দীলতাজ রহমানের সাম্প্রতিক গল্পগ্রন্থের নাম ‘জল যে পিপাসা পায় না নাগাল’। নাম দেখে প্রথমে একটু বিভ্রান্তি হয়েছিল। জল কি পিপাসার নাগালের চেষ্টায় ঘোরে, না কি পিপাসা ছুটে জলের সন্ধানে? কিন্তু বইটি পড়তে গিয়ে উপলব্ধি হলো—জীবন-রসায়নের সমীকরণে দু’টোই সত্যি। মানব জীবনের পরতে পরতে গ্রিক পুরাণের ট্যান্টেলাসের কাপের মতো পিপাসা আর জলের পরস্পরের সন্ধানে ছোটার গল্প। সে সব জীবনতৃষ্ণার কিছু গল্প নিয়েই দীলতাজ রহমান সাজিয়েছেন তার ‘জল যে পিপাসা পায় না নাগাল’। গল্পগুলোর সদরে-অন্দরে জলের পেছেন ছুটে চলা পিপাসার গল্প আর পিপাসার নাগাল না পাওয়া জলের গল্প।
বইয়ের মুখবন্ধে গল্পকার নিজেই বলেছেন তিনি লিখেন, স্বকীয় ধারায়। তার লেখার সঙ্গে যারা পরিচিত, তারা সবাই জানেন কথাগুলো সত্যি। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব গল্পই তার সাক্ষী। পড়লেই বোঝা যাবে, এগুলো তারই গল্প। নিজের পারিপার্শ্বিকতা আর জীবনপথের সহযাত্রীদের কথকতায় তিনি চিত্রিত করেছেন এসব গল্প। বেশ কিছু গল্প আত্মকথার ঢংয়ে লেখা। কোনো কোনো গল্পে আছে একাধিক গল্পের প্লট; কোথাও কোথাও ঘটনার ঘনঘটা আর বিস্তৃতি এমনই যে, পাঠক ভাববেন তিনি ধীরে ধীরে ঢুকে যাচ্ছেন উপন্যাসের আঙিনায়। কিন্তু কয়েক পৃষ্ঠা উল্টে দেখতে পাবেন ‘শেষ হইয়া হইল না শেষ…’; গল্পের পরিধিকে শেষ পর্যন্ত অতিক্রম করে যায়নি।
ছোট বড় ষোলটি গল্পে সাজানো ‘জল যে পিপাসা পায় না নাগাল’। প্রতিটি গল্পের প্রবাহই বিভিন্ন নারী চরিত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। চরিত্রগুলোর শারীরবৃত্তীয় রসায়নের মিল যেমন আছে, মনস্তাত্ত্বিক বিন্যাসে তেমন মিল-অমিল দু’টোই আছে।
দীলতাজ রহমান তার জীবন-অভিজ্ঞতায় চারপাশের মানুষকে আর সমাজকে কত গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন, এই গল্পগুলো তারই সাক্ষী। শুধু তাই নয়, তিনি তার উপলব্ধিকে চিত্রিত করেছেন প্রায় নিখুঁত মুন্সিয়ানায়। তার গল্পের নারীরা কখনো বস্তুগত অধিকার থেকে বঞ্চিত, কখনো যৌনতার অধিকার থেকে। তারা কখনো উপেক্ষিত, কখনো পরিত্যক্ত। সমাজের তথাকথিত ওপরতলা এবং নিচুতলায় এই প্রবণতার সমান বিস্তৃতি। সবক্ষেত্রে অবশ্য এসব নারীর বিদ্রোহ যেমন দেখা যায় না, তেমন দেখা যায় না আত্মসমর্পণও। ‘নিয়তি’ মেনে নেওয়ার দীর্ঘশ্বাসের বদলে অনিয়মের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দৃশ্যমান। এই ক্ষোভকে আসন্ন বিদ্রোহের প্রস্তুতিপর্ব হিসেবেই লেখকের ইঙ্গিত।
প্রতিটি কাহিনী একেকটি আলাদা গল্প হতে পারতো, কিংবা পূর্ণাঙ্গ গল্পটিকে টেনে উপন্যাসের রূপ দেওয়া যেতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব কাহিনীকেই একটি গল্পের পরিসরে সীমাবদ্ধ রাখা গেছে। এখানেই গল্পকারের সাফল্য।
পুঞ্জিভূত পিপাসাই একদিন জলের অধিকার নিশ্চত করবে অথবা জল পিপাসায় ধরা দেবে এই ধারণা গল্পের পাতায় পাতায় প্রচ্ছন্ন। দীলতাজের নারীরা হার মানার খেলায় নয়, এগিয়ে যাওয়ার অবলম্বন খোঁজার নেশায় মগ্ন। শ্বশুরবাড়ির প্রতারণা কিংবা বাবার বাড়ির পরিত্যাগের চেয়ে তারা বরং পাগলা গারদের অবস্থানকেই শ্রেয় মনে করে।
‘জল যে পিপাসা পায় না নাগাল’ গ্রন্থের গল্পগুলোতে টান টান উত্তেজনা নেই, তবে আছে ঘটনার ঘনঘটা, পরিণতির উপাদান। অধিকাংশ গল্পেই আছে বহু চরিত্রের আলেখ্য। তবে কোথাও কোথাও কাহিনীর বিস্তৃতি এমন যে কাহিনীর খেই রাখতে পাঠকের একটু বেগ পেতে হতে পারে। ‘খাটাশ’ তেমন একটি গল্প। সেখানে মনোদৈহিক উপেক্ষার শিকার নারীমনের প্রতিক্রিয়ার বিভিন্ন ধরন বিধৃত হয়েছে অত্যন্ত পরিণতভাবে। তবে পড়তে গিয়ে বংশানুক্রমিক সম্পর্কগুলোকে মনে রাখা পাঠকের কাছে একটু কঠিন মনে হতে পারে।
দীলতাজ রহমানের গল্পে শহর ও গ্রামের উপস্থিতি সমান। শুধু তাই নয়, প্রবাসজীবনও তার পর্যবেক্ষণ থেকে বাদ যায়নি। কোরো কোনো গল্পে এই তিন সামাজিক জীবনকেই তিনি ব্লেন্ড করেছেন চমৎকার পারদর্শিতায়। তেমন একটি গল্প ‘জল যে পিপাসা পায় না লাগাল–২’। গল্পের সূত্রধর তারাবানু রীটা, আয়শা, আদিলা কিংবা আদিলার মা। চরিত্রগুলোর মধ্যে মনোদৈহিক যাতনা, টানাপড়েন আর পারিপার্শ্বিকতা ও পরিবারের চাপিয়ে দেওয়া সীমানা অতিক্রমের যে তাড়না দেখেছেন, তা শুধু গ্রাম, শহর ও পশ্চিমা সংস্কৃতির ব্যবচ্ছেদই নয়, প্রজন্মান্তরের প্রতিচ্ছবিও বটে। গল্পটিতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির পরিপ্রেক্ষিতে নারীর মনোদৈহিক পরিতৃপ্তি ও নারীস্বাধীনতার ধরনের মিল-অমিলগুলো দেখানো হয়েছে সুচারুভাবে। এক গল্পে অবতারণা করা হয়েছে অনেক গল্পের। গল্পগুলোকে এক ক্যানভাসে এনে একই সূত্রের ডালপালা হিসেবে বিস্তৃতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কাহিনী একেকটি আলাদা গল্প হতে পারতো, কিংবা পূর্ণাঙ্গ গল্পটিকে টেনে উপন্যাসের রূপ দেওয়া যেতো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব কাহিনীকেই একটি গল্পের পরিসরে সীমাবদ্ধ রাখা গেছে। এখানেই গল্পকারের সাফল্য।
‘বাবা, আমজাদ, তুমি আজ পাশের ঘরে গিয়ে তোমার ছেলে দুটোর কাছে ঘুমাও। ছোট বৌমা আর নাতনিকে আজ আমি আমার ঘরে আমার কাছে নিয়ে রাখি…’ (এখানে আমজাদের ফুপু একরাতের জন্য হলেও তাকে দীর্ঘদিনের তৃষ্ণার্ত বড় বউয়ের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার আকুতি জানাচ্ছেন)।
কিংবা, ‘বুবু, আইজকার রাইতটা আমি হ্যার ঘরে শুই?’ এই সংলাপগুলো দীলতাজ রহমান নিজেই ডিকোড করে লিখেছেন, ‘মেঘ কতটা ভারী হলে আকাশে ফিরে না গিয়ে সে পৃথিবীতে এসে ঢলে পড়ে। তেমনি আদিলার মার শরীর তাকে কতটা আলোড়িত করলে তিনি প্রভুর মতো সতীনের কাছে নিজের স্বামীর ঘরে একটি রাত কাটানোর প্রার্থনা জানাতে পারেন!’ শুধু তাই নয়, বাল্য বিবাহের শারীরিক বিড়ম্বনা ও যৌনতা যে কোনো বয়সের সীমারেখায় আবদ্ধ নয়, এই সব কিছুই উঠে এসেছে এই গল্পে। কোথাও কোথাও ফুটে উঠেছে ক্ষোভ ও বিদ্রোহ। যেমন, ‘তারাবানু ভাবেন, মধ্যবয়সী এ নারীটি যা খুশি করুক। অনেক বন্ধু-বান্ধব আসুক তার ঘরে। তার যাকে পছন্দ হয়, তার সাথে দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হোক! এছাড়া নারীমুক্তি ধুয়ে কি নারীরা পানি খাবে?’
এবং
‘আর সেই থেকে বিধাতাকে তার পুরুষই মনে হয়। নারীর এই অসহায়, বোবা বেদনা তিনি নিজে নিশ্চয়ই পরখ করে দেখেননি। বা জেনেই নারীজীবনকে যাতনায় পিষ্ট করে তিনি ওপর থেকে তারিয়ে উপভোগ করেছেন।’
সনাতন বাঙালি সমাজ থেকে উঠে আসা একজন নারীর অত্যন্ত সাহসী উচ্চারণ। তিনি শুধু গল্প বলেই থেমে থাকেননি। প্রতিবাদের মুখাগ্নি করেছেন, বিদ্রোহ উসকে দিয়েছেন। দীলতাজ রহমান এখানে শুধু গল্পকারই নন, প্রগতির নিশান বরদারও বটেন।
তবু কোনোটিতেই জল আর পিপাসার চিরায়ত ইঁদুর-বিড়াল খেলার উপাখ্যান উপেক্ষিত হয়নি। সব গল্পের এই একসূত্র—গ্রন্থটিকে বিশেষত্ব দেবে বলে বিশ্বাস করি।
এই গল্পটিকে সামগ্রিক বিবেচনায় গ্রন্থের শ্রেষ্ঠ গল্প মনে হয়েছে। নামকরণের ক্ষেত্রে গল্পকার একটু ভিন্ন পথে হেঁটেছেন। গল্পের নাম ‘জল যে পিপাসা পায় না নাগাল–২’। গ্রন্থের প্রথম গল্পটি ‘জল যে পিপাসা পায় না নাগাল– ১’। গল্প দু’টি একটি আরেকটির ধারাবাহিকতা নয়, তাই এ ধরনের নামকরণের যথার্থতা স্পষ্ট হয়নি। এটা ঠিক যে, দু’টি গল্পেরই মূল সূর এক, যা কিনা আবার পুরো বইটির অন্তর্নিহিত দর্শনেরও প্রতিফলন। কিন্তু একথা প্রায় প্রতিটি গল্পের ক্ষেত্রেই সমান প্রযোজ্য। সেই অর্থে মনে হয়েছে, অন্তত একটি গল্পের নামে ভিন্নতা থাকতে পারতো। উপরিতলের পাঠে প্রায় একই সুরের মনে হলেও পাঠের গভীরে গেলে বোঝা যাবে—গল্প দু’টিতে মনোদৈহিক তৃষ্ণার দুই ভিন্ন আবেদনকে খুঁড়ে দেখা হয়েছে। দ্বিতীয়টিতে মনে পড়ে যাবে আবু হাসান শহরিয়ারের কবিতা ‘যতোই ভাবি হৃদয় সত্য/ শরীরই তার অন্নদাতা’। কিন্তু প্রথমটিতে শারীরবৃত্তীয় বোধের সঙ্গে ভালোবাসার প্লেটোনিক দিকের বিশ্লেষণও হয়েছে। পাঠকের মনকে ভাবনাতাড়িত করবে, শরীরের টান ভালোবাসার অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ, কিন্তু ভালোবাসা আসলে তারচেয়েও বেশি কিছু, যেখানে ‘প্রতিটি মানুষই ধরা পড়তে চায়!’ তারপরও ভালোবাসা কখনো অনিবার্যভাবেই দূরত্ব রচনা করে দেয়;— ‘আপনাকে ভালোবাসিনি তা কে বললো? মেঘ–রোদ, উড়ে যাওয়া পাখি আমরা ভালবাসি বলেই কি সব ঘরে এনে তুলে রাখি!’ আবার অন্য একটি গল্পের চরিত্র বলে, ‘রোমান্টিকতা মানে আমি খালি বুঁদ হওয়া প্রেম বুঝি না। বুঝি কিছুটা বখাটেপনাও! (হযবরল)’। এই যে প্রেমকে বিভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা, তার রসায়নকে ভিন্ন ভিন্ন দর্শনের আলোকে বিশ্লেষণ করা এই সবকিছুই তিনি করেছেন সার্থক গল্পের আদলে। তাই বইয়ের পরিচ্ছদগুলো দর্শনের পাঠ কিংবা প্রবন্ধগুচ্ছ না হয়ে হয়ে উঠেছে নিটোল কিছু ছোটগল্প।
‘ফকিরবাড়ি’ ও ‘শরীফা’ গল্প দু’টি সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর ‘লালসালু’র কথা মনে করিয়ে দেয়। সে দিনগুলো থেকে আমাদের সমাজ যে বেশি এগুতে পারেনি—এই দুই গল্প তারই সাক্ষ্য। ‘ফকিরবাড়ি’র সাবটাইটেল হিসেবে বন্ধনীতে ‘গ্রাম সংস্কৃতির গল্প’ লেখাটি অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। গল্পের পটভূমি উদ্ধারের সহজ দায়িত্বটি পাঠকের হাতে থাকাই শ্রেয়। ‘হযবরল’, ‘ও চাঁদ’, ‘শুধুই বঙ্গবন্ধু’, ‘এক আকাশের গল্প’ এবং ‘আগুনের পরশমনি’ গল্পের চেয়ে ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ কিংবা আত্মকথন মনে হয়েছে। তাই বলে সেগুলোতে গল্পের উপাদান নেই এমন নয়। বরং ‘আগুনের পরশমনি’তে গল্পের গাঁথুনি চমৎকার। দীলতাজ রহমান এই গল্পে কাহিনীর প্রসঙ্গান্তর অবতারণায় অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ‘তেজি দৌহিত্র কাঁধে করে ম্লান অতীতে ভ্রমন’ পারিবারিক সম্পর্ক বিন্যাসের মনস্তত্ত্ব নিয়ে রচিত। সৎভাই ও মামাতো ভাইয়ের সাথে গল্পের মূল চরিত্রের সম্পর্কের তুলনামূলক চিত্র এঁকে গল্পকার বিভিন্ন সামাজিক সঙ্গতি অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন। তবে গল্পের নামটি আরেকটু ছোট হলে পাঠকের হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকত বলে মনে হয়েছে।
এই গ্রন্থের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো বইয়ের নাম ও তার দর্শনের সঙ্গে সব গল্পের একসূত্রতা। যদিও কোনো কোনো গল্পে মনোদৈহিক টানাপড়েন, প্রেম ও যৌনতার প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সঙ্গে নারীস্বাধীনতা, পারিবারিক বিধিনিষেধের অসঙ্গতি, অযাচিত সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও বিদ্রোহসহ অন্যান্য অনুষঙ্গও এসেছে। তবু কোনোটিতেই জল আর পিপাসার চিরায়ত ইঁদুর-বিড়াল খেলার উপাখ্যান উপেক্ষিত হয়নি। সব গল্পের এই একসূত্র—গ্রন্থটিকে বিশেষত্ব দেবে বলে বিশ্বাস করি।
অসঙ্গতি বা সীমাবদ্ধতা যে একেবারে নেই, তেমনটি বলা যাবে না। ‘হযবরল’ গল্পের একাংশে দেখা যাবে ‘জল যে পিপাসা পায় না নাগাল -১’ এর কিছু অংশের পুনরাবৃত্তি। লেখক হয়তো সচেতনে তা সঞ্চালন করেছেন গল্পের প্রয়োজনে। কিন্তু তাতে পাঠকের খটকা লাগবে। হয়তো এই অংশটুকু ভিন্নভাবে বিন্যাস করলে ভালো হতো। ‘ত্রাহি’ গল্পে নায়ক ইমন রেবতীর সঙ্গে ঘের করতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসছে। কিন্তু পথে অগুরুত্বপূর্ণ কারণে তার দেরি হচ্ছে দেখে রাগে কিংবা অভিমানে রেবতী ফোনের সীম খুলে রাখলো, যেন ইমন আর যোগাযোগ করতে না পারে। কিন্তু ইমন তো আগেও ঢাকায় এসে রেবতীর সঙ্গে সময় কাটিয়েছে। তার কাছে রেবতীর বাসার ঠিকানা থাকাই স্বাভাবিক নয় কি? পাঠকের মনে নিশ্চয়ই এই প্রশ্নটি উদয় হবে। এখানে ওখানে কিছু কিছু মুদ্রণপ্রমাদও গ্রন্থটিতে দেখা দিয়েছে চাঁদের কলঙ্ক হয়ে। বইমেলায় বই প্রকাশের তাড়ায় এ মনে হয় অলঙ্ঘনীয় বাস্তবতা। ‘জল যে পিপাসা পায় না লাগাল’ মানব সমাজের শাশ্বত জীবনজিজ্ঞাসার এক পরিপূর্ণ গল্পগ্রন্থ।
জল যে পিপাসা পায় না লাগাল
লেখক: দীলতাজ রহমান
প্রচ্ছদ: আল নোমান
প্রকাশক: শৈলী প্রকাশন
মূল্য ৩০০ টাকা।