গলিত বিশ্বাস
কোন এক ঝুলন্ত সন্ধ্যায়
তোমার যাযাবর বুকের পাজরে
আমার নাম লিখেছিলাম ধীরে ধীরে
নদীর উত্তাল স্রোত দিয়ে
সূর্য আগুন অহংকারে
তারপর ভয়ংকর দরপতনে
নির্বাক হয়ে গেল পাহাড়ের চূড়ো
অসহায় হয়ে গেল কালজয়ী সুখ
আমি শুধু লুকিয়ে রেখেছিলাম
এক টুকরো বৈসাবি অনুভূতি
জোৎস্নার আলোয় ধুইয়ে
আঁচলের উম উম গিঁটে
মাঝে মাঝে শুঁকে দেখি
আকাশের মুখোমুখি বসে
পা ডুবিয়ে অমাবস্যায়
গলিত বিশ্বাসের জানালায় ঝোলে
মোটা কালো পর্দা।
বোধ
যেদিন খড়কুটো হয়ে উড়ে গেলাম
সেদিন তুমি দৌড়েছিলে
আমাকে ধরতে পিছু পিছু
তোমাকে আটকে দেয় হিংসুটে বাতাস
ধরতে ব্যর্থ তোমার পীত করতল
আলগা করুণ মুষ্ঠিযুগল
তোমার চোখে সেদিন হতাশার মৃত চাঁদ
আলো নেই অন্ধকারে কবিতারা
ওষ্ঠের ভাঁজে ভাঁজে গ্রীষ্মকাল
ছন্দের অভাবে তছনছ বিকেলে
আটকেছিল তোমার মন
আর এমনি দৃশ্যে তুমি বন্দি হলে
ক্যানভাসের চৌকোণে
বন্দী করলো কোন এক আরাধ্য তুলি
তুমি তা জেনেও জানো না
বুঝেও বোঝো না।
অবেলায়
অবিশ্বাসের উল্কি আঁকা চাঁদের শরীরে
আর সে গল্প করেছিল সহাস্যে মেয়েটা
ধলেশ্বরির জলে ডুবতে ডুবতে
তারপর কেটে গেছে সহস্র দিন
লেখা হয়েছে সহস্র চাঁদমুখ কবিতা
নগরে ভেসে এসেছে দলে দলে
শঙ্খচিলের সোনালি পালক
মাঝবয়সী মেঘের সাথে যার অবাধ সখ্যতা
আর তাই বৃষ্টিরও তড়িঘড়ি আগমন
অবেলায় সশব্দে কাঁচপোকাদের ঘরে
ভেজা খাম ভেজা তিলফুল
জানলা গলে বুনো বৃষ্টির প্রবেশ
তাই বুঝি তোমার ভেজা করতল
ভেজা তোমার আয়ুবের্দিক মন।
ভাষা-বানানরীতি-সম্পাদনা: লেখক