জলডানার কানাইল যাবে ডাকাতিয়া মুখে
সবুজে দোলায়—কিষাণের মন, বাতাসের স্বর
কেহ ছেড়ে যায়—দু’চোখের সীমা, দূর—দূর পর…
এক পাশে বসে—ভ্যানগগ আঁকে, পরিবেশ মন
রঙ, তুলি ও সে—মরমে এঁকেছে, নদীর জীবন…
আমার যে নদী—মরেছে সেকালে, ঢেউ-ফেনা মুছে
কোথায় জলধি—চোখের কোটোরে, নোনা ব্যথা সুঁচে
শতাঘাত হানি—বিবেকের কাছে, অদেখা আসরে
পাহাড় চুঁয়ানী—জলডানা পাক, এই চরাচরে…
এপার-ওপার—সাধু সাড়া দাও, ডাকাতিয়া ডাকে
কানাইল তার—জলজে জাগুক, ফুলে বাঁকে বাঁকে…
কে তুমি
কে তুমি আমার চোখে, জ্বালা ধরা সুখ
কখনো ভাবিনি আগে, হৃদয়ে জাগিনি
এমনি সুষম পথ্যে কথার রাগিণী
ভরাবাটি দুগ্ধ পিয়ে আমি চুকচুক
নিদারুণ সময়ের পিঠে চড়ে একা
কতদূর যেতে পারি—স্বপনে পাহারা
মানুষের ছায়ামায়া মানে না কো যারা
তুমিতো তাদের নও, কালের অদেখা
তবু আমি দেখি ঠিক, চোখে জ্বালা ধরে
গত ও আগত এসে ঘোরের আবহে
দূরগামী হতে বলে ধীরে রয়ে-সয়ে
মুখামুখি হবো ঠিক, আগে কী-বা পরে
রাতের মধ্যমা তুমি জোছনা উদাস
তুমি নও কারো কোনো তুরুপের তাস…
বৃষ্টিভেজা মুঠোকথায়
টিপ টিপ বৃষ্টির ফোটায় ভিজে ভিজে
শিহরিত আমাদের মুঠো কথাগুলো…
কী দেখে না দেখে, কী বুঝে কী ভেবে
ভ্রমর মনের ইচ্ছাগুলো তোমার মধ্যেই
ফোঁটা ফোঁটা প্রীতি খেলায় তুমুল পেরেশান…
সেই তখনই, তোমাকে বালিকা ভাবি;
চল দেখতে থাকি, বুঝতে থাকি
গুঁড়ি ফেনার জলজ মাঠে
মিথুন গ্রীবার বাঁকে
হাঁসের আনন্দ স্বর…
হংসকলা দেখতে দেখতে হেঁটে হেঁটে চলে যাবো
গ্রাম-মেঠোপথ হয়ে কালান্তরে
মোক্ষম মৌসুমে বয়স উদাস স্বর্ণজ্বলা
নিশিতের আয়োজনে
মহুয়ার বনের ভেতর…
মহুয়া মাতাল ঘ্রাণে আমরা আদিম হবো।
কল্পমুগ্ধ চোখে দেখ
দূর দূরান্তে আকাশজুড়ে
চাঁদ মেঘেতে খুনসুঁটিতে সন্ন্যাসী যে মন
তার এমনই মারেফতি প্যাঁচ…
অন্তর আকাশে কষ্ট নীল মুছে যায়
মেঘে মেঘে প্রীতিপত্র লেখা হয়;
প্রাণ ভেজানোর
উড়াল মেঘের আনন্দ অবাধ্যতায়
টিপ টিপ ঝরে পড়ে কবিতার সংবেদ…