লাল প্যান্টে সিঁড়ি ভেঙে
কেন এখানে এসেছিলাম, কেন বুক চিড়ে ঝরে পড়ে বুনোফুল
কেন লাল প্যান্টে সিঁড়ি ভেঙে ওপরে উঠে মনে হলো সব শূন্য
বারবার সুতো ছিঁড়ে যায়, ফিরে ফিরে দেখলাম
আজ পৃথিবীর সমস্ত বাতিঘরে আলো নেভানো
নাগালের বাইরে দাঁড়িয়ে ওই বেহদ্দ পাগলামি
আমাকেও পাগল করবে বলে বারবার ডেকে গেল
সমুদ্রের জাহাজগুলো মনমাখা পালে উড়িয়েছে
বর্ষার প্রথম আলিঙ্গন, কে তা চেয়ে দেখে দহন দহন
আর কিছু নয়, শুধুই বয়ে চলা সকালের চেহারায় অবাধ্যঅহং
সিগারেটে টান মেরে দূরগামী রাস্তায় রাত্রি নামালো। জানা ছিল
তারপরও ধারাপাতে লেখা আছে বিকেলের আলো
ক্যাম্পফায়ারে নাচ
যখন কবিতাগুলো বুকের ভেতর গুমরাতে থাকে, দিনের প্রথমভাগ শেষ হয়ে আসে। কথার ঢাকনা
খুলে যে যে বলে যায় যা কিছু, তাদের তো চিনিনি কখনো। তবু কেন বলে তারা—চেনো চেনো খুব
চেনো, না চেনার ভান করছ শুধু? জঙ্গলবাড়ির আশেপাশে হাড়ের কংকাল এসে চিঠি রেখে গেল,
কেঁপে উঠি দেখে! খুব চেনা হেঁটে যাওয়া, খুব চেনা তাকানো, কবে যেন আয়নায় দেখেছি
যেসব ছবির মাঝে কাঁটা গেঁথে আছে, একটি একটি করে খুললে পরে। শেষ হবে দুর্যোগঘন রাত্রি,
আগুনের শিখামাখা ক্যাম্পফায়ার উঠবে হেসে। কিছু বলার আগেই হয়তো কেউ শুরু করে দেবে
সালসা নাচ, দমকে দমকে আঁকা দেহবাঁক হাততালির মাঝেও টের পাবে কবিতারা গুমরে মরছে
বুকের ভেতর
স্মল টাউন কফি শপ
ছোটো ছোটো সেই শহরগুলো অপেক্ষায় থাকে এমন কোনো আগন্তুকের
যে কোনোদিনও আসেনি এখানে। অচেনা দৃষ্টি আর কৌতূহল মেশানো
আগ্রহ নিয়ে, হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়াবে ফোয়ারার কাছাকাছি। খুশি হয়ে
কিনবে এমন কিছু যা সে সাথে নিয়ে যাবে, দেখাবে ফিরে গিয়ে
স্মল টাউনে আগন্তুক আসে। দূর থেকে দেখা গির্জার চূড়া বলে দেয়
ওই তো দেখা যায় ছোট্ট শহর, কবলস্টোনের তৈরি টাউন স্কোয়ার
সেখানে পৌঁছে অচেনা চাহনিতে গুনগুন গেয়ে ওঠে জন ডেনভার
নতুন তাপ বুক ভরে টেনে নিয়ে মনে পড়ে ফেলে আসা পিছুটান
হয়তো পকেটে মুখ গুঁজে আছে অজানা কোনো ঠিকানা বা নাম
রহস্য খুঁজে চলে যেতে থাকে পুরানো বাড়ি, সেলুন দুপাশে ফেলে
রোদের উত্তাপ নিতে নিতে মনে মনে ভাবে, আহা এখানে কি আছে
হারানো দিনের সেই সোনালি চুলের মেয়ে, কফি শপে ছিল যার কাজ
ঠিক তখনই অ্যামেন্ডা ব্রাউনের স্মল টাউন কফি শপ