কুয়াশা উত্তোলন
শুভ জন্মদিন
আত্মহত্যা শব ধরা পড়ে যাচ্ছে
পিতলের কলসি ভরে
গলগল করছে জোছনা
টুং টাং শব্দে
রাস্তার ল্যাম্পপোস্টগুলো
আহত আলোকপিণ্ড
সাফাই সাক্ষ্য দিতে এসে
জেগে উঠছে
নরম ধাতুর লাভায়
একঝাঁক আত্মা সাজিয়ে
আগুনের কাছে দাবি করছে
সংবর্ধনার ফুলেল শুভেচ্ছা
মঞ্চ
উঁচু চেয়ারে অভিনব হত্যাকারীই বসবেন
প্রধান অতিথি হবেন কৌশলী গোপন দালাল
সভাপতিত্ব করবেন খুনি-শয়তানের মিষ্টি মুখ
বোকচোদ বয়ানের প্রটোকল দেবেন
বাজার ফর্দির মতো কতিপয় কিছু অফিসার
আর করতালির মজুদে উপস্থিত হবো
তুমি আমি তারছেঁড়া অবুঝ আবাল!
বর্তমান
বন্ধুত্ব বাঁচিয়ে রাখা যায় না
চলো শত্রু হয়ে যাই
পাখিপালকের উড়াল না জেনে
পৃথিবীর বিপরীত স্রোতে যারা ভাসমান
সমতল অন্ধকার যাদের করেছে গ্রাস
তাদের
ভেতর পৃষ্ঠার ফটোকপিতে
মায়ারশ্মি কাঁদে
কেঁদে ওঠে শিলাবৃষ্টি শহর
ভূগর্ভস্থ
৭০ ফিট মাটিস্তন জলের ফোয়ারা
শস্যের শিকড় গভীরে পৌঁছনোর আগে
জলাতঙ্ক রোগের ভেতর ছড়িয়ে পড়ে
মহাকাল
আর আমরা ছোট হতে হতে পিঁপড়ের ছায়ায়
তলিয়ে যাই
বর্তমান নাকি এ রকমই— কেউ কাউকে
খুঁজে পায় না
জিওল মাছের মূলভাব
আমি বর্গাচাষি
সারারাত পুকুর সেচে
. তরতাজা জিওল মাছ
. বুকে আগলে
. বাড়ি ফিরি
দরজার কাছেই
কালো কুকুরমতো অপেক্ষা করে
একটি পুরনো কবর
. ব্যঙ্গ করে
. হাসে
আর আমি জারজ ইচ্ছেই বলতে থাকি
বেশ্যাকেই ভালোবাসি!
শাহ আব্দুল করিম
দুই আঙুলে নাচে দশ জনমের মহাকাল
অন্ধকার সতীচ্ছেদ প্রথম এই ঘরে— হুঁড ছড়ানো হাওয়ায় ছড়িয়ে
এখানে হুকুমকর্তা ও পালনকারী একই ব্যক্তি
বুদ্ধের ধ্যানে অনন্য এক অধিকারী
এ ঘরের বালিশে তোশকে রুটিছেকা তাওয়ার ওমে ও ঘুমে
জোছনার গৃহস্থালি
আউশধানের গন্ধ মাখামাখি
হঠাৎ আকাশ কাঁপিয়ে কে যেন নামলো; তিনি আদেশ করলেন
কে কোথায়, দেখতো— সদর দরজায় কে এলো?
তিনিই এগিয়ে গেলেন, দেখলেন
বাউলমনের শালপাতায় নেচে যাচ্ছেন জিব্রাইল!