পরমায়ু
মেঘের জানালায় মনোহর স্বপ্নফুল
নীল হয়ে ছবি আঁকি প্রচ্ছদে
হারানোর দিবসের ইতিবৃত্ত।
শব্দের খেলায় জমে ওঠে প্রেমের সরোদ
হারিয়ে যায় গহীনে প্রকৃতির আঁচলে
বাতাসে ওড়ে স্বপ্ন উন্মুক্ত পাঠশালায়।
ঝরে পড়া কালের পরমা ঠিকানা খুঁজি
অনিন্দ্যসুন্দর অনাদিকালের পথ।
খোলা-জানালা
আলোপেন্সিল মূর্খ বন্ধুদের মহলে
পেছনে দৌড়ে, লজ্জায় আকাশে বৃষ্টি নামে
সুধীসমাজে কথার ঢেউ নষ্টের অঙ্কুর বীজতলায়
ঝরে পড়া স্বপ্ন অসময়ে খা-খা রোদ্দুর।
স্বার্থ- লোভে শব্দের গহিনে কলমযুদ্ধ
লোচনের পাতায় জমে উঠেছে রক্তের খেলা
সময় কথা বলবে পূর্ণিমার খোলা জানালায়
ব্যর্থ খাতায় মুছে যাবে শখের দিনলিপি।
সাগরপার
হৃদে প্রকৃতির বিরহের পাতা ঝরে, ছুটে যায় আদিনাথে
পাহাড়ের বৃক্ষ গুলো অমিয়শোভা দৃষ্টি আকর্ষণ
সুন্দরের সন্ধানে যুগল কারিগর সাগরপাড়ে
শব্দের মিছিলে ধূলাবালি দুর্গন্ধভরা পর্যটক শহরে।
ছয় নম্বর ঘাটে প্রত্যহ শিশির ঝরা প্রভাতে
কাঠের সাঁকো পারাপার কুতুবসাম্পানের যাত্রী
জলভাঙে নাবিক অনিন্দ্যআয়েশে বোধের পাঠশালা
অমলিন সবুজমন, নিয়তিপাড়ে উড়ন্ত পাখি—
গেয়ে যায় শান্তি, ঠিকানা খোঁজে কালের কুহক।
দরিয়া গুজরে
বাগানের শব্দফুল বাতিঘরে রেখে যাচ্ছো দূরে
জোয়ার-ভাটা ঝরা পাতার দিনগুলো সুখের
অনিন্দ্য-আয়েশে ব্রহ্মপুত্র নদে।
ফুলবাড়িয়ার প্রেমের নাচন আলোর মিছিল
আঁখি মেলে আদিঅন্তে।
দরিয়া গুজরে শিল্পীর কারুকাজ বালুচরে
ঢেউয়ের স্রোতে মুছে যায় কাব্যময় শুভ বিকাল
পথের প্রদীপ আগামীর কালের কণ্ঠ।
নিরিবিলি
মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ে জোছনার ঘর
মাকালফল টেবিলে স্বপ্ন নাচে নিরিবিলে
কালের প্রকৃতি জমে ওঠে পিপাসার সমুদ্রে
ঠিকানা খোঁজে জলপাখি অমরত্বের সুগন্ধচাবি।
ফুল দেখলে ভয়, পরখইয়া’র আত্মপ্রচার
অন্তর্দাহে স্মরণপাতার স্রোতে অন্তরাল
অ্যালবামে বৃক্ষগুলো অগ্রজের নির্মাণের ছায়া
মেরুদণ্ড ভেঙে পড়ে জোছনার ঘর।