ভূতের ছেলে
ভূতের ছেলে মোকা
গভীর রাতে
দুয়ারটাতে
আস্তে মারে টোকা।
ভূতের ছেলে মোকা
চালাক ছেলে
সামনে পেলে
দেয় বানিয়ে বোকা।
ভূতের ছেলে মোকা
বলতে পারি
বদ সে ভারি
ডানপিটে একরোখা।
টাইগার
বাংলাদেশের বাঘের ভয়ে
বলটা গেল বুলেট হয়ে।
বিঁধল গিয়ে ওদের বুকে
‘টাইগার’ সবার মুখে মুখে।
বাংলার মাটি খাঁটি দোঁআশ
এই মাটিতেই বাংলা-ওয়াশ।
এই ভাবে
এই ভাবে লিখলে ছড়াগুলো নাইস হয়,
এই ভাবে ভাঙলে ধানগুলো রাইস হয়।
এই ভাবে পিটালে বখাটেরা সাইজ হয়
এই ভাবে বানালে বাড়ি হাই-রাইজ হয়।
অমর একুশ
ভাষা শহীদ সালাম নাও আজ,
যে আশাতে তুললে আওয়াজ
গগনবিদারি,
ফের এসেছে দিবস তারই,
অমর একুশ ফেব্রুয়ারি।
ক্ষয় হয়েছে ভাষার শোকের?
যার দাবিতে অন্য লোকের
ধার না ধারি?
সেই কি দিবস ভুলতে পারি?
অমর একুশ ফেব্রুয়ারি।
শুকিয়ে যাওয়া পলাশ-মালা
যার ছোঁয়াতে ভাঙল ‘কালা—
কানুন’ জারি,
সেই কি দিবস ভুলতে পারি?
অমর একুশ ফেব্রুয়ারি।
যার ছোঁয়াতে ক্ষোভ দানাদার
শেষে যে বধ পাক-হানাদার
অত্যাচারী,
সেই কি দিবস ভুলতে পারি?
অমর একুশ ফেব্রুয়ারি।
শিশির কণা শেখালো যার
কোনোক্রমে আমরা তো হার
মানতে নারি,
সেই কি দিবস ভুলতে পারি?
অমর একুশ ফেব্রুয়ারি।
খেলো যে দিন প্রথম হোঁচট
যার দাবিতে যুগল যে ঠোঁট
এই আমারি,
ফের এসেছে দিবস তারই,
অমর একুশ ফেব্রুয়ারি।
টোকাই
তোমার ছেলের সাথে আমার খেলতে কেন মানা
আমি কি ভাই মিরন মিয়া, মীর জাফরের ছানা?
তোমরা যেথায় দিব্যি চলো, হারাম আমার ঢোকাই
এই দুনিয়ায় আমি কি ভাই ইচ্ছে করেই টোকাই?
ইচ্ছে জাগে এই মনেও ঘুরতে হাওয়াই লঞ্চে
স্বপ্ন দেখি নেতা আমি, দিচ্ছি ভাষণ মঞ্চে।
স্বপ্ন সেসব যায় মিলিয়ে যখন শীতে কোঁকাই
হয় যে মনে আমি তো এক শুধুই পথের টোকাই।
আমায় যারা দাও তাড়িয়ে গেলে তোমার কাছে
ভেবেছো কি আমার মতো তোমারও কেউ আছে।
আমি যদি হতাম তোমার কোলের কোমল খোকা-ই
অবহেলায় তখন আমায় বলতে কি আর টোকাই?
বুদ্ধিজীবী এখন যারা মস্ত বড় জ্ঞানী
তোমরা নাকি মহা মহা মহাসাধক-ধ্যানী!
জ্ঞানী ধ্যানী নও কিছু নও, তোমরা তো খাস বোকা-ই
মানুষ আমি তবু আমায় বলছ কেন টোকাই?
তোমরা আমায় নানান কথায় দিচ্ছ শুধু ধোঁকাই
দোহাই তোদের আমায় কেউ আর বলো না টোকাই।