একটি পাহাড়ের গল্প
শুনেছি মণিমুক্তা খচিত অনেক অজানা পাহাড়ের গল্প। এমন পাহাড় নয়–যেখানে ফুল ফোটে না–পাখিরা গান করে না; পাদদেশের গাছপালার মায়াবি করুণ চাহনি–শুকিয়ে যাওয়া সবুজ ঘাসের অভিমান; পর্যটকরা জানতে পারে না–পুরাতন পাহাড়টির নাম।
বৃষ্টির সাথে পাহাড়ের আড়িপাতার বন্দোবস্ত হয়েছিল পূর্ব জন্মেরও ন’শত নিরানব্বই বছর আগে। সেদিন আমার আর্তনাদ ঘিরে ঘুমের পিরামিড বানিয়েছিল পাহাড়। মধ্যরাতে পিরামিড ভেঙে পাহাড়ের সরু পথ ধরে নীল প্রজাপতির মেলা দেখব বলে– হাঁটছিলাম। দু’হাতে প্রজাপতি সরিয়ে সামনে পালিয়ে যাব ভেবে–ওরা অতি আপনের মতো জড়িয়ে ধরছিল আমায়।
আকাশের অস্থিরতা কেটে একটি গাঢ় নীল শাড়ি উড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো। আমি পাহাড়ের গাঘেঁষে দাঁড়িয়ে–যেখানে পাখিরা গান করে–মুক্তমনে প্রজাপতি ওড়ে। সবুজ গাছের ডালে বহুকালের ঝুমবৃষ্টি নামে আকাশের বুক চিরে।
ভেজা শরীর…
গাঢ় নীল শাড়ির আঁচল অন্য গ্রহে উড়ছে মৃদু বাতাসে; আমার পেছন পেছন এক রাজকুমারকে আসতে দেখে–পাহাড় চিৎকার করে বললো, আমি নীল প্রজাপতির পাহাড়।
শূন্যতা
সন্ধ্যায় হাতে তুলে স্বপ্নের কফিশপ
রাতভর রেজিস্ট্রি করি বৃষ্টিমুখর সকাল
মুহূর্তে মুহূর্ত রেখে হেঁটে আসি গহিনচর
টালমাটাল ঘোর
নাও কিছু কাগজ-কলম
লিখে রাখো, শূন্যতা।
আরেক দুনিয়া
একদিন পৃথিবীতে নেমে আসবে আকাশের কোটি কোটি টুকরো। আমরা টুকরো আকাশগুলো হাতে নিয়ে প্রবল উল্লাসে মেতে থাকব…
তখন আসতে থাকবে প্রলয় বাতাসের ঢেউ। ঢেউয়ে ভাসতে থাকা আকাশ পাখি অথবা প্রজাপতির মতো পাখা মেলে উড়ে যাবে শূন্যের দিকে…
উড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে আমরাও শিখে নেব আত্মরক্ষার কৌশল…
ক্লান্ত হয়ে থামব নতুন এক দুনিয়ায়। সেখানকার আকাশ হবে তুলতুলে সোনালি রঙের। চতুর্দিকে ছড়ানো থাকবে শিউলি ফুলের ঘ্রাণ। কিন্তু, কোনো ফুলের উপস্থিতি দেখা যাবে না!
মৃত দুনিয়ায় জীবন্ত ফুল থাকে না। পৃথিবী হতে বাস্কেট ভরতি ফুলের ঘ্রাণ নিয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেখানে…!