বিয়ে
এমন সুদূরে এসে পাল্টে ফেলি আদিনাম
এভাবে মাছেদের বিরুদ্ধে যেতে যেতে
একসময়
গান হয়ে যাই
রোপিত বীজের ছায়ায় ছায়ায়
তন্দ্রাকালে
মাছিদের গীত গাই
এমন সুদূরে এসে পাল্টে ফেলি আদিনাম
নদী তুমি সভ্যতার সর্বনাম
অদূরে কলঙ্ক, যন্ত্রণা আর ধারাভাষ্যের আলো
বিয়ে একটি তদ্ভব শব্দÑএকথা জানার পর
সকল দেশি শব্দকে
তিতাস নদীতে ফেলে দেওয়া ভালো
নারীতত্ত্ব-২
তোমাকে মনে হয় পালবংশের এক নিঃসঙ্গ মেষবাহক
সময় এক দারুণ বিজ্ঞাপন, নিদারুণ তার চন্দ্রসমীক্ষা। একদার ব্যক্তিগত শিল্প আজ ভেসে যায় বেহুলার মতো। সময় এক দারুণ যমুনা সেতু, যেন স্থিতিময় শিকারের লুব্ধ হাতছানি। আর কে যেন ব্যক্তিগত বনভূমিতে হয়ে যায় অবাধ্য ধনুক। এ যাত্রা ব্যাহত হবে না রক্তভ্রমণ পর্যন্ত।
গ্রহণের কালে উর্বরতার কত বিবরণÑতোমাকে বেশ মানিয়ে যায়। লক্ষভেদী শিৎকার দেখে দেখে ভুল নির্মাণে ধন্ধে পড়ে যাই! মোড়ক আছে পণ্য কোথায়! পণ্য কথা বলে না, যেন থাকে আলোকবর্ষ দূরে আর বলেÑআছি গো নিকটেই, নিঃশ্বাস দূরত্বে।
যেন এক অদ্ভুত শিশুর বিস্ময়। আকাশে কী দেখো! আমরা দম দেওয়া দেখি আর পৃথিবীকে স্থির ভেবে আহত হই, কেননা গ্রহণের কালে কালে এসেছে নিষেধের চোরাস্রোত। অথচ নগরতলে রেখেছ যৌনকাতর মুখ।
শব হবে নিঃসন্দেহে এসবের দেহ। স্মৃতিকথা শেষ হবে না। সময়সূচিতে ঠিকই আসবে প্রাইভেট চ্যানেল কিংবা ভ্রমণের মতো আটাশে জুলাই…
তুমি তো এখন কাশফুলের ওই ঢেউ
চরপলরি ওই মুক্তযানে জানে না যে কেউ
রমণতত্ত্ব
অদূরে জ্বলছে বাতাস আর আগুনবাহী ধোঁয়া
আমরা বলি সিগারেট
আসলে মুক্ত প্রতীক ইহা।
আর পতঙ্গের মতো সর্বহারা প্রতিনিধি।
পুরুষ পতঙ্গ আগুন চায়, আমরা জল।
আখ্যানে জারক রস, বৈঠা কেন তরীতে
আমার তবু ভয়ানক ভয় নারীতে