জয়দুল হোসেন—কবি, গবেষক ও সংগঠক। ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর তালুকদার বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মা মাহতাব বানু ও বাবা আবদুল মোতালেব ভূঞা।
জয়দুল হোসেন মূলত কবি, গবেষক ও সংস্কৃতি-সংগঠক। সাহিত্য একাডেমি’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। লেখালেখি ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সর্বক্ষণ যুক্ত আছেন, নেতৃত্ব দিচ্ছেন অগ্রভাগে থেকে। তার নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনেক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে উঠেছে। প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনে স্বাধীনতা-উত্তরকালে জেলায় তার ভূমিকা অগ্রগণ্য।
বাংলা একাডেমির ‘লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ (২০১৪) ও এশিয়াটিক সোসাইটির ‘মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া (২০১৬) ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র প্রধান সমন্বয়কারী তিনি।
প্রকাশিত গ্রন্থ: স্বরবৃত্তে স্বরাঘাত (১৯৯৮, ২য় সংস্করণ ২০১৮) ; খান মোহাম্মদ ফারাবী (১৯৯৫) ; ভালোবাসার কবিতা (১৯৯৭) ; সময় অসময় দুঃসময় (২০০২) ; পূর্ণদৈর্ঘ্য কবিতা (২০০৪) ; বারোমাসি ছন্দছড়া (২০০৬) ; মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিত্র ; নির্যাতন ও গণহত্যা (২০০৭) ; সপ্তডিঙা (২০০৮) ; সমুদ্রতীরে একা (২০১১) ; মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া (২০১১); সাম্যবাদী মন (২০১৩) ; লাল-সবুজের দেশের জন্য (২০১৫); ; অবিভক্ত বাংলার অসমাপ্ত বিপ্লব (২০১৬); মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস : ব্রাহ্মণবাড়িয়া (২০১৭) ; বিটঘর গণহত্যা (২০১৭) ও যুগলবন্দি মন (২০১৮)।
সম্পাদিত গ্রন্থ: হরলাল রায় স্মারকগ্রন্থ (১৯৯২) ; একেএম হারুনুর রশীদ স্মারকগ্রন্থ (২০১০); ডা. ফরিদুল হুদা স্মারকগ্রন্থ (২০১১) ; জন্মশতবর্ষে অদ্বৈত মল্লবর্মন (২০১৪) ; তিতাস তুমি কেমন আছো (যৌথ, ১৯৯৯)।
পুরস্কার ও সম্মাননা: ত্রিপুরা রাজ্য সরকার কর্তৃক অদ্বৈত মল্লবর্মন সংবর্ধনা (২০০১) ; সাপ্তাহিক আশুগঞ্জ সংবাদ লেখক সম্মাননা (২০০২) ; ত্রিপুরা রাজ্য সরকার কর্তৃক অদ্বৈত মল্লবর্মন সম্মননা ( ২০০৪); ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের আম্বেদকর জন্মজয়ন্তী উৎসব সম্মাননা (২০০৩) ; বাংলা ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র সম্মাননা (২০০৭); অগ্রদূত গুণিজন সম্মাননা (২০০৭); ভাষা-সাহিত্য সম্মাননা (২০১২) ; বিবর্তন আজীবন সম্মাননা (২০১২-১৩) ; আনন্দলোক সম্মাননা (২০১৩); বাংলা কবিতা দিবস পুরস্কার (২০১৪) ; জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা (২০১৬)।
২০০২ সালে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি স্বর্ণপদক পেয়ে তা ফিরিয়ে দেন।