[পর্ব-এক]
প্রথমবার কানাডা গিয়েছি ২০১২ সালে। তখন টরন্টো, অটোয়া, মন্ট্রিয়েল, ক্যালগেরি, বানফ, ভ্যাংকুবার, ভিক্টোরিয়া, আলবার্টা, কুইবেকসহ অনেক জায়গায় বেড়ালেও আটলান্টিকের পাড়ে বেড়ানো হয়নি। এবার (২০১৯) তাই কানাডা ভ্রমণের সময় ছোটভাই জিয়াকে আগেই বলে রেখেছিলাম, অন্যরকম কোনো একটা ট্যুরের আয়োজন করতে। জিয়া জানিয়ে রাখলো, এবার তবে নোভা স্কোশিয়া যাব। আমি তো মহাআনন্দে লাফিয়ে উঠলাম। এবার আমি আবার সপরিবারে ভ্রমণ করছি।
২৭ সেপ্টেম্বর টরন্টো হয়ে কিচেনার পৌঁছে গেলাম। ২৮ তারিখ ছিল নায়াগ্রা দেখার পালা। যদিও গতবারও নায়াগ্রা দেখা হয়েছে, এরপরও এই বিশাল জলস্তম্ভের পতন স্তম্ভিত হয়েই দেখতে হয়। মনে হয়, এদেখা কখনো পুরনো হওয়ার নয়। এরপরে যখন সন্ধ্যার দিকে বোট ক্রুজে গেলাম, তখন নায়াগ্রার পানির ওপর ফেলা বিভিন্ন রঙের আলো যে অতিন্দ্রীয় পরিবেশ তৈরি করলো, তাতে নয়ন-মন জুড়িয়ে গেলো। নায়াগ্রার রূপ দেখতে দেখতে বেশ রাত হয়ে গেলো। যখন ফিরতি পথ ধরেছি ড্রাইভিং সিটে জিয়া ছাড়া প্রায় সবাই তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম। পরদিন ভোরে আবার দীর্ঘ যাত্রা।
হ্যালিফ্যাক্স, পেগি’র খাঁড়ি, লুনেনবার্গ: (২৯.৯.২০১৯)
২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে হ্যালিফ্যাক্স বিমানবন্দরে নেমেই আমরা ছুটলাম পেগি’র কোভ লাইট হাউসের দিকে। এটা আমাদের কুতুবদিয়ার মতো মাটিময় কোনো স্থান নয়। গাড়ি থেকে নেমেই বিস্ময়ের সঙ্গে অনুভব করলাম পাহাড়সমান পাথরগুলো প্রকৃতিরই এক অসামান্য খেয়ালে তৈরি হয়েছে। এই পাথুরে পাহাড় বেয়ে নিচের দিকে নামলেই আটলান্টিকের জলের উচ্ছ্বাস আমাদের দিকে ছলকে ছলকে ছুটে এসে তীরে আছড়ে পড়ছে সফেন। তবে, কক্সবাজার বালুকাবেলার সেই অফুরন্ত ঊর্মিরাশি এখানে নেই। পানি অসম্ভব শীতল, এখানে কেউই পানিতে নামার কোশেশ করছে না। একটি বিশাল প্রস্তরখণ্ডের মাঝখানে শ্বেতশুভ্র বাতিঘর দাঁড়িয়ে আছে। তবে তার দ্বার রুদ্ধ। পাশে স্যুভেনিরের দোকান থেকে লাইট হাউসের মিনি প্রতিকৃতি কিনে সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
কয়েক শতক ধরে, নোভা স্কটিয়ার বাতিঘরগুলো যারা উপকূলে এসে পৌঁছেছে এবং যারা এখানকার পানিতে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের রক্ষা করতে সহায়তা করেছে। আমেরিকার সর্বাধিক প্রাচীনতম ওয়ার্কিং বাতিঘর—নোভা স্কটিয়ার সবচেয়ে বিখ্যাত ও বহু-চিত্রিত পেগির কোভ লাইটস্টেশনসহ আজ নোভা স্কটিয়া জুড়ে ১৫০টি বাতিঘর রয়েছে। এই বিকনগুলো নোভা স্কটিয়ার সমুদ্র ইতিহাস ও সামুদ্রিক চেতনার ওপর আলোকপাত করতে সহায়তা করে। পেগিস কোভ বাতিঘর একটি আইকনিক কানাডিয়ান চিত্র। পেগির কোভ, নোভা স্কটিয়া প্রদেশের অন্যতম ব্যস্ত পর্যটক আকর্ষণ বাতিঘরটি সেন্ট মারগারেটস বে-এর পূর্ব প্রবেশদ্বার চিহ্নিত করে। চারপাশের অসামান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে ছোট ভাই জিয়া ডাক দিলো ফিরে যাওয়ার জন্যে।
তারপর শুরু হলো লম্বা গাড়িভ্রমণ। চারপাশের অপরূপ সুন্দর দৃশ্য দেখতে দেখতে এগিয়ে যাই অনেক দূরের ছোট্ট শহরতলী লুনেনবার্গ। ছবির মতো এই এলাকায় রয়েছে সমুদ্রভ্রমণের নানান বিজ্ঞাপন। তিমি, মারমেইড এমনকি নাবিকের সমূর্ত অবস্থান। এখানে ছিল প্রাচীন জলযানের মিউজিয়াম। ব্লুনোজ জাহাজের মিউজিয়ামে ঘুরেফিরে বেড়ালাম।
ব্লুওনোজ হল ফিশিং ও রেসিং গ্যাফ রিগ স্কুনার ১৯২১ সালে কানাডার নোভা স্কটিয়াতে নির্মিত। অ্যাঙ্গাস ওয়াল্টার্সের কমান্ডে ব্লুয়েনোজ একটি বিখ্যাত রেসিং শিপ ও ফিশিং জাহাজ, নোভা স্কটিয়ার প্রদেশীয় আইকন এবং ১৯৩০-এর দশকে কানাডার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হয়েছিল, ১৯৪৬ সালে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবধি কর্মক্ষম থেকে দায়িত্ব পালন করেছে। পরে ১৯৬৩ সালে উত্তর আটলান্টিকের রানি হিসেবে খ্যাত এই ব্লুওনোজের স্মারক রেপ্লিকা নির্মিত হয় এবং এটি ব্লুনোজ-২ নামে উন্মুক্ত মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। ১৮ শতকের শেষদিকে নোভা স্কোশিয়ার ডাকনাম ছিল ব্লুওনোজ।
এদিকে সাগরের শীতল বাতাসে আমদের ক্ষুধা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বসে গেলাম ‘ওল্ড ফিশারম্যানস ডেক’ নামের একটি পুরনো রেস্তোরাঁয়। অত্যন্ত উপাদেয় সব মাছনির্ভর খাবারের আয়োজন এদের মেনুতে পেয়ে কোনটা ছেড়ে কোনটা খাই অবস্থা। কেউ লবস্টার চাইলে কেউ চাইলাম হেডক মাছ, আর কারও বা চাহিদা ফিস অ্যান্ড চিপস।
খেতে খেতে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত্রি নেমে এলো। আমাদের রাতের যাত্রা শুরু হ্যালিফ্যাক্সে হোটেলের উদ্দেশে। পথিমধ্যে শুধু দশ মিনিটের যাত্রাবিরতি দিলাম শব্দশিল্পী ফারজানা নাজের বাসায়। সাগরপাড়ে পেট ভরে খেয়ে আসার কারণে তাদের আন্তরিক অভ্যর্থনা ও আগে থেকেই তৈরি করে রাখা খাবার কিছুই তেমন করে উপভোগ করতে পারলাম না। আমার কবিতার বই ‘ডায়োজিনিসের হারিকেন’ উপহার দিলাম। তিনি উপহার দিলেন তার বই। বাচ্চারা গাড়িতে গভীর নিদ্রামগ্ন ছিল বলে দ্রুত ছুটলাম হোটেল হোমউড হিলটনে। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি হোটেলটিও বেশ মনেমুগ্ধকর।
কেইপ ব্রেটন, ক্যাবট ট্রেইল এবং ইনগনিশ (৩০.৯.২০১৯)
কানাডার নোভা স্কোশিয়ায় কেইপ ব্রেটন দ্বীপটির উত্তর সীমান্তরেখায় যে ১৮৫ মাইল দীর্ঘ মহাসড়ক রয়েছে তাকে বলে ক্যাবট ট্রেইল। এটা উত্তর আমেরিকার একটি প্রধান দর্শনীয় উপকূলীয় মহাসড়ক। পথের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে এর গতিপথ নির্দেশনার বোর্ড। পুরোটা লুপ ঘুরতে লাগবে প্রায় ৮ ঘণ্টা। পাহাড় কেটে তৈরি করা আঁকাবাঁকা, ঢালু, উঁচু-নিচু মনোরম এই পথটি কখনো জলের ধার ধরে, কখনো উঁচু পাহাড়ের পাশ ঘেঁষে এঁকেবেঁকে চলে গেছে। এমন ঝুঁকিপূর্ণ আর আনন্দ একসঙ্গে মাখামাখি করে থাকা ভ্রমণের এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা। পৃথিবীর এত রূপ যে কানাডার এই মহাসড়কে লুকিয়ে আছে তা না গেলে কেউ বুঝতেই পারবে না।
এন্টিগনিশে মধ্যাহ্নভোজন
৩০ সেপ্টেম্বর সকালে হ্যালিফ্যাক্সের তাপমাত্রা একটু শীতলতর হয়ে গেল। তবু হালকা রোদ্দুরে হোটেলের সামনে ছবি তুললাম। তারপর যাত্রা শুরু হলো হ্যালিফ্যাক্সের অন্যতম দর্শনীয় স্থান সিটাডেল দেখতে। সিটাডেল হিল একটি পাহাড় যা কানাডার নোভা স্কটিয়ার হ্যালিফ্যাক্সের একটি জাতীয় ঐতিহাসিক স্থান। ১৭৪৯ সাল থেকে চারটি দুর্গ নির্মাণ করা হয়েছে এবং এটি ফোর্ট জর্জ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল—তবে কেবল তৃতীয় দুর্গটির (১৭৪৯ থেকে ১৮০০ এর মধ্যে নির্মিত) আনুষ্ঠানিক নাম ছিল ফোর্ট জর্জ। ২০ই অক্টোবর, ১৭৯৮ এর জেনারেল অর্ডার প্রিন্স অ্যাডওয়ার্ডের বা কিং তৃতীয় জর্জের নামে নামকরণের আদেশ দেয়। প্রথম দুটি এবং চতুর্থ এবং বর্তমান দুর্গ, সরকারিভাবে হ্যালিফ্যাক্স সিটাডেল নামে পরিচিত ছিল। শেষটি একটি কংক্রিট তারকা দুর্গ। যাই হোক ঠাণ্ডা হাওয়ায় বেশিক্ষণ বাইরে থাকা দুষ্কর বিধায় দুই-একটি ছবি তুলে দ্রুত গাড়িতে উঠে পড়লাম। সিটাডেল থেকে বেরিয়ে আমরা পাহাড়ে বসিয়ে রাখা হ্যালিফ্যাক্সের ঘড়ি দেখতে হেলাম। তেমন বড় কোনো ঘড়ি নয়, তারপরও তার অবস্থান এবং উপস্থাপনা মনোমুগ্ধকর। তারপর পাহাড় থেকে নেমে এসে এগিয়ে গেলাম সাগরপাড়ে, ওয়াটার ফ্রন্ট এলাকায়। বেশ ঠাণ্ডা হাওয়া বইছিল। কানটুপি খোলাই কঠিন হয়ে পড়ছিল। তবু ছবি তোলার খাতিরে দু’একবার টুপি খুলেছি। বেশ বিশালীকৃতি জাহাজ দাঁড়িয়ে আছে। জেটির ভীষণ ঠাণ্ডা বাতাসে টুপি খুলে ছবি তোলা কঠিন হয়ে পড়ে। বেশিক্ষণ দাঁড়ানো গেলো না। জিয়ার গাড়ি ছুটে চললো কেইপ ব্রেটনের দিকে।
এর মধ্যে রুমির আবদার তার বান্ধবীর সঙ্গে একটু দেখা করতেই হবে। আমি একটু মনক্ষুণ্নই হলাম, কত দূরের পথে যেতে হবে। এখন এসব দেখাসাক্ষাৎ খাবারের আয়োজন ইত্যাদি কতো সময়ই না নষ্ট করে দেবে। জিয়া বললো, অসুবিধা নাই, যাওয়া যাক তবে। তার বাসা তো কেইপ ব্রেটন যাওয়ার পথেই পড়ে। আমি পুরোটা আশ্বস্ত হতে না পারলেও রুমির ইচ্ছায় সম্মতি জানিয়ে এগিয়ে যেতে থাকলাম। দুপুর নাগাদ আমরা এসে পৌঁছি সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সদর দুয়ারে।
সেন্ট ফ্রান্সিস জাভিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কানাডার নোভা স্কটিয়ার অ্যান্টিগনিশে অবস্থিত একটি পাবলিক স্নাতকোত্তর উদার শিল্পকলা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি পূর্ব কানাডার মূলত স্নাতক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি গ্রুপ, ম্যাপল লীগের সদস্য ।
সেন্ট ফ্রান্সিস জাভিয়ের কলেজ ১৮৫৩ সালে নোভা স্কটিয়ার আরিচ্যাটে রোমান ক্যাথলিক ডায়োসেসন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আরিচ্যাট কলেজ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আরিচাট কলেজটি অ্যান্টিগনিশের বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয় এবং ১৮৫৫ সালে সেন্ট ফ্রান্সিস জাভিয়ার কলেজ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৬৬ সালের ৭ই মে সেন্ট ফ্রান্সিস জাভিয়ার কলেজটিকে সেন্ট ফ্রান্সিস জাভিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। ১৮৬৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রথম ডিগ্রি প্রদান করে। এই প্রাচীন এবং বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের তোরণ দিয়ে প্রবেশ করতেই মনটা ভরে গেল প্রশান্তিতে। সঙ্গে সঙ্গেই আমি অদিতাকে বললাম, তুমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারো কিনা দেভো। সে স্বভাবসিদ্ধ মুচকি হাসি দিয়ে চুপ করে রইলো। এতক্ষণে রুমি জানালো তার বান্ধবী এবং বান্ধবীর স্বামী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছোট ছোট ছিমছাম বাড়িগুলো একে একে পেরিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে থাকি জিপিএস-এর নির্দেশনায়। অবশেণে একটি সুন্দর বাড়ির সামনে ঘোষিত হলো আমাদের গন্তব্যে পৌঁছার খবর। রুমির বান্ধবী ডক্টর নাফিসার প্রাণবন্ত ও আনন্দমুখর উচ্ছল আবাহনে আমরা আপ্লুত ও অভিষিক্ত হলাম। পেছনে ভাবগম্ভীর ডক্টর হোসেনের স্মিতহাস্য অভ্যর্থনা প্রাণ জুড়িয়ে দিলো। তবু আমি বারবার তাদের বোঝাতে চাইলাম, এতদূর থেকে এসেছি এই দেশটি দেখতে।
আমার শঙ্কা প্রকাশ গোপন থাকলো না যে, খেতে গিয়ে না কেইপ ব্রেটনের সৌন্দর্য অবলোকন মিস করি। দুই সজ্জন অধ্যাপক আমাদের খুব ধৈর্যের সঙ্গে আশ্বস্ত করলেন যে, যথেষ্ট সময় আছে। জানতে পেলাম, তারা দু’জনেই পদার্থবিজ্ঞানী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে এখানে এসে পিএইচডি করে শিক্ষকতায় আছেন। পদার্থবিদ্যা বিভাগের সঙ্গে আমার সংযোগের কথা জেনে তারাও বিস্মিত হলেন। আমি যে মেডিক্যাল ফিজিক্সের অধীনে পিজোইলেকট্রিক ওয়েভের আল্ট্রাসনোগ্রাম, মেমোগ্রাম এবং এফএনএসির মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার নিয়ে কাজ করেছিলাম রশিদুননবী স্যারের অধীনে, তা জেনে তারা বেশ বিস্মিত হন। তারপর তো অনেক কথাই হলো। তবে বহুদিন পরে দেখা হওয়ায় রুমি ও নাফিসা যেন শৈশবে ফিরে গেলো। কথা তো আর থামেই না। একসময় আমাদের ডাকা হলো বেসমেন্টে। দেখি প্লেট আগে থেকেই সাজানো। নিজেদের বড়শিতে ধরা মাছ রান্না করে খাওয়ালেন তারা। তাদের মাছধরার খুব সখ। আর আটলান্টিকের পাড়ে থেকে মাছ ধরবেন নাইবা কেন। চমৎকার পরিবেশনায় গলাপর্যন্ত ভুড়িভোজন করে শরীর যেন আর নড়তে চাইছে না। কোথায় চলে গেল সেই তাড়াহুড়া! মনে হচ্ছে এখানেই থেকে যাই—এমন অবস্থা। যাই হোক, একসময় আমরা দলবেঁধে বের হলাম বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখতে। বিভিন্ন ভবন ঘুরে যখন বিদায় নিতে যাব, এক বাদামি বর্ণের ছাত্র দূর থেকে আমাদের আলাপ শুনে কাছে এসে জানতে চাইলো আমরা বাঙালি কি না। সে ও দুই অধ্যাপক যুগপৎ বিস্ময় প্রকাশ করলো, এই অঞ্চলে কোনো বাঙালির দেখা তো সহজে মেলে না। আমরা ছাত্রকে শিক্ষকদের হেফাজতে রেখে বেরিয়ে পড়লাম দূরের যাত্রায়।
চলবে…