মাংসাশী প্রাণীর মতো
মাংসাশী প্রাণীর মতো আমাদের বিচিত্র আঙুল—সুচালো দন্ত
গুহামুখী হবার চেষ্টায় রক্তরঙে ঝুলে থাকে পৃথিবীর পরাস্ত নীতি—
লাল তুমি কত পথ—কত মতের প্রতীক!
তোমাকে কুর্নিশ করে বয়ে যায় নদীর কান্না
মাটি আর বাতাস গুমরে ওঠে—
তবু লাবণ্য দেখবার প্রত্যাশায় উড়ায় হৃদয়ের গোধূলি
বড়ত্ব
শয্যার তলদেশে পোকাদের সংসার
মোহের আলস্য ভেঙ্গে দেয় যাপনের ক্ষুদ্রজীবন
গোলকলিপিতে হয়ত তার কোনো অহং ছিল না
. কিংবা অলঙ্কার
তবু বড়ত্বের প্রলাপে রক্তছাপ আঁকা হলে
উত্তর-দক্ষিণে পড়ে থাকে সভ্যতা-মনুষ্যত্ব
খাচার প্রাণী
গৈগেরামের চাষার দীর্ঘশ্বাস দুয়ারে এসে দোলা দেয়
. কিংবা ডুকরে ওঠে
দীর্ঘ নিশ্বাসটি দীর্ঘ ইতিহাস
. হয়ত-বা উপাখ্যান
বস্তুত তা অনুবাদের ক্ষমতা এই কংক্রিটের দেয়াল ঘেরা
কোনো প্রাণীর পক্ষেই অসম্ভব
চাষাদের দীর্ঘশ্বাসে যে সোঁদা গন্ধ থাকে
তা বেসুমার মদিরতায় ছেয়ে যায় শূন্যভূমি
খরখরে রোদের নিশ্বাসে হয়ত শুধুই হাহাকার…
খাচার প্রাণীরা কংক্রিট বোঝে বৃক্ষ বোঝে না
আপ্ত প্রার্থনা
এখানে সময় একরকম কাকতাড়ুয়া
যতটা প্রাণের প্রলেপ লাগাতে চেয়েছি
তার চেয়েও বেশি হাহাকার রণিত হয়
এই তো সময়
তবু বসে থাকা আপ্ত প্রার্থনায়—
লালসালু সভ্যতা ঘুচে গেলে
জেগে উঠবে মানুষের প্রাণের মাঠ
যখন বাড়িগুলো পুড়ে যায়
ঘাসেরা ভুলে গেছে শিশিরের প্রণয়
. ঋতুবর্তী কুয়াশার মায়া
সহোদরার বিচ্ছেদে কাকহল্লা তৈরি না হলেও
. জ্বলে ওঠে দেহের সবুজ
চোখ শুধু দেখে যায় মানুষের হাহাকার
. এবং মানুষেরই উল্লাস
ঘাসের প্রতিবেশী চালাঘরের স্বপ্নগুলো
. শূন্যে ঝুলে থাকে
কেননা ঘর না থাকলে ঘরনির স্বপ্ন থাকে না