অ.
যুগে যুগে কবিতার চিরায়ত উৎকর্ষ নতুন নতুন রূপে আসে। একই ঘরানার হয়েও অভিনব, অন্যরকম হয়। জীবনানন্দ দাশের কবিতার সামগ্রিক অভিনবত্ব বাংলা সাহিত্যে একটি উজ্জ্বলতর দৃষ্টান্ত। প্রথমদিকে তিনিও নতুনত্বহীন ধারায় লিখেছিলেন। পরে জীবনানন্দীয় অভিনব কবিতার সাক্ষাৎ পাই আমরা। সেটা ইয়েটসের কবিতার ভাব-স্বভাব-সুর-স্বর উদ্ভাবনের সঙ্গে মিললেও বাংলায় তা নতুন স্বাদ এনে দিয়েছে সুনিশ্চিতভাবে। বাংলায় অমন রূপ-সৌন্দর্যের ধারা পূর্বে অজানিত।
মুনিরা চৌধুরীর কবিতার ওপর কিছু আলাপ করা যাক। তার কবিতায় আমরা কত প্রকার নীরবতা বা নির্বাক ভাব পাই? মেলানকলি সাইলেন্স তো আছেই। এই মেলানকলিয়া কেন আসে কবির কাছে? কেন এসেছিল কিটসের কাছে? কেন ‘সুইটেস্ট সংস’ আসে ‘সেডেস্ট থট’ এর ভেতর দিয়ে? কেন জ্বলে-পুড়ে আঙরা হয়েছিলেন মির্জা গালিব? কেন শিল্পী-কবির তনু-মন জর্জর হয়, উপদ্রুত হয়? কেন মিজারি এত দখলদার?
মুনিরা লিখেছেন—
কষ্ট
একজন মৃত মুনিরা চৌধুরীর গোপন নাম!
সাধারণ জ্ঞানে দেখতে পাওয়া জীবিত মানুষদের তিনি মৃত মানুষ বলতেন। দেখতেন জীবনের শত-সহস্র রঙের কষ্টের সামনে মানুষ আসলে নীরব। এই নীরবতা আরও এক অনির্বচনীয় নীরবতার দিকে নিতে চায়, সেই নীরবতার কিঞ্চিত ইশারা আমরা পেয়েছিলাম স্টিফেন মালার্মে’র কাছ থেকে। সেদিকে আমরা কিছু দূর ভ্রমণ করবার আগে এক নজর দেখি, মুনিরা চৌধুরীর কবিতার কথা, মুনিরাহেনার কথা, মুনিরাকথার কথা লিখতে গেলে নৈঃশব্দ্যের শব্দেরা ভিড় করে। শোকার্ত সব, এক অলৌকিক আয়োজনে ডুবে যেতে হয় যেনবা, পৃথিবীর ঠিকানা ভুলে যাই—মহাশূন্যের ঠিক কোথায় পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘুরছে—আমরা বুঝে নিতে পারি না। তিনি মহাশূন্যের দোলনায় কোনো রক্তকরবী না থাকার পরও দোল দিতেন। দেখতেন নৈঃশব্দ্যের শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ছে।
লিখেছেন:
চক্ষু খুলে দেখি, কোথাও চক্ষু নেই, ছায়া নেই, বিম্ব-প্রতিবিম্ব নেই
শূন্য কুঠুরীতে পড়ে আছে
মৃত সব মুনিরামায়া আমার অগ্নিমায়া…।
( হেমন্তে রচিত হেমলক)
আ.
স্টিফেন মালার্মে কেবল অসাধারণ কবি ছিলেন না, ছিলেন আইডিয়া উদ্ভাবকও। তার জীবনের শেষের দিকের কবিতাগুলো তখন কেউ বুঝতে না পারার কারণে সমালোচনা করতেন। অনেকে কবিতা স্বীকার করতেন না। কারণ, difficult to understand because of its tortuous syntax, ambiguous expressions, and obscure imagery. Since his lifetime, critics have continued to disagree as to the precise interpretations of many of his later works. পরে ক্রিটিকেরা বুঝতে পারেন সেই সময়ের ফরাসি সাহিত্যের চার জন বড় মাপের কবিদের একজন স্টিফেন মালার্মে, যিনি এমন এক সাইলেন্সের কথা বলেছেন, যা beyond expression।
মালার্মে দেখেছেন, ভাষা অপূর্ণ। ভাষার মাধ্যমে কদর্থের বিপদ থাকে, ডিস্টরর্টেড মিনিং, পারভার্টেড মিনিং থাকে। অপূর্ণ ভাষা জগতের ক্ষণস্থায়ীত্ব সিগনিফাই করে। আর চিন্তা করা মানে ভাষার মেটেরিয়েল ছাড়া লিখতে থাকা। তিনি মনে করতেন, বিশুদ্ধ কবিতা transcendental—তুরীয়—অস্পষ্ট—দেহাতিরিক্ত—মিস্টিক; যা আসলে সাইলেন্স, মানে সাহিত্য সাইলেন্স অনুবাদের উপায়। সাইলেন্স অব দ্য গ্রেইভ, সাইলেন্স অব দ্য অবজেক্ট, সাইলেন্স অব দ্য ইমেজ ইত্যাদি। তিনি সাইলেন্স আর হোয়াইটনেস সমার্থক ভাবতেন।
উল্লেখ্য, সিম্বলিস্ট কবি স্টিফেন মালার্মের ‘সাইলেন্স’ এর সঙ্গে পরবর্তী সময়ে স্পেনিশ কবি হুয়ান রামোন হিমেনেসকে একাত্ম হতে দেখি। রামোন লেখাহীন খালি পৃষ্ঠার বইয়ে পৌঁছার আকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে দুনিয়ার বিষয়ের টেম্পোরারিলিটি আর ভবিষ্যতে অপব্যাখ্যার বিপদের কথা বলে গেছেন। কাব্যে বলেছেন—How pallid a thought it is that you, O beautiful work,/must die just as a star dies/through the weight of centuries…!
আরও পরে আমেরিকার কবি রাসেল অ্যাডসন বললেন, Pure poetry, for instance, is silence? আমরা দেখি, কবিতারা বিস্ময়কর নীরবতার সন্ধান আনে। বজ্রাঘাতের মতো, পাথরের মতো, খালপারের বুনোফুলটির মতো, মরুভূমির ক্যাকটাসটির গানের মতো, জাফরান পলাশ শিমুলের মতো, সুরমা কুশিয়ারা কর্ণফুলী দজলা ফোরাত টেমস হাডসন হোয়াংহো ইত্যাদির দুঃখের মতো, বৃক্ষের কান্নার মতো কিংবা মুখ ফিরিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ঘ্রাণের শিশির মতো নীরবতা নিয়ে আসে কবিতা।
আমরা দেখেছি ভাষার ক্ষমতা অনেক। অক্ষমতাও বিস্তর। যোগাযোগের একটা সর্বোচ্চ স্তর এমন যে, সেখানে আর ভাষার দরকার নেই, ভাষা অচল। সেখানে অতুল অনুপম নীরবতা।
মুনিরা চৌধুরীর কবিতায় অনুদিত সাইলেন্স পাওয়া যায়। চিন্তা ও আইডিয়ার নীরব ভাষা পাওয়া যায়, যা কবির নিজের কাব্যভাষা, যেখানে ineffable or pure notion প্রকাশ পায়। আমাদের স্পর্শ করে মুনিরা চৌধুরীর পঙ্ক্তি:
সখা হে, মমি হয়ে শুয়ে আছি অগ্নিঝর্ণার নিচে
আর জাগবো না
আর জাগবো না
কেনো জাগাতে চাও তবে
কেনো জাগাতে চাও ঘুমিয়ে-পড়া মৌমাছির ঝর্ণা
মুনিরার কবিতায় এক্সট্রা স্পেশাল ভাষিক সৌন্দর্য স্ফুট দেখি, দেখি প্রাঞ্জল হৃদয়স্পর্শী দরদি বয়ন, যেখানে বাবার চশমার নীরবতা, নিজের অসহায়তা অনুবাদ এভাবে করেন:
কোনো এক সন্ধ্যায় বাবাকে নিয়ে সাগরপারে বসেছিলাম
বাবা, চশমাটা খুল তো
তোমার চশমায় কয়েকটা কুয়াশার পাখি আটকা পড়েছে
পাখিগুলো মুক্ত করে দাও, পাখিগুলো ডানাহীন, অনেকটা আমার মতো…
প্রিয় কবিতাটা পাঠ করো সমুদ্রের নামে
কতোদিন হয় তোমার কণ্ঠ হতে উড়ে যায় না রঙের গজল…
( হেমন্তে রচিত হেমলক)
‘পাখিগুলো ডানাহীন, অনেকটা আমার মতো…’ পড়তেই পাঠক জ্ঞাপিত হন, সিগনিফায়ারের রূপের মোহ ছাড়িয়ে, মানে অ্যাসথেটিক ও রিদমের সীমানা পার হয়ে, এ সিগনিফায়েড পাঠককে মিজারির পরিপ্রেক্ষিত অনুভব করতে মশগুল রাখে।
ই.
শিল্প সংক্রামক হয়। শিল্প উৎসাহিত করে। শিল্প ভাবায় এবং থাবায়ও। এতেই শেষ না। শিল্প বরদার সিগনিফায়ার সামনে হাজির হয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু না বলে সাধারণ প্রচলিত ভাষায়, বলবে feel something. এ এমন এক অনুভবের কমান্ড, এর সামনে পাঠক-দর্শক-শ্রোতা অনির্বচনীয় এক পরিমণ্ডলে প্রবেশ করার ছাড়পত্র পায়, যেখানে ভাষার সিগনিফায়ার প্রবেশ নিষেধ। মুনিরা আমাদের নিয়ে যান সেই অনুভবে এভাবে:
স্ফটিক-পাখিরা, আমার প্রাণবন্ধু তারা
আমায় জাগ্রত রেখে চলে গেছে ঘুমের জঙ্গলে
(নয় দরজার বাতাস)
এবং
আমি সংগোপনে ঠাকুর মা’র পিতলের কৌটা থেকে শরৎকাল বের করে নিয়ে আসি
স্বর্গের শিশির দিয়ে ধুয়ে দেই ভোরের দুইচোখ, মথুরা বৃন্দাবনের ঘুমসমগ্র।
(মৃতের মাতৃমঙ্গল)
কিংবা
নরম নরম প্রজাপতি ভেসে আসে
শূন্যস্থান হতে আসে কুচি কুচি আগুনের ফুল
অথবা
হায় শ্যাম
তুমি কি একবার এসে খুলে দিয়ে যাবে জল ও ঘুমের কপাট!
( হেমন্তে রচিত হেমলক)
কপাট খুলে দেওয়ার এ আর্তি বেদনাভরা! ঘুম মানে সাদামাটা ঘুম না, সচেতনতার বাইরে থাকা; চৌদিকে জলের বিস্তার এক বন্দিদশা। জীবনের পরতে পরতে কত কিছিমের কপাটবদ্ধতা। কত কষ্টের লেনদেন, কত অনাকাঙ্ক্ষিত পরিপ্রেক্ষিত। মুনিরা জানান:
ফুল পাখি নদীর কাছে নয়
প্রতিদিন আমার কষ্ট আমার কাছে বিক্রি করে দেই
না-লেখা কবিতাগুলো টেনে টেনে শ্মশানঘাটে নিয়ে যাই
অগ্নিমাখা ফেইসবুকে প্রকাশ করি
(নয় দরজার বাতাস)
নিজের কাছে নিজের কষ্ট বিক্রি করতে হয়। কেননা, জীবন বৈরিতাঘেরা থাকলে নিজের সঙ্গেই বোঝাপড়া করতে হয়। অযুত অ্যান্টেগনিজমের পরও জীবন শিল্পকে আপন করে নেয়, যে-জীবন শিল্পের জন্যে প্রস্ফুটিত। মুনিরা লিখলেন:
রক্তডালিমের কুসুম পুড়িয়ে আমিও গান করি
মহাশূন্যের এই মহা-অডিটোরিয়ামে আমিও গান করি
(নয় দরজার বাতাস)
ঈ.
মুনিরার কবিতায় ডেসক্রিপশন নেই বললেই চলে। নেই আবার আছেও। না থেকেও থাকার মতন। কিন্তু সেখানে written representation আছে ভাষার শব্দে-বাক্যে-অলঙ্কারে গতানুগতিক ডেসক্রিপশন ছাড়া। সেখানে পাঠকের মননে বহুবিধ ডেসক্রিপশন উন্মোচিত হয়। কারণ সেখানে চেনাজানা শব্দার্থের দুনিয়ার ডেসক্রিপশন নেই। এ ব্যাপারে একটু বিশদ বলেছেন আমেরিকার কবি রাসেল অ্যাডসন এক সাক্ষাৎকারে। বলেছেন, …description is deadly to a prose poem. তিনি মনে করতেন words কবিতার শত্রু। মানে কী? ওয়ার্ডস মানেই ঠিক শব্দাবলি না, কথা, যে-কথা বর্ণমালার সম্মিলনে ফোটে। কবিতার কথা তো সাধারণ কথার মতো কথা না। অলঙ্কৃত কথা, রূপক কথা, ইনসাইটফুল কথা, অচিন ভুবনের নানা প্রসঙ্গের পরিচয় আনকভার করা কথা। সেখানে সাদামাটা কথার আধিক্য কবিতার সঙ্গে দুশমনি করে। (Interview: The Art Of The Prose Poem/Russell Edson)
উ.
মুনিরার কবিতা গদ্য রীতিতে বিকশিত। রীতি মানে যদি জাঁরা বুঝি, তাহলে গদ্যে কবিতা লেখা মানে জাঁরা না মানা, ইমাজিনেশন যেদিকে নেয় সেদিকে, মানে সে-ধারাতে চলতে থাকা। মুনিরার কবিতায় তার-যে আপন রীতি, সেটি যেনবা অনেকটা প্রচলিত রীতির বাইরের, মানে beyond genre. ভালো লেখক এ কাজ করে থাকেন। ভার্সের বা পদ্যের কৃত্রিম বিন্যাস পদ্ধতিতে বন্দি না থেকে, আপন মনে গদ্যে সুষমামণ্ডিত ছন্দস্পন্দন ফোটাতে সচেষ্ট থাকেন।
প্রাচীন ‘সং অব সলোমন’ লিরিক্যাল কবিতা সিরিজে মুক্ত গদ্যছন্দে ১২৫ লাইনে লিখিত।
সংস্কৃত সাহিত্যেও ছন্দসমৃদ্ধ গদ্যের ব্যবহার হয়েছিল৷ তাকে বলা হতো বৃত্তগন্ধি লেখা৷ মুনিরা চৌধুরীর কবিতার গদ্য রূপে আমরা সুনিয়ন্ত্রিত সুন্দর স্পন্দনলীলা পাই, অন্তর্লীন গতি সঞ্চারের সাক্ষাৎ পাই। এই সুন্দর পদ্য আকারের নাচের তালের চেয়ে গম্ভীর সুন্দর। কারণ মুনিরার কবিতায় ‘জিন্দেগি হ্যায় বেওয়াফা লুট পেয়ারকা মজা’ কিছিমের হালকা পানসে প্রণোদনা নেই। আধুনিক গদ্য কবিতার সুন্দরের শক্তি কতটা প্রবল মনোহর হতে পারে, তা আমরা ওদিকে ওয়াল্ট হুইটম্যানের কবিতায়, এদিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলামের (এবং আরও তো আছেনই) কাছ থেকে পেয়েছি।
‘এখন তর্কের বিষয় এই যে, কাব্যের স্বরূপ ছন্দোবদ্ধ সজ্জার ‘পরে একান্ত নির্ভর করে কি না। কেউ মনে করেন, করে; আমি মনে করি, করে না। অলংকরণের বহিরাবরণ থেকে মুক্ত করে কাব্যকে সহজে আপনাকে প্রকাশ করতে পারে। (গদ্যকাব্য — শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)।
এছাড়া রবীন্দ্রনাথ আমাদের আরও জানালেন, ‘যজুর্বেদে যে উদাত্ত ছন্দের সাক্ষাৎ আমরা পাই তাকে আমরা পদ্য বলি না, বলি মন্ত্র। আমরা সবাই জানি যে, মন্ত্রের লক্ষ্য হল শব্দের অর্থকে ধ্বনির ভিতর দিয়ে মনের গভীরে নিয়ে যাওয়া। সেখানে সে যে কেবল অর্থবান তা নয়, ধ্বনিমানও বটে।’ (প্রাগুক্ত)
আমরা দেখতে পেলাম, কবিতা পদ্যে ও গদ্যে দুইভাবেই আসে সারগর্ভ হয়ে, মনোহর হয়ে। কোন্ গতিভঙ্গি ধরে কখন কোনটি ফুটবে বলা যায় না। কবি ইচ্ছে করলেই সেটি পারেন কি? মনে হয় না। মনে হয়, কবিতা যখন উঁকি দেয় কবির মননে, কবি যে স্টাইলে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, সেই স্টাইলে লিখতে থাকেন। মুনিরা চৌধুরীর একটি কবিতা পড়া যাক:
২৫.
না-বলা শব্দগুলো ধীরে ধীরে কচ্ছপ হয়ে গেছে
কচ্ছপের মাথা ভেঙ্গে গেছে…
নিঃশ্বাস আটকে আছে খোলসের ভেতর…সমুদ্রে বৃষ্টি দিচ্ছে, আগুনের…অদৃশ্যের পাখিগুলো হাতের উপর এসে আর বসে না
অনেকদিন স্বপ্নের মঝে ঠাকুর মায়ের গল্প শুনি না
পুরনো কবিতা থেকে রঙ উড়ে গেছে অক্ষরের
বোবা কথাগুলো ঠাকুর মা হয়ে গেছে…গাছের আঙুল ধরে চলছি…
শীতার্ত গাছ
আমিও শীতার্ত মন্ময় আগুনে।
(মুনিরাকথা, নয় দরজার বাতাস)
ঊ.
আমরা জানি, ক্ল্যাসিক্যাল কবিতার ভাষা সুসংযত ও সুসংহত হয়। অন্য গুণও থাকে ক্ল্যাসিকের। সব গুণ সব ক্ল্যাসিক কবিতায় থাকে না। মুনিরার কবিতা ক্ল্যাসিক্যাল বা ধ্রুপদী ঘরানার। তাতে ওই ক্ল্যাসিসিজম নেই, যেখানে প্রতি পঙ্ক্তি বা প্রতিটি কবিতা তুলে ধরে নির্দিষ্ট অর্থ (precise interpretation). সেখানে থাকে, কখনো পঙ্ক্তির দ্বারা, কখনো শব্দের দ্বারা বা ইমেজের দ্বারা transfusion into dream. আপাতত এখানে ইতি।