আনুষ্ঠানিক ছোটগল্পের কথা বাদ দিলে মানুষের গল্প বলার প্রবণতা সেই আদিমকাল থেকেই। পাহাড়ের গুহায় বসবাসরত মানুষ তখনই গোত্রের মধ্যে গল্প বলতো। শিকার করে এসে জানাতো, তারা কিভাবে প্রাণীটি শিকার করেছে। তখন মুখের ভাষা ছিল না। ছিল আঙ্গিকের ব্যবহার। গল্প বলার সেই তো শুরু।
ছোটগল্প জীবনের কথা বলে। আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোই লেখকের কলমের কালিতে গল্প হয়ে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মানুষের নানাবিধ অনুভূতির প্রকাশ ঘটায়। আমাদের না বলা কথাগুলো গল্প হয়ে যখন আমাদের সামনে হাজির হয়, আমরা তখন আপ্লুত হই। যেন আমার জীবনের গল্পটিই বলেছেন লেখক। নিজের অজান্তেই ভিজে ওঠে চোখের কোণ। শ্রদ্ধায়-ভালোবাসায় অবনত হই লেখকের কল্যাণে।
এই যে দীর্ঘ জীবনের এত এত গল্প, আমরা কি কখনো প্রকাশ করতে পেরেছি? হয়তো পারিনি। আমার না পারা সেই কাজগুলোই করে দিচ্ছেন একজন। তিনি আর কেউ নন; একজন গল্পকার। আমাদের জীবন-মৃত্যু, প্রেম-প্রতারণা, মিলন-বিরহ, আশা-নিরাশা, পাওয়া-না পাওয়া, সফলতা-ব্যর্থতা; সবই তো উঠে আসে তার লেখায়। আমরা সেই গল্পগুলো পড়ে প্রীত-আবেগাপ্লুত হই। গল্পের চরিত্রের মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করি। সংকট ও হতাশা থেকে উত্তোরণের পথ খুঁজি। আর এতেই যেন গল্পকারের সফলতা নিহিত।
সফলতা-ব্যর্থতার দোলাচলে কালে কালে ছোটগল্প তার ধরন পাল্টায়। লেখক-পাঠকের সম্পর্ককে মজবুত করে। লেখককে পাঠকের কথা ভাবতে শেখায়। তাই ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র ও সভ্যতার বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গল্পের ধরনেও আসে পরিবর্তন। কাহিনীর উপজীব্য হয় নানা অনুষঙ্গ। সেই অনুষঙ্গ উঠে আসে সমকাল থেকে। শিক্ষা নেয় ইতিহাস থেকে। প্রত্নতাত্ত্বিক চেতনাও জাগ্রত হয় মাঝে মাঝে। এমন ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যায় গল্প, এগিয়ে যান গল্পকাররা। ফলে ব্যক্তির আবেগ-অনুভূতি-ভালোবাসা-বিরহ-যাবতীয় বিষয় উঠে আসে গল্পে। তখন অ্যানালগ যুগের কাহিনী আর ডিজিটাল যুগের কাহিনীর মধ্যেও পার্থক্য সূচিত হয়।
পাহাড়ের গুহা বলি আর চাকচিক্যময় রাজপ্রাসাদ বলি—গল্পে সমকালীন প্রভাবটা সব সময়েই ছিল। মাঠ থেকে রাজনীতির মঞ্চ, ঘর থেকে বিশ্বমঞ্চ—সর্বত্রই সমসাময়িক অবস্থা বা বিষয়কে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে গল্পের আদ্যোপান্ত। তারই ধারাবাহিকতায় বর্ণনায়, পোশাকে, ভাষায়ও পরিবর্তন এসেছে। যুগে যুগে সংস্কৃতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্যেরও চেহারা বদলেছে। গ্রামীণ আবহ থেকে শুরু করে নাগরিক যন্ত্রণা—কোনকিছুই বাদ যায়নি। মানুষের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনের পাশাপাশি গল্পেও পরিবর্তন এসেছে।
পরাধীন দেশের গল্পও একদিন স্বাধীনতা লাভ করেছে। গল্পে উঠে এসেছে পরাধীনতার গ্লানি, জয়ের আনন্দ, দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, যোদ্ধার স্বদেশ প্রেম ইত্যাদি। ক্ষমতার পালা বদলের সঙ্গে সঙ্গে গল্পের বিষয়-ভাবনাও আবর্তিত হয়েছে সবসময়। রাজনীতি-ক্ষমতার দ্বন্দ্ব গল্পের চরিত্রে ফুটে উঠেছে সুচারু রূপে।
অতীতের গল্পে জমিদার থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মানুষ, কুসংস্কার থেকে সামাজিক সংস্কার, সাংস্কৃতিক বিপ্লব, শ্রমিক শ্রেণীর দাবি, রাজপরিবারের উত্থান-পতন, মানব-মানবীর মিলন বা বিরহগাথাসহ প্রভৃতি বিষয় আলোচিত হয়েছে। সাম্প্রতিক গল্পে অতীতের ছায়া তো রয়েই গেছে। বরং তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন উদ্ভাবন। পাল্টে গেছে কষ্টের ধরন। মিলনের আকাঙ্ক্ষা নিয়েছে ভিন্নরূপ। মানুষের হতাশা, হঠকারিতা, বিশ্বাসহীনতা, উগ্রতা যেন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।
অনগ্রসর জনগোষ্ঠী যখন সমৃদ্ধশালী হতে থাকে—সেই অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চিন্তা-ধারায়ও পরিবর্তন আসে। এমনকি তা অবলীলায়েই এসেছে। বিজ্ঞানের উৎকর্ষের ফলে আমাদের হাতে এসেছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। সেই প্রযুক্তির কল্যাণে সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধাও কম নেই। এমন সব বিষয়গুলোও উঠে আসে সাম্প্রতিক গল্পে। গল্পের শিরোনামে, বর্ণনায়, চরিত্রে, ফ্যাশনে, পরিণতিতে বিরাট প্রভাব ফেলছে নিঃসন্দেহে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার নামই তো আধুনিকতা। বাংলা গদ্যের এই জন্মলগ্ন ১৮০১ সালে হলেও আধুনিকতা তো শেষ হয়ে যায়নি। বরং চরমতম আধুনিক সময় পার করছি আমরা। আর আধুনিক সময়ের যন্ত্রণা আরও আধুনিক। তা প্রকাশের ভঙ্গিও আলাদা। পারিবারিক বলয় থেকে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কথাও ভাবতে শুরু করেছি। গল্পে উঠে আসছে সংগ্রামী প্রবাস জীবন। কখনো কখনো আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পা রাখছেন গল্পপকাররা। দেশের গণ্ডি থেকে তাদের গল্প পৌঁছে যাচ্ছে ভিনদেশিদের কাছে।
একসময় পাঠকের সীমাবদ্ধ জগৎ ছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত থাকায় তুলনার জায়গাটি দুর্বল ছিল। তখন কেবল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হয়ে রবীন্দ্রনাথের হাতে গড়া ছোটগল্প পর্যন্ত পাঠকের হাতে পৌঁছেছিল। তাদের দেখানো পথ ধরে হেঁটে এ সময়ে ছোটগল্প নবীনদের হাতেও সমুজ্জ্বল বলা যায়। রবীন্দ্র সমসাময়িক বা তার পরবর্তী গল্পকারদের ভেতরে রাবীন্দ্রিক টান থেকে গেলেও এ সময়ের গল্পকাররা অনেকটা সেই টানমুক্ত হাতেই লিখছেন বলা যায়।
এখনো যে গল্পগুলো মানুষের মুখে মুখে, তার স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ, মানিক বন্দ্যোপাধ্যয়, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সোমেন চন্দ প্রমুখ। তারা যে ধারায় গল্প লিখে গেছেন; তা থেকে বেরিয়ে আসার প্রয়াস লক্ষ করেছি আমরা। তবে তাদের চরিত্রগুলো এখনো মানুষের মুখে মুখে শোনা যায়। সাম্প্রতিক গল্পের কোনো চরিত্র সেভাবে কারও হৃদয় ছুঁয়েছে কি না, জানা নেই।
এ কথা স্বীকার করতেই হয় যে, যুগে যুগে গল্পের পটভূমি এসেছে সমকাল থেকে। যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবী, অত্যাচার, নির্যাতন, বিপ্লবকে কেন্দ্র করে গল্প আবর্তিত হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে গল্প লিখেছেন তারা। সেসব গল্পের কারণে বিপ্লবও বেগবান হয়েছে। তাহলে বর্তমানে আমরা কি প্রতিবাদী চরিত্র সৃষ্টিতে ভয় পাচ্ছি? সাম্প্রতিক গল্পগুলো কি কেবল পরিবার আর বিরহ-মিলনে বাঁধা পড়ে থাকবে? লেখকের সেই বিদ্রোহী সত্তা কি তবে মুখ থুবড়ে পড়েছে? সরাসরি প্রতিবাদী না হলেও প্রতীকী প্রতিবাদের রূপ আমরা দেখতে পাই।
এ সময়ের কোনো কোনো গল্পকারের লেখা বুঝে উঠতেও পাঠককে ভিমরি খেতে হয়। কোনো কোনো গল্প পড়তে অভিধান নিয়ে বসতে হয়। বেশিরভাগ কবির লেখা গল্পে কাব্যিক টোনটা থেকে যায়। ফলে সেটা না হয় গল্প, না হয় কবিতা। আমার ভাবনা হচ্ছে—পাঠকই যদি গল্পের সারমর্ম বুঝতে না পারে, তবে সেই গল্প কার জন্য? এছাড়া কোনো কোনো গল্পকারকে দেখি একই কথা ঘুরিয়ে পেচিয়ে কিছুটা লম্বা করা ছাড়া আর কোনো কৃতিত্ব নেই।
সাম্প্রতিক মিডিয়ার দৌরাত্ম্যের ফলে অনেক গল্পকারের সঙ্গেই পরিচয় হয়; তবে তারা বেশিদূর এগোবেন বলে মনে হয় না। কখনো কখনো একই ধাঁচের, একই ধারার, একই কাহিনীর, একই প্যাটার্নের গল্প বারবার ঘুরেফিরে আসে। এর ভেতর থেকেও কেউ কেউ নিজের অবস্থানকে শক্ত করে নিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।
এ সময়ের উল্লেখযোগ্য গল্পকাররা হচ্ছেন—মোজাফফর হোসাইন, মেহেদী উল্লাহ, সাদাত হোসাইন, মাসউদ আহমাদ, সানাউল্লাহ সাগর, শারমিন রহমান, আশরাফ জুয়েল, সুবন্ত যায়েদ, হোসনে আরা মণি, মোস্তফা অভি, ফারহানা রহমান, মাহরীন ফেরদৌস, ফারাহ্ সাঈদ, কাজী মাহবুবুর রহমান, মঈনুল হাসান, সোলায়মান সুমন, মেহেদী সম্রাট, রঞ্জনা বিশ্বাস, শিল্পী নাজনীন, আনিফ রুবেদ, শেরিফ আল সায়ার, মঈন শেখ, রাকিবুল রকি, এমরান কবির, নাহিদা নাহিদ, সুমন মজুমদার, শীলা বৃষ্টি, মাহবুব ময়ুখ রিশাদ, আশান উজ জামান, ইলিয়াস বাবর, জোবায়ের মিলন, হারুন পাশা, কাজী মহম্মদ আশরাফ, মোস্তফা অভি, ফরিদা ইয়াসমিন সুমি, সুজিত সজীব, মঈনুল সানু, কাজী লাবণ্য, হুসাইন হানিফ, সাফি উল্লাহ্, হামিম কামাল, হোসনে আরা জাহান, আনোয়ারা আল্পনা, কাজী মোহাম্মদ আসাদুল হক, মঈন মুনতাসীর, রিপন চন্দ্র মল্লিক প্রমুখ।
সাম্প্রতিক গল্পে নতুন নতুন উপাদান তুলে আনছেন তারা। প্রেক্ষাপটের সঙ্গে চরিত্রের দারুণ সমন্বয় করতে পেরেছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া গিলে খাচ্ছে আমাদের সোনালি সময়। অহেতুক হিংসা-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে লেখার মাধ্যমে। কপি করা, থিম চুরি করার মতো অভিযোগও উঠে আসে কখনো কখনো। অহেতুক যৌনতার ছড়াছড়ি লক্ষ করা যায়। যৌনতাকে শৈল্পিক রূপে প্রকাশ করলে তার একটি নান্দনিক দিক ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। অথচ রগরগে বর্ণনা, অযাচিত দৃশ্য উপস্থাপন করে পাঠক ধরার চেষ্টা করলেও প্রকাশ্যে পাঠকের বিরাগভাজন হন অনেকেই। চলতি বছরেই ‘সাহিত্যে যৌনতা’ বিষয়ে কিছু অভিমত প্রকাশি হয়েছিল চিন্তাসূত্রে। তাতেই স্পষ্ট হয়েছে—আসলে যৌনতা সাহিত্যের জন্য অপরিহার্য না হলেও অপ্রাসঙ্গিক নয়; তবে তার ব্যবহার হতে হবে মার্জিত।
সত্যি বলতে কী, একজন লেখকের ভাবনা কখনোই কারও সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। এমনকি ভালো কোনো মাধ্যমে প্রকাশের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করাও ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হয়। লেখার জনপ্রিয়তার বিচারে লাইক, কমেন্ট, ফ্যান, ফলোয়ার বিবেচ্য হওয়া উচিত নয়। এ সময়ের বড় একটি সমস্যা বলে মনে হচ্ছে—কাজর চেয়ে প্রচারের প্রবণতা। যা নবীন-প্রবীণ সবার মধ্যেই বিদ্যমান। এমন হীন প্রতিযোগিতায় মুখ থুবড়ে পড়েন অনেক ভালো গল্পকারও। তবে প্রচার করা দোষের কিছু নয়। পাঠকের কাছে লেখা পৌঁছে দেওয়াও লেখকের দায়িত্ব হতে পারে। কিন্তু অহেতুক নগ্ন প্রচার হয়তো বাংলা সাহিত্যের জন্যই ক্ষতিকারক।
গল্পের বিষয় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ বটে। যুগ যুগ ধরে একই বিষয় নিয়ে বহু গল্পের জন্ম হয়েছে। তাই বিষয় নির্বাচনে সচেতন হওয়া জরুরি। তা না হলে পাঠকই বলে উঠবেন, এমন একটি গল্প আগেও হয়তো পড়েছিলাম। কথা প্রসঙ্গে বলা যায়, সোমেন চন্দের ‘ইঁদুর’ গল্পটি যারা পড়েছেন; তারা হুমায়ূন আহমেদের ‘নন্দিত নরকে’ পড়ে বলবেন দুটি গল্পের বিষয় তো একই। ধরনও কাছাকাছি। তাই বিষয় নির্বাচনে পূর্বাপর গল্প সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন।
অনেকেই আবার বাংলাদেশি লেখকের গল্পকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বিদেশি গল্পের ছায়া অবলম্বনে গল্প তৈরি করেন। মূলত তাদের ধ্যান-জ্ঞান ওই বিদেশি গল্প। ভাবখানা এমন যে, এদেশে ভালো গল্প হচ্ছে না। আসলে তাদের পড়াশোনার গণ্ডি ওই দেশের বাইরে গিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। এদেশে এখনো বিষয়ভিত্তিক গল্প, নতুন ধরনের প্রেক্ষাপট অহরহ তৈরি হচ্ছে। লেখককে শুধু সেটাকে ফাইন্ডআউট করতে হবে। ‘আমি অমুকের মতো একটি গল্প লিখতে চাই’ না বলে ‘আমি আমার মতো গল্প লিখতে চাই’—এ কথা ভাবতে হবে।
তবে এ সময়ে যারা লিখছেন, তারা আদৌ ভালো লিখছেন না—এমন কথা বলার সুযোগ নেই। বাংলা সাহিত্যে গল্পের মান দিনদিন উন্নত হচ্ছে। প্রাচীন ধ্যান-ধারণাকে পেছনে ফেলে নাগরিক যন্ত্রণা, আন্তর্জাতিক চক্রান্ত, মানবতা বোধ, মানবিক বিকার, ক্ষমতার দৌরাত্ম্য—সবকিছু উঠে আসছে সাম্প্রতিক গল্পে। এখনো গল্পে স্থান পাচ্ছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সুখ-দুঃখসহ নিখাদ ভালোবাসা। অন্ত্যজ শ্রেণীর সংগ্রাম-উত্তোরণ ঠাঁই করে নিচ্ছে সাম্প্রতিক গল্পের কংক্রিট দেয়ালের মাঝখানে।
হাওয়া বদলের এই সময়ে বদলে যায় আমাদের মন ও মগজ। সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে হাজির হয় সামনে। ফলে, আজকের হতাশ গল্পকারও ভবিষ্যতে বাকবদলের, যুগ বদলের আবিষ্কর্তা হিসেবে ভূষিত হবেন। এমন প্রত্যাশা আমরা করতেই পারি।