বিশ্ব করি জয়
বাবা আমায় শিখিয়েছে
সত্য কথা বলা
অনিয়মের বাঁধন ছিড়ে
সহজ পথে চলা।
নিজের চেয়েও মানুষ বড়
তার চেয়ে এই দেশ
কাজের মাঝে বাঁচে সবাই
যার হবে না শেষ।
সেই আদর্শ ধারণ করি
নেই তো মনে ভয়
বাবার আদেশ,বাবার দোয়ায়
বিশ্ব করি জয়।
আমি যদি পাখি হতাম
আমি যদি পাখি হতাম
কিযে মজা হতো
যেথায় খুশি উড়ে যেতাম
নিজের ইচ্ছেমতো।
হতাম যদি প্রজাপতি
রং মাখাতাম গায়
পাতায় পাতায় লুকালে
কে খুজে আর পায়?
হতাম যদি গাছে গাছে
না না বর্ণের ফুল
সুতোয় বেঁধে খুকুমণি
পরতো কানে দুল।
ঝর্ণা ধারা হতাম যদি
বইতে আপন মনে
ভর দুপুরে কে থাকে আর
একা ঘরের কোনে?
হতাম যদি ছোট গাঁয়ের
ছোট নদীর ঢেউ
জলের সাথে মিশে যেতাম
দেখতো না যে কেউ।
হতাম যদি আকাশ জুড়ে
সাদা মেঘের ভেলা
চাঁদ তারাদের সঙ্গী হয়ে
কাটিয়ে দিতাম বেলা।
নক্সি কাঁথা বোনা
একটি পাখি সাদা এবং
একটি পাখি কালো
একটি পাখির মাথায় ঝু্টি
লাগে ভীষন ভালো।
একটি পাখি সবুজ এবং
একটি পাখি নীল
একটি পাখি লম্বা ঠোঁটে
দখল করে বিল।
একটি পাখি গান যে গায়
একটি ডাকে সুরে
ঝাঁকে ঝাঁকে কিছু পাখি
নীল আকাশে উড়ে।
শীত এলেই না না রংয়ের
পাখির আনাগোনা
বাংলাদেশের বুকে রে ভাই
নক্সি কাঁথা বোনা।
শিয়াল পণ্ডিতের পাঠশালা
অনেক গুলি ছানা নিয়ে
কী যন্ত্রণা তার
বলছে কুমির ধুত্তরী ছাই
ভাল লাগে না আর।
লেখা পড়ায় মন বসে না
চায় সারাদিন খেতে
দুষ্টুমিতে ভাইবোনেরা
থাকে কেবল মেতে।
শিয়াল মামার পাঠশালাটা
পেয়ে গেলো শেষে
এবার ওরা মানুষ হবে
বললো তো মা হেসে।
পাঠশালাতে ভর্তি করে
ফেরে যখন বাড়ি
ছেলে মেয়ে মানুষ হলে
কিনবে বাড়ি গাড়ি।
মহাখুশি শিয়াল পণ্ডিত
করছে লম্ফঝম্প
ভূরিভোজের আয়োজনে
বুকে খুশির কম্প।
একেক করে খেয়ে ফেলে
সব কয়টি ছানা
তাকধিনা ধিন নাচে শিয়াল
কে করে আর মানা?
ছানার শোকে বোকা কুমির
চোখের জলে ভাসে
মনের দুঃখে যায় নদীতে
আর কি চরে আসে?
তাল গাছের ভুত
তাল গাছেতে বাসা বেঁধে
বাস করে ছয় ভুত
ডানপিটেদের ভয়ে তাদের
মন করে খুত খুত।
গাছের নিচে জড়ো হয়ে
দুষ্ট ছেলের দল
ছুড়ে মারে ইট পাটকেল
ধুমছে মারে বল।
একটি ভুতের মাথার ওপর
পরে গাছের তাল
ওরে বাবা মরেই গেলাম
ভেংগে গেলো গাল।
বাচ্চা ভুতের কান্না দেখে
কষ্ট মায়ের বুকে
এবার যাবো অশ্শথ গাছে
থাকবো যে ঢের সুখে।