মহুয়ার বনে
সারা পথ মিস করি তোমারে—
নিমপাতা দুলে ওঠে বাতাসে, কাঠগোলাপ
খরতাপে ম্রিয়মান, ঝিঁঝি ডাকে; মধ্যদুপুর
ঘুম নিয়ে আসে ঘাসে।
কুন্দের ঝোপে একটাও ফুল নাই আর
তোমার জন্য খালি খালি লাগে বুক, মহুয়া!
ডাকাতিয়া
তোমারে বলতে চাই অকপটে সব
মনেতে লুকানো আছে যত প্রস্তাব
কী জীবন কাটতেছে কী কী চিন্তায়
সেসব বিছাইতে চাই তোমার ছায়ায়
তোমার গতরে রেখে সমূহযাপন
প্রেমে ও প্রতারণায় বেঁচে দেবো মন
সামাজিক যা কিছু নিয়মের ঘরে
করবো সমস্ত চুরি দৃশ্যে, অগোচরে।
উদ্যানে অনন্তকাল
দিন না আমরা দুনিয়া কাটাইতেছি—জান্নাত
তোমারে পাবো বলে, বুঝি ফুটতেছে বিরহ জারুলে জারুলে
আর কৃষ্ণচূড়ার ডালে। অপেক্ষা এমনই ফুল, ঋতুর নিয়ম
জেনে ফোটে সময়ে; বৃক্ষরা সব জানে।
বৈশাখে বিকশিত কিশলয়ে তুমি শিগগিরই ঝড়-বৃষ্টি হয়ে আসো!
নিরঞ্জন
ভাষা যা বলে না, নীরবতা বলে সেই কথা
হয়তো তোমার পায়ে উড়ে এসে পড়বে পাতা
তুমি কিছু টেরই পেলে না, রইবে নির্বিকার!
শিখেছো, মানুষের ভাষাজ্ঞান শব্দচিত্রকল্পে—
ভুলে যাও সবকিছু নাম-ঠিকানা, প্রেমে যারা
মেলে তারা কেউ কারও না!
কৃষ্ণচূড়া
বিকেলে মনের পাশে কৃষ্ণচূড়া ছায়া হয়ে আছে—
তুমি-আমি কোনোদিন বসি নাই, তুমি-আমি কোনোদিন
সেইসব রোদে আর অবসরে মুখোমুখি হবো না, প্রেমে
রাত ফুরায়ে গেলে মনে হয় দিনগুলো চিরদিন হয়ে যায়;
চৈত্রের ফোটা ফুলে ঋতুতে ঋতুতে লেখে রঙে লাল
হারায়ে ফেলি যারে সেই থাকে, সঙ্গে চিরকাল।