আগুনের অবশেষ
ড্যান্সহলে অগ্নিহোত্রী। তবলচী বৈশ্বানর।
কী করে ছড়ালো পাখির চোখঝলসানো এতোটা দাহক?
পুড়ল প্রজাপতিডানা।
পেখমের ভাঁজ খুলে দূরান্তে পালালে ময়ূর।
দাবানল থেমে যাবে ঠিক।তার আগে
পাতা পুড়বে। বুনোফলফুল।
বৃক্ষপল্লবাদি কাঠকয়লা হবে।
আরো বহুক্ষণ
কড়কড়াৎ ধ্বনিতে
বনপোড়ানো রণভেরীর হুহুংকার শোনা যাবে।
ধীরে ধীরে স্তিমিত হবে আগুনের লেলিহান জিভ
বাতাসের হোসপাইপ ধুয়ে নেবে সব জঞ্জালধোঁয়া।
অবশেষ থাকবে
কিছু গাছের কংকাল
বহুদিন উড়বে কিছু ছাই।
যাবার সময় হলে
কোথাও যাবার কথা হলেই আমার ট্রেনের কথা মনে হয়
এবং টিকেটচেকারের বিষাদমগ্ন আঙ্গুলে ধরা টিকেটের কথা।
এক কামরাভরা যাত্রী,
সদ্য স্বজন ফেলে আসা বিরহব্যথা;
ইঞ্জিনের ঝিক ঝিক ঝিক বাজনার মন আনচান করা কোরাসে
সম্মিলিত বিষন্নব্যথা বেজে ওঠে।
পূর্বতন ভ্রমণের নস্টালজিক স্মৃতিমন্থনের সাথে দুলতে দুলতে
আমরা এক নিরূপিত গন্তব্যের দিকে ছুটে যাই।
শেষ হুইসেল বেজে ওঠার সাথে সাথে
আসন্ন একাকীত্বের যন্ত্রণাব্যাকুল
প্লাটফরমের হৃদয়মথিত দীর্ঘশ্বাসের কথা মনে হয়।