেলেমেয়েরা পড়তো দার্জিলিঙে। অনেকে স্ত্রীকেও রেখে দিতেন সেখানেই। এখানকার শিক্ষার মানও ছিল ভালো। ইংরেজদের তত্ত্বাবধানে নিজেদের কারিকুলাম আর ব্যবস্থাপনায় হতো শিক্ষা। বাংলাদেশের অনেক বনেদি পরিবারের সন্তানরাও সেখানে লেখাপড়া করেছেন। এখনো পড়ছে অনেকেই।
যদিও আমার ইন্ডিায়ার পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা। কী আর করা! মন্দ কপাল ভেবে খানিকটা মন খারাপ।
সেইসব শুনে মনের মধ্যে একটা দুর্নিবার ইচ্ছে-দার্জিলিঙে যাবো। অবেশেষে এলো সেই সুযোগ। করপোরেট ক্রিকেটে ওয়ালটন অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত টি টেন ক্রিকেট টুর্নামেন্টেও ওয়ালটন চ্যাম্পিয়ন। এর আগের বছর চ্যাম্পিয়ন হয়ে পুরো টিম নিয়ে গিয়েছিলাম ভুটান। ইচ্ছে ছিল পরের বার চ্যাম্পিয়ন হলে দার্জিলিঙ যাব, সড়ক পথে।
বিমানে চড়ে বিদেশে গেলে পথের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ থাকে না। তাই সড়ক পথটাই আমার পছন্দ। রাস্তা, দুপাশের সুন্দর প্রকৃতি, নদী, পাহাড়, গাছ, ফুল এসব আমাকে খুব টানে। টিমের সবাই সিদ্ধান্ত নিলাম-সড়ক পথেই দার্জিলিঙ যাওয়ার। আরেকটা ইচ্ছে ছিল-পঞ্চগড় হয়ে বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার। কারণ পঞ্চগড়ে আমার কখনো যাওয়া হয়নি।
২০১৮ সালের ১০ মে সন্ধ্যায় রওনা হলাম দার্জিলিঙের পথে। শ্যামলী এনআর বাস। কথা ছিল সাড়ে ৬ টায় কমলাপুর থেকে বাস ছাড়বে। যারা কল্যাণপুর থেকে উঠবেন, তাদের আসতে হবে সন্ধ্যে ৮ টার মধ্যে। কাউন্টারে একে একে টিমের সদস্যরা আসছিলেন। আমার চিন্তা শাকিলকে নিয়ে। আগেরবার কালাচানপুর থেকে এয়ারপোর্টে গিয়েছিল সবার পরে। ডিপারচার ডোর বন্ধ হয়ে যাবে ঠিক সেই সময়ে ঘর্মাক্ত শাকিল হাজির। অথচ তার বাসা থেকে এয়ারপোর্ট ৫ মিনিট দূরত্বে।
শাকিলকে নিয়ে যখন তুমুল আলোচনা হাস্যরস, এরমধ্যেই শাকিল এসে হাজির। কালো চেহারায় খুশির ঝিলিক। সে এসে বসলো আলভির সঙ্গে। আমাদের টিমে সবচেয়ে কালো শাকিল, আর সবচেয়ে ধলো আলভি। এ নিয়ে অবশ্য শাকিলের কোনো আফসোস নেই, তার নিজের উক্তি, ‘কালো হইলে কী হবে, কাটিন ভালো আছে।’ দেখতে কালো, আবার বাসা কালাচানপুর, কাওলা; এসব বিবেচনায় তাকে কাওলা বলে ডাকতাম।
আমার আপন দুই মামা আছেন। একজন দেখতে কালো বলে তার নাম কালু। আরেকজন দেখতে ধলা; তার নাম ধলু। কালু মামা অবশ্য বছর দুয়েক আগে পরপারে চলে গেছেন।
আবার আলোচনায় এলো আলভির। ইমোতে এসএমএস পাঠিয়ে কেউ একজন তার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা বাগিয়ে নিয়েছে। ‘আমি ফিরোজ আলম বলছি, আমার ইমার্জেন্সি ৩ হাজার টাকা দরকার। একটু জলদি পাঠান। এই আমার বিকাশ নম্বর।’
ফিরোজ আলম হেসে কুটি কুটি। আমার নাম বললো আর আপনি টাকা দিয়ে দিলেন? এ রকম প্রতারণার কথা আগে কখনো শোনেননি? একবার ফোন করে জিজ্ঞেস করতে পারতেন। আলভির ফরসা গাল লজ্জায় নীল হয়ে উঠলো।
গাড়ি এলো দেরি করে। ছাড়তে ছাড়তে রাত ৯টা। নবীনগর থেকে গাড়ি সোজা কালামপুর দিয়ে যাচ্ছে মির্জাপুরের দিকে। বাসে মোট যাত্রী ২৭ জন। তার ১৫ জনই আমরা। এই সুযোগে জমলো আড্ডা। এরমধ্যে নুরুল আফসার চৌধুরী (কথায় কথায় ‘ইয়া‘ বলে, তাই তার নাম দিয়েছিলাম ইয়া চৌধুরী) শোনালো আরেক কাহিনি। ক্রিকেট টিমের সঙ্গে ইয়া চৌধুরী ইন্ডিয়া যাচ্ছে। এই খবর বন্ধুবান্ধবী সবাই জেনে গেছে। এরইমধ্যে এ-কান ও-কান হয়ে রটে গেছে আইপিএল খেলেতে নুরুল ইন্ডিয়া যাচ্ছে!
টাঙ্গাইল শহরের একটু আগে এসে জ্যামে পড়লাম। খেয়ে দিলো প্রায় দুই ঘণ্টা। রাত আড়াইটায় গিয়ে পৌঁছলাম যমুনায়, বঙ্গবন্ধু সেতুতে। তখন অনলাইনে লাইভ দেখছিলাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ। কাউন্ট-ডাউন করে যখন আকাশে উড়ে গেলো কৃত্রিম উপগ্রহ, ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধু সেতুতে উঠলাম। সেতুর দুপাড়ে আলো জ্বলছিল লাইট পোস্টে। অন্য এক নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হলো মহাকাশ!
রাত তিনটে দশে গিয়ে বাস থামলো সিরাজগঞ্জে, ফুড গার্ডেনে। আধা ঘণ্টার বিরতি দিয়ে বাস চলতে শুরু করলো। ভেবেছিলাম, পরের রাস্তাটুকু তাড়াতাড়ি পার হয়ে যাবো। ভোর রাতে রাস্তা ফাঁকা। তা আর হলো কই। গাইবান্ধা, বগুড়া সব জায়গায় দীর্ঘ গাড়ির লাইন। বগুড়া গিয়ে প্রধান সড়ক ছেড়ে গাড়ি ছুটছিল সরু রাস্তার বাইপাস দিয়ে। আজান হচ্ছিল। একটু একটু করে ফরসা হচ্ছে আকাশ। ভোরের আলোয় মানুষজন বের হচ্ছিল কাজের সন্ধানে।
মেইন রোডে উঠতেই আবারো জ্যাম। দীর্ঘ গাড়ির লাইন, সময় খাচ্ছিল।
লালমনিরহাট জেলায় আরেক সমস্যা। সোজা উত্তরে চলে গেছে দীর্ঘতম সড়কপথ। রাস্তা চাপা, তাতে আবার শত শত অটো-রিকশা। গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চলার জো নেই। ঢাকার জ্যাম এখন সারাদেশেই। শিগগিরই মহাপরিকল্পনা না নিলে এই অচলায়তন ভাঙবে না।
কথা ছিল ভোরবেলা চ্যাংড়াবান্ধা পৌঁছাবো। তা আর হলো না। বগুড়াতেই সকাল হলো। তিস্তা সেতু পার হয়ে বামে মোড় নিয়ে সোজা যাচ্ছিলাম উত্তরে। এলাকাটা চরাঞ্চল। ব্যাপক ভুট্টার চাষ হয়। নিখাদ গ্রাম।
ও হ্যাঁ, আমার পরিকল্পনা ছিল বাংলাবান্ধা হয়ে যাবো। কিন্তু হলো না। দলের বেশিরভাগেরই পাসপোর্টে বন্দর হিসেবে বুড়িমারি দেখানো। খেয়াল করে দেখলাম, আমারটাতেও তাই। যদিও আমার ইন্ডিায়ার পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা। কী আর করা! মন্দ কপাল ভেবে খানিকটা মন খারাপ।
এবার সীমান্ত পার হওয়ার পালা। শেষ চেকিংটা বেশ ঝামেলার। গাট্টি-বোঁচকা সব চেক করা হয়। সেসব করতে গিয়ে লম্বা লাইন। ওই ‘উপকারি’ লোকদের সহায়তায় সেটাও পার হলাম।
আরেকটা ভুল করেছিলাম। পাসপোর্টে ইন্ডিয়ার বন্দর হিসেবে দেখানো ছিল চ্যাংড়াবান্ধা। ভেবেছিলাম বাংলাবান্ধার বিপরীতে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা। পরে জানলাম, লালমনিরহাটের বুড়িমারির বিপরীতে চ্যাংড়াবান্ধা। যাক, তবু নতুন একটা পোর্ট তো দেখা হলো। আমি এর আগে কখনো স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কোথাও যাইনি। এই প্রথম। তবে মজার বিষয় আছে আরেকটা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নামকরণে মিল আছে। আমাদের বেনাপোল, ওদের পেট্রাপোল; আমাদের বাংলাবান্ধা, ওদের চ্যাংড়াবান্ধা। অনেককেই দেখেছি, কেউ যদি বলে তার বাড়ি গাইবান্ধা, মজা করে উত্তর দেয়, আমার বাড়ি ষাঁড় আলগা।
এই সীমান্ত পথের কথা শুনেছিলাম সাংবাদিক বরুন রায়ের মুখে। তিনি পাবনার বেড়ায় একটা কলেজে ভূগোলের শিক্ষক। গানও করেন। পুরো নাম বরুন রায় সজিব। গল্পটা শুনেছিলাম সে-ও ১৫ বছর আগে। তার এক দিদি থাকতেন আসামে। কিন্তু দিদির বাড়ি কখনো যাওয়া হয়নি। ছোট বেলা থেকেই আত্মীয়দের মুখে দিদির কথা শুনে আসছিলেন। বড় হয়ে তার সাধ জাগলো দিদির সঙ্গে দেখা করবেন। শুনেছিলেন, লালমনিরহাট দিয়ে গেলে দিদি বাড়ি কাছে।
বরুন রায় তখন সবে প্রথম আলোর বেড়া প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তারা তিন বন্ধু রওনা হলেন। এক বন্ধু ব্যবসায়ী। আরেকজন ব্যানার নামে একটা অপ্রচলিত পত্রিকার স্থানীয় সাংবাদিক।
লালমনিরহাট হয়ে যাচ্ছিলেন। তখন রাস্তা খুব একটা ভালো ছিল না। বর্ডারে তেমন কোনো স্থাপনা ছিল না। সীমান্তে বাংলাদেশ অংশে তারা কোনো কর্মকর্তাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এলাকার লোকজন জানালেন, ওই যে একটা টিনের ঘর দেখা যায়, ওখানে ইমিগ্রেশনের লোক থাকেন। সেখান থেকে কর্মকর্তাকে ডেকে আনা হলো। তিনি নাকি বলেছিলেন, এখান দিয়ে তো সাধারনত কেউ পার হয় না। আপনারা কিভাবে, কার কাছে শুনে এলেন!
তারা পাসপোর্টে সিল নিয়ে সীমান্ত পার হচ্ছিলেন। জঙ্গল পেরিয়ে পায়ে হাঁটা পথ ধরে এগোচ্ছিলেন। একটা জঙ্গলাপূর্ণ খাল দিয়ে সীমানা আলাদা করা। খালে পানি ছিল। খাল পেরিয়ে ওপাড়ে গিয়েও একই অবস্থা। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে ডেকে আনা হলো। কর্মকর্তা তাদের জিজ্ঞেস করলেন, কী করেন আপনারা। বলছিলেন, দুজন সাংবাদিক। একজন ব্যবসায়ী। বরুন রায় দেখালেন প্রথম আলোর আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড। লোকটা খুশি হতে পারলেন না। বললেন, এ আবার কেমন পত্রিকা। এর নাম শুনি নাই। তিনি নাকি দৈনিক ব্যানার এর আইডি কার্ড দেখে মহাখুশি। তার ধারণা এটি অনেক বড় পত্রিকা। বরুনদা বলছিলেন, ব্যানারের সৌজন্যে তারা সে যাত্রায় সীমান্ত পার হতে পেরেছিলেন।
বেলা পৌনে ১২ টায় পৌঁছলাম পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারি বন্দরে। চরম অব্যবস্থাপনা পুরো এলাকাজুড়ে। ইমিগ্রেশন অফিস দালালে ভরা। কাজে বিশৃঙ্খলা। বসার জায়গা নেই। দাঁড়ানোর মতো পরিবেশও নেই। পুরো এলাকা ধুলি ধুসরিত। ওই পথ দিয়ে পাথর আসে ভারত থেকে। পাথর পরিবহন, পাথর ভাঙা; সব মিলিয়ে ধুলায় অন্ধকার। ওখানকার মানুষের মনও যেন পাথর।
ইমিগ্রেশন অফিসে বেজায় ভিড়। এত লোক ওপথ দিয়ে ভারতে যায়, ধারণা ছিল না। বাসের কন্টাক্টর আর কিছু ‘উপকারি’ লোকদের সহায়তায় ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ হলো। এবার সীমান্ত পার হওয়ার পালা। শেষ চেকিংটা বেশ ঝামেলার। গাট্টি-বোঁচকা সব চেক করা হয়। সেসব করতে গিয়ে লম্বা লাইন। ওই ‘উপকারি’ লোকদের সহায়তায় সেটাও পার হলাম।
চলবে…