শরীরটাকে একরকম টেনে-হিঁচড়ে তনুশ্রী অটোয় এসে বসলো। অটোওয়ালাকে কী করে বাসার ঠিকানা বলেছিল অথবা আদৌ বলেছিল কি না, এখন আর তা মনে পড়ছে না। রাত বেশ গভীর হয়ে গিয়েছিল সেদিন। কিন্তু কয়টা বেজেছিল? সাড়ে এগারো-বারোটা তো হবেই। না হলে বাবা-মা আর অনুর এ রকম চিন্তিত আর বিধ্বস্ত চেহারা তাকে দেখতে হতো না। অথচ এত রাত হয়ে গেছে, তনুর বড় দাদা অনির্বাণকে কোথাও দেখা গেলো না। সে কিন্তু তখনো বাসায় ফেরেনি।
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অনির্বাণ একজন প্রফেশনাল বাচিক শিল্পী। ছোটবেলা থেকেই তনু আর অনু দুবোনই দাদার রবীন্দ্রসংগীত ও আবৃত্তির মহাভক্ত। এই তো সপ্তাহখানেক আগেই একাডেমিতে অনির্বাণের একক সংগীত সন্ধ্যার অনুষ্ঠান শেষে বাবা-মা, ভাই-বোন মিলে ধাবায় গিয়েছিল ডিনার করতে। বাবা কিছুতেই অনির্বাণকে বিল দিতে দেবে না অথচ নাছোড় বান্দা অনির্বাণ বিল দিয়েই ছেড়েছিল। সেদিন অবশ্য সব নিয়ম ভেঙেই সবাই মিলে বাড়ি ফিরেছিল অনেক রাতে।
তবে, এত বছরের স্কুলজীবনে কিংবা কলেজ বা অনার্সে পড়ার সময়য়ে কোনোদিনই তনুকে এত রাত করে বাসায় ফিরতে হয়নি। বাবা-মা বা অনুর হাজারো প্রশ্নের মুখে জর্জরিত হয়েও ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, আতঙ্কিত তনু স্তম্ভিতের মতো দাঁড়িয়ে রইলো। বিস্মিত, স্তব্ধ, হতভম্ব একেবারে। মায়ের টকটকে ফর্সা মুখটি থেকে যেন আগুন ঝরছে। মা হাই ব্লাড প্রেসারের রোগী। কোনো রকম উত্তেজনা বা দুশ্চিন্তা হলেই হলো। চোখ-মুখ থমথমে স্থির—রক্তিম হয়ে ওঠে। মনে হয়, সারা শরীরের রক্ত এসে যেন জমা হয়েছে মুখে। হল্কা দিয়ে আগুনের আভা বেরতে চায়।
একদিকে তিনি দরদর করে ঘামছেন, অন্যদিকে শাড়ির আঁচলে মুখ মুছে মুছে চামড়া উঠে যাওয়ার অবস্থা। দরজায় কলিংবেল বাজতেই উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটতে ছুটতে এসে দরজা খুললেন তনুর মা। এরপর অজস্র প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হতে তনুর একপ্রকার পাগল হওয়ার দশা। তনু বা অনু যে যেখানে গেছে আজ পর্যন্ত তারা কেউ কখনো রাত নয়টার পর বাড়ির বাইরে থাকেনি। ফলে রাত যত গভীর হচ্ছিল তনুর মায়ের অস্থিরতা তত যেন পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছিল। অথচ বারবার ফোন করেও তনুর অথবা অনির্বাণের কারও ফোনেই রিচ করা যাচ্ছিল না। একই দিনে একইসঙ্গে ছেলে-মেয়ে দুজনেরই ফোন সুইচড অফ কেন, সেটা কিছুতেই তার বোধগম্য হচ্ছিল না।
ঘটনার আকস্মিকতায় সম্পূর্ণভাবে বোধবুদ্ধি হারানো তনুর পক্ষেও কারও কোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব ছিল না। আর সেই আচম্বিতে পরিস্থিতি সামাল দিতেই যেন প্রকৃতি এগিয়ে এসেছিল। হঠাৎ কথা নেই, বার্তা নেই; বাইরে প্রচণ্ড শোঁ-শোঁ শব্দ করে প্রবল বেগে বাতাস বয়ে যেতে লাগলো। সন্ধ্যা থেকেই সেদিন থম মেরে ছিল প্রকৃতি। রাত বাড়তে না বাড়তেই জানিয়ে দিলো ঝড়ের আগমনী বার্তা। ঘরের প্রতিটি খোলা দরজা-জানালা হুড়মুড় করে বাড়ি খেতে খেতে দেয়ালের ওপর আছড়ে পড়তে লাগলো। হু-হু করে পর্দাগুলো দিগদিগন্ত ছাড়িয়ে দূরে কোথাও যেন উড়ে যেতে চাইলো। দূরে-বহুদূরে কোথাও কান-ঝালাপালা করা শব্দে একটি বাজ পড়লো। এরই মধ্যে খাবার ঘরের জানালার পর্দার ঝাপটায় পাশে সাজিয়ে রাখা র্যাক থেকে কাঁচের বয়াম মাটিতে পড়ে চুরমার করে ভেঙে গেলো। বয়াম ভাঙার শব্দ কানে আসতেই, মা অস্থির চ্যাঁচামেচি শুরু করে দিলেন। চিৎকার করে ছোট মেয়ে অনুশ্রীকে বলতে লাগলেন, ‘অনু, অনু রান্নাঘরের দরজাটা আটকে দে তাড়াতাড়ি।’ অনু ছুটে গিয়েছিল রান্না ঘরের দরজা আটকানোর জন্য। বাবা-মা দুজনেই ছোটাছুটি করে একের পর এক দরজা জানালা বন্ধ করতে লাগলেন।
তনুর কেমন যেন সন্দেহ আর আতঙ্কের সংমিশ্রণে একধরনের অনুভূতি হতে লাগলো। হাঁটার গতি বাড়িয়ে এগিয়ে যাবে, ঠিক তখনই গাড়িটা ওর পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে গেলো।
তখনই সম্বিত ফিরে পেয়ে তনু ভূতগ্রস্তের মতো ধীরে ধীরে তার আর অনুর জন্য বরাদ্দ করা বেডরুমের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে পরার একটি ঢিলাঢালা ফতুয়া আর একটি নরম পালাৎজো নিয়ে নিজের রুমের অ্যাটাচড বাথরুমে গিয়ে ঢুকলো সে। শাওয়ার খুলে দিয়ে তার নিচে গিয়ে ধীর গতিতে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। কতক্ষণ ধরে একনাগাড়ে ভিজেছিল কে জানে! তবে যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রতিটি শিরার শিরায় গিয়ে ঠাণ্ডার স্পর্শ পৌঁছে গিয়েছিল, আর রন্ধ্রে রন্ধ্রে কেঁপে উঠতে শুরু করেছিল, সেইসঙ্গে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এসে তনুকে জানান দিয়েছিল যে, জল থেকে নিবৃত হতে হবে এখন, ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত সে শাওয়ারের নিচে পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
এরপরের সাতদিন কেটেছিল জ্বরতপ্ত দেহ আর মনকে একটু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে পাওয়ার চেষ্টায়। দমকে দমকে জ্বর এলো আর গেলো। ডাক্তার চাচা এসে ওষুধ দিয়ে গেলো আর বললো, জ্বর উঠলেই বারবার জলপট্টি দিতে হবে, সঙ্গে জুস, লেবুর শরবু ও আখের শরবু খাওয়ানোর পরামর্শ দিলেন। মা রান্নার মাসির কাছে সংসার বুঝিয়ে দিয়ে তনুর সঙ্গে দিনরাত এক করে এই সাতদিন পড়ে রইলেন। কিন্তু হঠাৎ করে বলা নেই কওয়া নেই, এভাবে জ্বর আসার কারণ হিসেবে ডাক্তার চাচা শুধু এতটুকুই বলেছিলেন যে, তনু বোধহয় কোনো ব্যাপারে খুব ভয় পেয়েছিল বা আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছিল। জ্বর থাকার সময়ে কেউ না কেউ যেন ওর আশেপাশে সারাক্ষণ থাকে।
এরই মধ্যে দুই সপ্তাহ কেটে গেছে। ধীরে ধীরে তনুও সুস্থ হয়ে উঠতে লাগলো। ‘টাইম ইজ দ্য বেস্ট হিলার’ বলে একটা প্রবাদ আছে। সত্যি সময় কী ভীষণ রকম ক্ষমতাধর! তবু, তনু যেদিন কিডন্যাপড হয়েছিল, সেদিনের কথা না চাইলেও বারবার মনে হতে থাকে। আর সেইসঙ্গে একধরনের তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে যায় শরীরের প্রতিটি বিন্দুতে। এখানে ভয় আর আতঙ্কই শুধু নয়, আরও একধরনের অনুভূতি—যা লজ্জা আর বিস্ময়ের সংমিশ্রণে তৈরি এক অচেনা অনুভূতি, যা দ্বারা সে আক্রান্ত হতে থাকে। অথচ ব্যাপারটা এমনই যে, তনু হয়তো কোনোদিন কাউকে কথাটি বলে নিজেকে একটু হালকা করবে সে উপায় নেই। কিন্তু যা কিছু হোক না কেন, জীবনের যে শেষ আশাটিও ওই সময় বিলীন হয়ে গিয়েছিল, সেই সময়ের সব অসম্ভব চিন্তা ও পরিস্থিতি থেকে আবার সময়ই তাকে একসময় রেহাই দিয়ে দিলো।
কী হয়েছিল সেদিন? কেন এমন হলো? খুব তো বেশি রাত হয়নি। রাত ন’টার মতো হয়তো বাজে তখন। স্যারের বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ে বেরিয়েছে মাত্র। অটো স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল অটো ধরে বাড়ি ফিরবে বলে। আশেপাশে বড় বড় বিল্ডিং, ফ্ল্যাটবাড়ি অথচ এরই মাঝে রোডঘাট কেমন ঝিমিয়ে পড়েছে। রাস্তায় লোকজনও তেমন চোখে পড়লো না সেদিন। গা ছমছম করা আলো-আঁধারিতে তনু একা একা নির্জন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে লাগলো। হঠাৎ খেয়াল করলো তারই সমান্তরালে যেন একটি গাড়িও এগিয়ে আসছে। তনুর কেমন যেন সন্দেহ আর আতঙ্কের সংমিশ্রণে একধরনের অনুভূতি হতে লাগলো। হাঁটার গতি বাড়িয়ে এগিয়ে যাবে, ঠিক তখনই গাড়িটা ওর পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে গেলো। আর মুহূর্তের মধ্যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৩/৪টি ছেলে এসে ওকে ঘিরে ধরে হ্যাঁচকা টানে উঠিয়ে নিয়ে গাড়িতে ঠেলে ওঠালো। তনু চিৎকার করতে গিয়েও পারলো না। কারও একটি শক্ত রোমশ হাত ওর মুখ চেপে ধরলো। চেতনে-অচেতনে দেহের প্রতিটি শিরায় ছড়িয়ে গেলো ভয় ও আতঙ্কের বৈদ্যুতিক ঝলক। তনু বারবার কেঁপে কেঁপে উঠতে লাগলো। বুকের শেষ বিন্দু পরিমাণ বাতাসটাও যখন ফুরিয়ে গেছে, সমস্ত শক্তি একত্রিত করে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে প্রতিবাদ করলো সে। ফলে অপহরণকারীদের মধ্যেও একধরনের চাঞ্চল্যপূর্ণ সতর্কতা দেখা দিলো। রোমশ হাতটি মনে হলো কিছুটা নাক ছাড়িয়ে মুখের দিকে সরে এলো। তখনই কানের কাছে কেউ একজন ফিসফিস করে বললো, ‘একদম চুপ, না হলে কিন্তু জানে মেরে ফেলবো।’ এরপর আরও কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি করার চেষ্টা চালিয়ে মৃত মানুষের মতো নিস্তেজ হলে পড়লো তনু।
মুহূর্তের জন্য যেন কল্পনার চোখে দেখতে পেলো কোনো এক অন্ধকার রুমে হাত-পা-মুখ বাঁধা নিজেরই এক বিমর্ষ মূর্তি। কিন্তু সেই মূর্তিটির সঙ্গে ঠিক কী কী হতে পারে, সেগুলো ভাবার মতো সাহস আর হয়ে উঠলো না তনুর। মনে মনে ধরেই নিয়েছিল জীবনের সমাপ্তি হতে চলেছে। তবে কীভাবে কী হবে, কিছুই সে জানে না। এরপর সময়ের ওপর নিজেকে ছেড়ে দিয়ে একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেলো সে। মনে মনে কামনা করতে লাগলো তৎক্ষণাৎ মৃত্যুর। এভাবে নিথর হয়ে কতক্ষণ বসে ছিল জানে না তনু। একসময় মনে হলো গাড়িটি কোথাও যেন একটি বাঁক নিয়েই পিচ ঢালা রাস্তা ছেড়ে এবড়ো-খেবড়ো কোনো রাস্তা দিয়ে চলতে শুরু করেছে। আরও কিছুক্ষণ এগিয়ে কোথায় যেন একটু থামলো গাড়িটি। ঘড়ঘড় করে লোহার গেট খোলার শব্দ হলো। এরপর আরও একটু গিয়ে গাড়িটি পুরোপুরি থেমে গেলো। এবার গাড়ির দরজাটি খুললো কেউ। একে একে প্রত্যেকে নামলো গাড়ি থেকে। চোখমুখ শক্ত করে বাঁধা তনুকেও কেউ একজন নামতে সাহায্য করলো। কোনও একটি রুমে টেনে নিয়ে গিয়ে বিছানায় ওপর বসিয়ে দিলো। কেউ একজন ওর পাশে এসে মুখের বাঁধনটি খুলে দিলো কিন্তু চোখ আর হাতের বাঁধন তখনো রইলো। একটু পানি খাওয়ার জন্য সে ভেতরে ভেতরে অস্থির বোধ করছিল। অনেকক্ষণ থেকেই গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিল।
হায়! এ কার কণ্ঠ শুনলো তনুশ্রী?
মুখের বাঁধন খুলতেই তনু বললো, ‘আমি একটু পানি খাব।’ কেউ একজন এক গ্লাস পানি দিলো তনুর হাতে। ঢকঢক করে গ্লাসটি শেষ করে আবারও পানি চাইলো সে। চোখ বাঁধা অবস্থায় তার তীক্ষ্ণ অনুভূতি এবং ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে সে বুঝতে পারলো—ছেলেগুলোর মধ্যে কোনো কারণে এক ধরনের প্রবল উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওরা নিজেদের মধ্যে নানা ধরনের অসংলগ্ন কথাবার্তা চালাচালি করছিল। সম্ভবু বিশেষ কারও জন্য অপেক্ষা করছিল।
ছেলেগুলো তাদের বসের জন্য অপেক্ষা করছিল। নিয়ম হচ্ছে কোনও একটি নারীকে কিডন্যাপ করার পর প্রথমে বস তাকে ভোগ করবে। এরপর একে একে তার সাগরেদের দল। এদিকে, বসের আসতে দেরি হওয়ায় ছেলেগুলোর ভেতর এক ধরনের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের যেন আর তর সইছিল না। শিকার হাতের এত কাছে অথচ তারা অভুক্ত, সেটা মেনে নেওয়া কঠিন। আর তনু ভয়ে আতঙ্কে বসে থাকার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেললো। সে বিছানার ওপর কাত হয়ে দুই পা জড় করে গুঁটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়লো। তখনই সে শুনতে পেলো সদর দরজা খোলার পরিচিত সেই ঘড়ঘড় শব্দটি। একটি গাড়ির হর্ন বাজলো। বস এসেছে নিশ্চয়ই। ছেলেগুলো হৈচৈ করতে করতে সেদিকেই এগিয়ে গেলো। তনু নড়েচড়ে উঠলো। আর শুয়ে থাকতে পারলো না। কারও পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলো যেন সে। বুক ধড়ফড় করতে করতে তখন তনুর মারা যাওয়ার দশা। এমন সময় কেউ একজন বাতির সুইচ অন করলো। আর সঙ্গে সঙ্গে তীব্র চিৎকার করে দৌড়ে পালিয়ে গেলো। লোকটি যে বদমাশগুলোর বস, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তার পিছু নিলো সাগরেদগুলো।
দূর থেকে ভীষণ চিৎকার চ্যাঁচামেচি গোলোযোগ ভেসে আসতে লাগলো। বসটি চিৎকার করে করে বলছে, ‘এ কাকে ধরে নিয়ে আসলি তোরা কুত্তার বাচ্চারা! সব হারামির দল! এক্ষুণি এক্ষুণি ফিরিয়ে দিয়ে আয় ওকে। আর একটা আঁচড় যদি পড়ে ওর গায়ে, তাহলে শুনে রাখ, তোদের সবাইকে আমি জীবন্ত কবর দেবো।’
তনুকে ওরা যেখান থেকে উঠিয়ে এনেছিল, সেখানেই ছেড়ে গেলো। রাত কত গভীর হয়েছে কে জানে? গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার সময় পেছন থেকে বেঁধে রাখা হাতদুটো খুলে দিয়ে গেলো ওরা। রাস্তার পাশে কিছুক্ষণ অসাড় হয়ে পড়ে রইলো তনু। তার কানে বাজতে লাগলো সেই অতি পরিচিত ভয়ার্ত চিৎকারের ধ্বনি!
হায়! এ কার কণ্ঠ শুনলো তনুশ্রী?
শ্রেণিশত্রু
ফারহানা রহমান
প্রচ্ছদ: শতাব্দী জাহিদ
প্রকাশক: পরিবার পাবলিকেশন
মূল্য: ১৫০ টাকা
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ২০২০
বইমেলা, স্টল নম্বর- ২৭০