সংগীত
দুঃখগুলো জেগে ওঠে মরুভূমি তোমার সমান
মাঝে মাঝে তারা বাজায় বিচিত্র সুরে হাইডেন
এই সুর-ঝড়ে কেঁপে ওঠে আমার পৃথিবী। পাখির চোখের
ভাষাগুলো উড়ে যায় শুকনো পাতার মতোন দিগন্ত পারে
এই গান কোনোদিন হবে না কি শেষ? না কি
মুছে যাবে রঙ, রঙধনুর মতো হাওয়ার সঘন আবেগে?
জানি আমি আদিগন্ত নীলে হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকালে
ধ্বনিগুলো সব জন্ম নেবে শিশুর মতোন আবহাওয়া সংগীতে।
সাক্ষাৎ
ক্লোরোফিল মাখা সবুজ পাতার আদরে নয়, ভাইরাস ওড়া
মৃত্যুমুখী দিনে সাক্ষাৎ আমাদের। জীবনকে জিতে নিতে
অগ্নিকূপে নিশ্চিত করেছ তাই যৌথ লম্ফের সব আয়োজন।
যেখানে আলিঙ্গনের ভিন্ন-ভিন্ন চিহ্ন নক্ষত্রবিথীর মতো
সব স্থির হয়ে আছে। তোমার চোখও
বিম্বিত সূর্যের সময় হয়ে ঘুরতে ঘুরতে দাঁড়িয়েছে এসে
সৌরকক্ষের নতুন গোলার্ধে।
দ্যাখোনি তুমি ফিরে নিঃশ্বাসে কার উঠে এলো ঝড়
শূন্য গোলোকের এই অচিনপুরে কে বা বাঁধলো ঘর?
কার বুকেতে বিঁধলো ছুরি,হৃদয়ে কার রক্ত ক্ষরণ
ডাকাতি না কি হচ্ছে চুরি, কে বা কাকে করছে হরণ?
অথচ পাখির ডানা দেখে ভেবেছিলে তুমি, এই আকাশ আমাদের।
এই জল, স্থল, স্বপ্ন, সম্ভোগ সবকিছুই একদিন আমাদের।
তোমার মতোই কেউ কেউ একদিন ঘূর্ণিবাতাসে
নাক ডুবিয়ে জন্মাবধি বুনে যেতে চেয়েছিল
আকাশে হাওয়ার সংগীত, মেঘভরা জল দেখে ভেবেছিল
এইবুঝি বীজবপনের ঋতু!
তারপর অনির্দেশিত ভ্রমণপথে হেঁটে যেতে যেতে
একদিন কঙ্কাল তাদের পড়েছিল জ্যামিতির রেখার পাশে,
গণিতের সরল নিয়মে, আজকের এইদিনে তুমি কি এসব মানো?
দৃশ্য
দুঃখরেণু গায়ে মেখে খোলা মাঠে বসে দেখছি রাত্রির আকাশ।
দ্বিতীয়ার চাঁদ অন্ধকারের জরায়ু থেকে জন্ম নিয়েই একা হয়ে গ্যালো।
রাত্রির নিঃশ্বাসে ভেসে থাকা স্বপ্নের সাথে সাক্ষাৎ হতেই
ফিরে এলাম নিজের কাছে।যেন আমি কামনার এক আয়না।
মুখোশ বদলে ডুবুরিপোশাক পরে নিঃশব্দে ডুবে যাচ্ছি গহীন-অতলে।
দূর থেকে দাঁড়িয়ে তুমিও দেখছ আমার ডুবে যাওয়ার দৃশ্য।