[পর্ব-৩০]
স্মৃতিগুলো ভীষণরকম বদমায়েশি করছে আজকাল। কখন যে কী ঘটছে, কোনটা স্মৃতি, আর কোনটা চোখের সামনের ঘটনা, জ্বরের ঘোরে সেসব গুলিয়ে যাচ্ছে মুজতবা খানের। ছেলে হারুন দৌড়ঝাঁপ করছে ইন্ডিয়ান ভিসার জন্য। ভিসা হয়ে গেলেই সোজা চেন্নাই। টাকা যা লাগে লাগুক, ওখানকার ডাক্তাররা একেকজন ধ্বন্বন্তরি, শুনেছেন তিনি। একবার শুধু ওই পর্যন্ত যেতে পারলেই হলো, ব্যস, সব অসুখ বাপ বাপ করে দৌড় দেওয়ার পথ পাবে না আর। কিন্তু হারু হারামজাদা ভিসার নামে টাকাপয়সা নিয়ে কী করছে তার ঠিক কী! আমার পয়দা করা ছাওয়াল তো, ও হারামজাদাক বিশ্বাস নাই একছটাকও! দেহা যাবিনি বাপের চিকিচ্ছের নামে পয়সা নিয়ে কোনো মাগির পেছনে উড়ো বেড়াচ্চে ব্যাটা হারামখোর! শালার বেটা শালা!—বিড়বিড় করে নিজের ছেলের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করতে থাকেন তিনি সাতসকালে।
ইদানীং হবি ভাইও জ্বালাচ্ছে খুব। দিন নাই, রাত নাই দুম করে হানা দিচ্ছে ভাবনায়। মাছি মারার ভঙ্গিতে হবি ভাইকে মুজতবা খান সরিয়ে দিতে চান ভাবনা থেকে, তাড়িয়ে দিতে চান একাত্তরের সেইসব দিনকে, কিন্তু আদতে তারা সরছে কই! যখন তখন তারা বসছে এসে ভাবনাজুড়ে, দাঁত বসাতে চাইছে তার শান্তির জায়গাটায়। হবি ভাই মানেই একাত্তর, একাত্তর মানেই মিত্তিরবাড়ি, মিত্তিরবাড়ি মানেই ধীরেন। ধীরেনকে আজকাল আরও বেশি মনে পড়ার কারণ সম্ভবত, তার এই অসুস্থতা। অসুস্থ না হলে ভারতে যাওয়ার প্রয়োজন পড়তো না তার। ভারতে যেতে হবে, ভাবনাটা মাথায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই মনে পড়লো, ধীরেন মিত্তিরও ভারতে এখন। মিত্তিরবাড়ি তারা দখল করেছিল একাত্তরেই, নাগালে পাওয়া যুবকদের ধরিয়ে দিয়েছিল পাকবাহিনীর হাতে, যুবতি মেয়েদেরও তুলে দিতো, যদি না রাতের অন্ধকারে তারা ভারতে পাড়ি জমাতো সেদিন। এলাকার অধিকাংশ হিন্দু যুবকই যুদ্ধে গেছিল, বাকিদের কেউবা পাড়ি দিয়েছিল ভারতে, কেউবা দেশের ভেতরেই মারা পড়েছিল রাজাকার নয়তো পাকবাহিনীর হাতে।
বয়স্করা প্রাণ হাতে করে মাটি কামড়ে পড়েছিলো কেউ কেউ, কেউবা ওপারে চলে গেছিল। যুদ্ধের পরে অবশ্য এই তল্লাটের বাকি হিন্দুদের পাত্তাড়ি গুটিয়ে নিতে বাধ্য করেছেন তিনি আর তার চেলাচামুণ্ডারা। ফলে ধীরেন মিত্তিরের স্মৃতি প্রায় মুছেই গেছিল তার মন থেকে। কিন্তু এই হারামি অসুখটা সব ভজঘট পাকিয়ে দিলো একেবারে। যখন-তখন মিত্তিরবাড়ি আর ধীরেন মিত্তির এসে হানা দিচ্ছে তার ভাবনায় আজকাল। কেবলই মনে হচ্ছে, আচ্ছা, ওপারে গিয়ে যদি দেখা হয়ে যায় ধীরেনের সাথে? ধীরেন কি বেঁচে আছে এখনো? ভাবনাটা মনে আসার পর থেকেই মন থেকে সব শান্তি উধাও হয়েছে তার। একে তো শরীরের যন্ত্রণায় কাহিল, তার ওপর এইসব বেহুদা চিন্তায় মুজতবা খানের ঘুম হারাম হয়ে গেছে ক’দিন থেকে।
সব নিয়ে ভেগেছে। খানকিগুনু কোনেকার! মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায় মুজতবা খানের। গালি দেয় সশব্দে
যত মনকে বোঝায়, ভারত দেশটা বিশাল, সেখানে ধীরেন মিত্তিরের মতো লোক খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়ে ঠাঁই নিয়েছে কোনো না কোনো পাঁকে, কিংবা মরে ভূত হয়ে ডুগডুগি বাজাচ্ছে হয়তো স্বগ্গের বারান্দায়, বজ্জাত মন তত অবুঝ হয়ে ভাবনাটা আঁকড়ে ধরে আরও, আরও বেশি ভাবনায় ফেলে তাকে, অস্থির করে তোলে।
ঘুম থেকে উঠেই, হারামজাদা হারুকে মনে পড়লো, মনে পড়লো ভিসার নামে টাকা নিয়ে ঢাকা গিয়ে আর বাড়িমুখো হওয়ার নাম নাই তার, সেইসঙ্গে মনে পড়লো ধীরেন মিত্তিরের সেই গনগনে মুখ। সঙ্গে সঙ্গে মনের ভেতর ঝাঁপিয়ে পড়লো একাত্তর। লাফিয়ে পড়লো বিশেষ একটি দিনের স্মৃতি।
আগের দিন তাদের সহযোগিতায় পাকবাহিনী গ্রামে এসে টহল দিয়ে গেছে। গ্রামের তাগড়া জোয়ানদের কাউকে গুলি করে মেরেছে, কাউকে বা নিয়ে গেছে সঙ্গে করে মুক্তিবাহিনীর হদিস বের করবে বলে। সঙ্গে নিয়ে গেছে অল্প বয়সি যুবতী নারীদের। পুরো গ্রাম প্রায় জনশূন্য। যাদের গুলি করে মেরেছে গতকাল, তাদের লাশ রাতের অন্ধকারে কোনোমতে দাফন-কাফন সেরে স্বজনেরা বেশিরভাগই পালিয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। নেহাত যাওয়ার জায়গা নেই যাদের, তারা লুকিয়ে থেকে গেছে গ্রামেই। থমথমে পরিবেশ। হবি ভাই যুদ্ধে গেছে ধীরেন মিত্তিরদের সঙ্গে। সেই অপরাধে হেলেন ভাবিকে তুলে নিয়ে গেছে মিলিটারি জওয়ানেরা। মুজতবারই কোনো গাদ্দার চেলা পাকবাহিনীর কানে কানে বলে দিয়েছে, হবি ভাইয়ের যুদ্ধে যাওয়ার খবর। নেহাত মিলিটারিদের বিবেচনাবোধ অধিকতর প্রবল, না হলে তারা হেলেন ভাবিকে তুলে নিয়েই ক্ষ্যামা দিতো না শুধু, ভাই মুক্তিসেনা, এই অপরাধে মুজতবা খানকেও স্রেফ কতল করে ফেলতো। মনে মনে মিলিটারি জওয়ানদের এই বিবেচনাবোধের তারিফ না করে পারে না শান্তি বাহিনীর তাগড়া সদস্য মুজতবা খান। পাকিস্তানি সেনাদের এই উদারতায়তায় কৃতজ্ঞতায়, ভালোবাসায় নুয়ে পড়তে চায় মাথা।
ইসলামের জন্য, অখণ্ড পাকিস্তানের জন্য জীবন দিতে মোটেই কুণ্ঠিত নয় সে, বৃহত্তর স্বার্থে, ইসলাম আর দেশের কল্যানে, অমন কত কত হেলেনকে ত্যাগ করতে হতে পারে। ঈমানের পরীক্ষা ভারী কঠিন। অত অল্পে বিচলিত হলে তাতে পাস করা চলে না। এছাড়া তার ভাই হবিবুর রহমান খানের অপরাধটাও তো ছোট নয়! সে কিনা পাকিস্তানের দুশমন হতে চায়! কাফের ধীরেন মিত্তিরদের সঙ্গে মিলে সে পাকিস্তানের পবিত্রতা নষ্ট করতে চায়, স্বাধীন করতে চায় পূর্ব পাকিস্তান! নাউজুবিল্লাহ! বুকে ফুঁ দেয় যুবক মুজতবা খান। নেহাত পাকসেনাদের দয়া। নইলে ভাইয়ের এই জঘন্য অপরাধের শাস্তিস্বরূপ তাকে লাশ হতে হতো এতক্ষণে। দোয়া দরুদ পড়ে, নফল নামাজ আদায় করে দুই রাকাত। তবু, মনের ভেতর কোথায় একটু খচখচও করে।
হেলেনের মুখটা চোখে ভাসে। খানসেনারা বলেছে, দুই-চার দিন তাদের সেবাযত্ন করে ফেরত আসবে হেলেন ভাবি। কিন্তু এই ‘সেবাযত্ন’ ব্যাপারটা বেশ ঘোলাটে। কেমন ধোঁয়াশা মতন। হেলেন ভাবি ফিরলে তাকে নিয়ে কেমন প্রতিক্রিয়া হবে গ্রামে, সেটা নিয়ে বেশ একটু ধন্দে পড়ে সে। আর তারপরই সব রাগ গিয়ে জমা ধীরেন মিত্তিরের ওপর। ব্যাটা হারামজাদাটাই যত নষ্টের গোড়া। তার ভাইকে ফুসলিয়ে যুদ্ধে নিয়ে গেছে। আরেকটু হলে প্রাণটাই খোয়াতে বসেছিল মুজতবা খান নালায়েকটার জন্য।
চোখে সুরমা আর দাড়িতে আতর লাগিয়ে বের হয়ে পড়ে সে। গ্রামের বাকি শান্তিসেনাদের নিয়ে মিত্তিরবাড়ি দখল করে নেয় তারা। পতপত করে উড়িয়ে দেয় পাকিস্তানের চান-তারা আঁকা পবিত্র পতাকা। মনের ভেতর ভারি ফুরফুরে শান্তির হাওয়া বয়। পাকসেনাদের কাছে বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিতে সব করতে পারে সে। প্রভূভক্ত কুকুরের মতো পড়তে পারে তাদের পবিত্র পায়ে। আহা। পাকসেনা তো নয়, ইসলামের দূত তারা। তাদের সেবা মানে ইসলামের সেবা। পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা করা পবিত্র দায়িত্ব তাদের। এখানে ঈমানের প্রশ্ন জড়িত, এখানে আছে ইসলাম রক্ষার কঠিন পরীক্ষা। পরকালের আজাবের ভয়। এতে বিচ্যুত হলে চলে না। অবশ্যই এই পরীক্ষায় পাস করতে হবে তাকে। তাতে মুফতে ইহকালেও যদি নগদ মেলে কিছু সেটা বোনাস। মিত্তিরবাড়ির ভেতরের দিকের সিন্দুক ভেঙে যা পেলো তারা, তা উল্লেখযোগ্য নয় তেমন, আবার ফেলনাও নয়। মনে মনে ভারী নাখোশ হলো মুজতবা খান।
এ বাড়ির মেয়ে-বউদের ভারী ভারী সোনার গয়না পরতে দেখেছে সে সব সময়। সেসব কই? হারামি মেয়েছেলেগুলো সব নিয়ে সটকে পড়েছে! দেশের এই ক্রান্তিকাল, মানুষ ছুটছে জীবন নিয়ে, আর বজ্জাত মাগিগুলো আছে গয়নার চিন্তায়। সব নিয়ে ভেগেছে। খানকিগুনু কোনেকার! মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে যায় মুজতবা খানের। গালি দেয় সশব্দে। তারপর বাইরের ঘরের দাওয়ায় এসে বসে। নভেম্বরের হালকা শীতের চিকমিকে রোদ এসে পড়ে তার ফর্সা, সুন্নতি দাড়ি কামানো মুখে। সুরমা দেওয়া চোখে ঠিকরে পড়ে রাগ। শালার মালাউনের গুষ্টি। সোনাদানা, টাকাপয়সা, যা ছিল, সব নিয়ে ভেগেছে, হারামখোরের দল। এত কষ্টে সিন্দুক ভেঙে শেষে কিনা সামান্য কয়েকটা রুপার মাদুলি-কবচ, আর টুকরা কিছু ভাঙাচোরা সোনার নামকাওয়াস্তে গয়না। মেজাজটা তেতো হয়ে যায় মুজতবা খানের। সাগরেদদের দিকে তাকিয়ে কড়া গলায় বলে, ভালো কইরে খুঁজে টুজে দেক তুরা সপ। আরও কিচু পাওয়া টাওয়া যায় কি না কোনোখানে। শালার মালাউনির গুষ্টি চুদি। কোনে কোন কুনাকাঞ্চিত গুলি খ্যায়া গুয়া উব্দো করে দে মইরে পইড়ে থাকপিনি তার নাই ঠিক, আবার পলানের সুময় সুনাদানা সপ নিয়ে পলায়চে। খানকির বাচ্চারা যিনি কোনেকার।—বলতে বলতে রাগে ফুঁসতে থাকে সে। সাগরেদরাও খিস্তি দিতে থাকে সমানে। যার যার গালির ভাণ্ডার উজাড় করতে থাকে পাল্লা দিয়ে।
মুছবে সে চেষ্টাই বৃথা। দাঁতে দাঁত চেপে চুপ থাকলো মুজতবা। মনে মনে বললো, শালা মালাউনের বাচ্চা মালাউন!
উঠানের এককোণে বেঁধে রাখা ছাগলের পাল থেকে তাগড়া একটা খাসি জবাই দিয়ে চামড়া ছাড়াতে লেগে যায় কেউ কেউ। বারান্দায় রাখা তক্তপোষে রোদের আঁচ এসে পড়েছে বেশ। তাতে শুয়ে আরামে চোখ লেগে এসেছিল প্রায়। মাথার কাছে বসে চুলে বিলি কাটছিল অল্পবয়সী একটা ছেলে। তাতে আরামটা বেশ ঘন হয়ে আসছিল মুজতবা খানের। হঠাৎ করেই সবকিছু কেমন অতিরিক্ত নীরব মনে হলো যেন। মনে হলো, কানের কাছে বাজতে থাকা অনেকগুলো ঝিঁঝির সুর যেন থেমে গেলো হুট করে। কেমন ভোঁতা একটা অনুভূতি ঝপ করে কানের ভেতর ঢুকে থম ধরে থাকলো। চোখ মেললো মুজতবা খান সঙ্গে সঙ্গেই। ঘুম-ঘুম, লাল চোখ মেলে সে বোঝার চেষ্টা করলো পরিস্থিতি। তার ষষ্ঠেন্দ্রিয় সজাগ করে দিলো তাকে। মাত্র গতকাল মিলিটারিরা গ্রামে টহল দিয়ে গেছে। আগামী দুচার দিনে মুক্তিবাহিনী এদিকমুখো হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাহলে? ঠিক বুঝতে পারলো না মুজতবা খান। কিন্তু পরিবেশটা কেমন গুমোট আর থমথমে। স্বাভাবিক লাগছে না একদম। মাথার কাছে বসে থাকা ছেলেটাকে খুঁজলো সে। নেই। গলা চড়ালো অগত্যা। কী হয়েছে রে রমজান? গেলো কোথায় সবাই?–হাঁক ছাড়লো জোরে। কারও কোনো সাড়া মিললো না। চট করে চৌকি ছেড়ে উঠে বসলো মুজতবা। গলা বাড়িয়ে ভেতর বাড়ির দিকে তাকালো। তাকিয়েই, চমকে উঠলো। গলা শুকিয়ে গেলো ভয়ে। রমজানের শরীরটা উঠানে পড়ে আছে চিৎ হয়ে। রক্তে ভেসে যাচ্ছে জায়গাটা। মাথাটা পড়ে আছে আরেকটু দূরে। যেখানে খাসিটা জবাই করেছে তারা খানিক আগে, সেখানেই।
খাসির মাথা আর রমজানের মাথাটা পাশাপাশি পড়ে আছে। কালো আর লালের মিশেলে এমন কিম্ভুত হয়ে গেছে, সেদুটো যে হঠাৎ দেখে খাসি আর ছাগলের মাথা বলে আলাদা করে চেনা মুশকিল। ভয়ে বুকের রক্ত হিম হয়ে গেলো মুজতবা খানের। মাথার ভেতর অ্যালার্ম বাজলো, পালাতে হবে, এক্ষুনি! উর্ধ্বশ্বাসে ছুটবে ভেবে ঘুরে তাকাতেই চোখ পড়লো ধীরেন মিত্তিরের চোখে। মানুষ নয়, যেন আজরাইল চোখ রেখেছে তার চোখে। আগুন জ্বলছে ধীরেনের চোখে। কাঁধে মেশিনগান, মুজতবা খানের বুক বরাবর তাক করা। সেদিকে তাকিয়ে মুজতবা খানের মনে পড়লো, এতক্ষণ সে কোনো গুলির শব্দ পায়নি। তারমানে, ধীরেনরা এসেছে চুপিসারে, ওঁৎ পেতে ছিল কাছেপিঠেই। পিছমোড়া করে বেঁধে ফেললো কয়েকজন, বেঁধে ফেললো চোখ। তারপর হিড়হিড় করে টানতে টানতে নিয়ে চললো তারা মুজতবা খানকে। বাঁচার আশা ছেড়ে দিয়েছিল মুজতবা খান। কিন্তু ধীরেন মিত্তিরের কথায় মনে হলো, না, আশা আছে। হবি ভাই আর যাই করুক, অন্তত মেরে ফেলতে পারবে না তাকে। ছোট ভাই মুজতবাকে সে ভালোবাসে নিজের চেয়েও বেশি। ধীরেন মিত্তিরকে সে বলতে শুনলো, শুয়োরের বাচ্চাকে নিয়ে চল। হবিবর নিজের হাতে শাস্তি দিক তার ভাইকে। শুয়োরের বাচ্চা হবিবরের বউটাকে পর্যন্ত তুলে দিয়েছে ওর পাকি বাপদের হাতে।
একদলা থুতু এসে পড়লো মুখে। দুহাত বাঁধা। মুছবে সে চেষ্টাই বৃথা। দাঁতে দাঁত চেপে চুপ থাকলো মুজতবা। মনে মনে বললো, শালা মালাউনের বাচ্চা মালাউন! যদি বেঁচে ফিরি, এর শোধ নিয়ে ছাড়বো, মনে রাখিস!