এক.
বলরামী বা বলাহাড়ি সম্প্রদায়ের নিজস্ব কোনো ধর্ম গ্রন্থ নেই। এমনকি তাদের ধর্মীয় আচাররীতি সম্পর্কেও কোনো নির্দেশনা গ্রন্থ পাওয়া যায় না। এ কারণে বলরামী বা বলাহাড়ি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় রীতিনীতি সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা পাওয়া কটিন। বলাহাড়ি সম্প্রদায়ের গানগুলোও বলরাম হাড়ি রচিত নয়। তাই বলরামের তাত্ত্বিক আদর্শবাদ সম্পর্কে জানার কোনো সুযোগ নেই আজ। তবে ভক্তদের গাওয়া কীর্তন থেকে বলহাড়িদের ধর্মীয় মতবাদ সম্পর্কে খানিকটা ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়া সুধীর চক্রবর্তীর ‘বলাহাড়ি সম্প্রদায় ও তাদের গান’, ‘গভীর নির্জন পথে’ , আব্দুল্লাহ আল আমিনের ‘ব্রাত্যজনের রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’, অক্ষয়কুমার দত্তের ‘ভারতীয় উপাসক সম্প্রদায়-প্রথম খণ্ড’, কুমদনাথ মল্লিকের ‘নদীয়া কাহিনী’, যোগেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের Hindu Cast and sects বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যদিও এসব বইয়ের একটি তথ্য অন্য একটির সঙ্গে হুবহু মেলে না। তবে বলাহাড়ি সম্পর্কে গবেষকদের হাতে এর বেশি লিখিত তথ্যও নেই।
প্রমথনাথ বসুর A history of Hindu civilisation during British Rule -Vol-1 ও অনুপম হীরা মণ্ডলের ‘বাংলাদেশের লোকধর্ম দর্শন ও সমাজতত্ত্ব’ বই থেকে বলরামের মতাদর্শ সম্পর্কে সামান্য জানা যায়। এর মধ্যে সুধীর চক্রবর্তীই হচ্ছেন সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। সতের শতকের গোড়ার দিকে বাংলার প্রান্তিক মানুষ বৈষ্ণব ধর্মের মলূস্রোত থেকে সরে যেতে শুরু করে। আদিপত্যবাদী বৈষ্ণবীয় রীতিনীতির কারণে বাংলার দরিদ্র শ্রেণীর সামাজিক অবস্থান বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যায়। এই বর্ণাশ্রম প্রথা আঠারো শতকে আরও প্রবল আকার ধারণ করে। সামন্ততন্ত্র, ব্রিটিশ নৈরাজ্য আর ব্রাহ্মণ্যবাদী-বর্ণাশ্রমপ্রথা বাংলার নিরীহ প্রান্তিক মানুষের জীবনকে বিষময় করে তুললে চৈতন্য চেতনা বা দর্শনকে হৃদয়ে ধারণ ও লালন করে, বলাহাড়ির সম্প্রদায়ের প্রধান পুরুষ বলরাম হাড়ি আবির্ভূত হন তৎকালীন নদীয়া জেলার মেহেরপুর গ্রামে।১ উনিশ শতকের শুরুর দিকে বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার মালোপাড়ায় (বর্তমান হালদার পাড়া) বলাহাড়ি ধর্মের মহানপুরুষ, সাধক বলরামহাড়ি জন্ম গ্রহণ করেন। তার জন্ম-মৃত্যুর তারিখ নিয়ে গবেষকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। অক্ষয়কুমার দত্ত তার ‘ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন, “১২৫৭ সালের ৩০ শে অগ্রহায়ণের অনুমান ৬৫ পঁয়ষট্টি বৎসর বয়ঃক্রমে তাঁহার মৃত্যু হয়।’২ এই হিসেবে বলরাম হাড়ির মৃত্যু তারিখ দাঁড়ায় ১৮৫০ সালের ১৫ ডিসেম্বর। জন্ম সাল দাঁড়ায় ১৭৮৫ সাল। এদিকে প্রমথনাথ বোস জানান, হাড়িরাম ১৮৫০ সালে ৬৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।৩ অর্থাৎ তার জন্ম ১৭৮৫ সালে। অন্যদিকে সুধীর চক্রবর্তী হাড়িরামের জন্ম সাল উল্লেখ করেন ১৮২৫ সাল এবং মৃত্যু ১৮৯০ সাল।৪ সুধীর চক্রবর্তীর মতটিই গ্রহণ করেন গবেষক যতীন সরকার। তিনি বলেন, ‘বলরাম হাড়ির মারা যান পঁয়ষট্টি বছর বয়সে ১৮৯০ সালে। ‘ ৫
ড. ওয়াকিল আহমদ হাড়িরামের জন্ম-মৃত্যু সাল উল্লেখ করেন, যথাক্রমে- ১৭৮০ ও ১৮৪৫ সাল। ৬ গবেষকদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলা যায় যে—বলরামহাড়ি আঠারো শতকের শেষের দিকে কোনো এক সময় জন্মগ্রহণ করেন। মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার হাড়িরাম ভক্তরা মনে করেন, হাড়িরামের আবির্ভাব কোনো ক্রমে দুই শত বছরের নিচে নয়। বরং আড়াইশ বছরের কাছাকাছি। মেহেরপুর-কুষ্টিয়ায় সেই সময় ‘বলরামহাড়ি অত্যন্ত জনপ্রিয়, এতটাই জনপ্রিয় যে, তার সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ শুনেছেন এবং হাড়িরামের ভক্তদের লক্ষ করে তিনি গেয়েছেন—‘কোন বলরামের আমি চেলা।’
লালন শাহ ও বলরামহাড়ি সমসাময়িক। ভক্তদের বক্তব্যকে প্রাধান্য দিলে তার আবির্ভাবকাল দাঁড়ায় ১৮০০ শতকের আগে কোনো এক সময়। ফলে অক্ষয় কুমারদত্ত, প্রমথনাথ বোস ও ওয়াকিল আহমদের সিদ্ধান্তই প্রণিধানযোগ্য হয়ে ওঠে। যেহেতু আজ পর্যন্ত বলাহাড়ি সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনো লিখিত পুস্তক বা দলিল পাওয়া যায়নি। তাই তার জন্ম-মৃত্যুর সময় নিয়ে মতভেদ থেকেই যায়। তবে যে জমিদারের বাড়ির আনন্দবিহারী দেবায়তনের দারোয়ানের কাজ করতেন তিনি, তারা মেহেরপুরের মল্লিক জমিদার নামে সমধিক পরিচিত। সেই সময় কুষ্টিয়া মেহেরপুর অঞ্চল দুটি জমিদারির আওতায় ছিল। একটি মল্লিক জমিদারি অন্যটি মুখার্জীদের জমিদারি।
বাংলাকে নীলচাষের আওতাভুক্ত করা হয় ১৮১৫ সালে। সেই সময় এই জমিদারদের মেহেরপুরে খুব প্রভাব ছিল। তাদের মধ্যে মুখার্জী জমিদারদের প্রতাপ প্রতিপত্তি সর্বাধিক। বলরাম যুবককালে স্থানীয় জমিদার পদ্মলোচন মল্লিকের অধীনে চৌকিদারের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এই জনশ্রুতি ছাড়া আর কোনো ইতিহাস বলরামের সম্পর্কে জানা যায় না। এদিকে মেহেরপুরের পদ্মলোচন মল্লিক সম্পর্কেও খুব বেশি উল্লেখ নেই ইতিহাসে। নদীয়া কাহিনীর গ্রন্থকার জানান—মেহেরপুরে যখন মুখোপাধ্যায় বংশের দোর্দাণ্ড প্রতাপ, তখন অন্যতম জমিদার কৃষ্ণকান্ত মল্লিক এসে মেহেরপুরে বাসস্থান নির্মাণ করেন। তার ছেলে নন্দকুমার লক্ষাধিক টাকার জমিদারি লাভ করেছিলেন। তার পাঁচ ছেলে ছিল। এরমধ্যে পঞ্চম ছেলের অকাল মৃত্যু হলে তিনি ছেলের নামে আনন্দবিহারী বিগ্রহ স্থাপন করেন।৭ এই বিগ্রহের অলঙ্কার চুরির দায় বর্তেছিল বলরামহাড়ির ওপর। নন্দকুমারের পুত্র নবকৃষ্ণ আর এই নবকৃষ্ণের পুত্র পদ্মলোচন। পদ্মলোচন কাশিমবাজারের কৃষ্ণনাথ কুমারে এস্টেটের কিছুদিন ম্যানেজার ছিলেন। এরপর তিনি মেহেরপুর চলে আসেন এবং নিজ এস্টেটের কাজ দেখভাল করেন।৮ পদ্মলোচনের ভাই কেশব বাবু অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে গৃহবিবাদ থেকে মামলা মোকদ্দমা হয়। এ সময় মকদ্দমায় পদ্মলোচনকে সাহায্য করেন প্রতাপশালী নীল কুঠিয়াল জেমস হিল।৯ অর্ধভূবনেশ্বরী রানী ভবানী (১৭১৬-১৭৯৫) যখন রাজপুর পরগণের অধিকারী হন তখন মেহেরপুর অঞ্চলেরও তিনি অধিশ্বরী হন। অবশেষে রানী ভবানীর হাত থেকে মেহেরপুর কাশিম বাজারধিপতি হরিণাথ কুমারের হাতে যায় এবং হরিনাথ পুত্র রাজা কৃষ্ণনাথ এই ডিহি মেহেরপুর জেমস হীলকে পত্তনি দেন। জেমস হীলের সাথে মেহেরপুরের প্রতাপশালী জমিদার মুখোপাধ্যায়দের তখন তুমুল বিরোধ। উল্লেখ্য যে, জেমস হীল মেহেরপুর পত্তনী নেন ১৮৪৯ সালে। এ সময় থেকে ১৮৫৩ সালের মধ্যে পুরো মেহেরপুর জেমস হীলের হস্তগত হয়।
এই সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের আলোকে মেহেরপুরের জমিদার পদ্মলোচনের কাল সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়। বলা যায়, পদ্মলোচন মল্লিক ও মেহেরপুরে অন্য জমিদার নবকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় বন্ধুস্থানীয়। তারা দুজনেই জেমস হীলের সময় বর্তমান। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—এই পদ্মলোচন মল্লিকের আমলেই বলরাম হাড়ি তার বাড়ির দারোয়ান নিযুক্ত হয়েছিলেন। সেই সময় বলরাম হাড়ি ছিলেন পূর্ণযৌবন প্রাপ্ত। কুমুদনাথ মল্লিকের ‘নদীয়া কাহিনী’তে পদ্মলোচন মল্লিকের আর কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। ধারণা করা যায়—তিনি ১৮০০সালে রানী ভবানীর মৃত্যুর আগেই জন্মগ্রহণ করেন,যখন মেহেরপুর নীল চাষের আওতামুক্ত ছিল। নীল চাষের যখন জমজমাট সেই সময় পদ্মলোচন তার বাবার এস্টেট দেখাশোনার জন্য মেহেরপুর আসেন। সেই সময় তিনি বলরামকে দারোয়ান নিযুক্ত করেন। সুধীর চক্রবর্তীর অনুমিত ১৮২৫ সালকে বলরামের জন্ম সাল ধরা হলে, জেমস হীলের পত্তনি লগ্নে বলরাম একেবারেই নাবলক ছিলেন।
এছাড়া বলরাম হাড়ি যদি এই সময়ে জন্মগ্রহণ করে থাকতেন, তাহলে জেমস হীলের কুখ্যাত নীল নির্যাতনের বিরুদ্ধে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে সক্ষম হতেন। কিন্তু মেহেরপুর যখন জেমস হীলের হস্তগত হয় ১৮৬০ সালে, তার আগেই ১৮৫০ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ফলে নীল চাষীদের যন্ত্রণার সঙ্গে অতটা যোগসূত্র স্থাপিত হয়নি বলরাম হাড়ির দর্শনে, যতটা হয়েছে ধর্মের বর্ণপ্রথা ও জমিদারদের শোষণের বিরুদ্ধে। অতএব, বলরাম হাড়ির জন্ম ১৭৮০ থেকে ১৮০০ সালের মধ্যে কোনো এক সময়, মৃত্যু ১৮৫০ সালে হওয়াই অধিকতর যুক্তিযুক্ত বলেই মনে হয়।
অক্ষয় কুমার দত্তের ‘ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়’ (প্রথম ভাগ) প্রকাশ পায় ১৮৭০ সালে। যদিও তার লেখাগুলোর অধিকাংশই থোরেস হেম্যান উইলসনের A Sketch on the Religious sects of the Hindus. (১৮৪৬) থেকে সংকলিত, তবু বলব, অক্ষয়কুমার দত্ত এতটা কাণ্ডজ্ঞানহীন লোক নন যে, যাচাই-বাছাই ছাড়াই বলরাম হাড়ি জীবিত থাকাকালেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করবেন!
১৮৪৬ সালে যখন হোরেসের বই প্রকাশি হয়, ধারণা করা যায় যে, সেখানে বলরাম হাড়ি সম্পর্কে তথ্য থাকলেও (যদি থাকে আমি এটি দেখেনি) বলরামের মৃত্যু সাল উল্লেখ থাকার কথা নয়। কেননা অক্ষয়কুমার ও সুধীর বাবু জানান, তিনি যথাক্রমে ১৮৫০ ও ১৮৯০ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
অক্ষয়কুমার দত্ত তার বইয়ের ভূমিকায় জানিয়েছিলেন যে, ‘আমি তাহার (হোরেসের সেই প্রবন্ধ, যা এশিয়াটিক রিসার্চেস পত্রিকায় ষোড়শ ও সপ্তদশ খণ্ড যথাক্রমে ১৮২৮ ও ১৮৩২ সালে বের হয়েছিল) অধিক অবলম্বন করিয়া বঙ্গালা ভাষায় পশ্চাৎ প্রস্তাবিত সম্প্রদায়সমূহের অনেকাংশের ইতিবৃত্ত সংকলন করিয়াছে। স্থানে স্থানে কিছু কিছু পরিবর্তন, পরিমার্জন ও সংযোজন করা হইয়াছে এ কথা বলাই বাহুল্য’১০ এই বক্তব্য থেকে এটা পরিষ্কারভাবে প্রতীয়মান হয় যে, বলরাম সম্পর্কে হোরেস বর্ণিত তথ্যে বলরাম হাড়ির মৃত্যু বিষয়ে উল্লেখ থাকার কথা নয়। অক্ষয়কুমার তার বইয়ে এ বিষয়ে সংযোজন করার প্রয়াস পান, যেহেতু তার বইটির প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৮৭০ সালে।
এদিকে প্রখ্যাত ভূ-তত্ত্ববিদ ও বিজ্ঞানী প্রমথনাথ বসু ১৮৯৪ সালে বলরামের মৃত্যু তারিখ সম্পর্কে বলেন—He died about A. D. 1850, When he was about sixty five years of age.১১ প্রমথনাথ বসু জন্মগ্রহণ করেন ১৮৫৫সালে এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৯৩৫ সালে। অক্ষয়কুমার দত্ত কর্তৃক নির্ধারিত বলরামের মৃত্যু দিনের প্রায় পাঁচ বছর পর তার জন্ম এবং সুধীর চক্রবর্তী কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের প্রায় ৪৫ বছর পর তার মৃত্যু। সুধীর চক্রবর্তী বলরামের মৃত্যুর তারিখ নির্ধারণ করেন ১৮৯০ সালে। আর প্রমথনাথ বসু এর চার বছর পর বলরামের মৃত্যু তারিখ উল্লেখ করে বলেন, He died about A. D. 1850. লক্ষ্য করুন, ১৮৯০সালে প্রমথনাথ বসুর বয়স ৩৫ বছর। বলরামহাড়ির মৃত্যু ১৮৯০ সালে হয়ে থাকলে প্রমথনাথ সে বিষয় জানবেন না, এমনটা হওয়ার কথা নয়। তাহলে কেন প্রমথনাথ বসু, সুধীর চক্রবর্তী কর্তৃক নির্ধারিত ১৮৯০ সালকে বলরামের মৃত্যু সাল বলে উল্লেখ করলেন না? যখন তিনি একেবারেই যৌক্তিক বয়সে উপনীত? অন্যদিকে কুমদনাথ মল্লিক তার ‘নদীয়া কাহিনী’তে বলরামের জন্ম সম্পর্কে বলেন, প্রবর্তক বলরামহাড়ি কিঞ্চিাধিক একশত বৎসর পূর্বে মেহেরপুর গ্রামের মালোপাড়ায় এক হাড়ির গৃহে জন্ম লাভ করিয়াছিলেন।’ তিনি তার মৃত্যু সাল উল্লেখ করেন ১২৫৭ বঙ্গাব্দে বা ১৮৫০ সালে।১২ কুমদনাথ এর নদীয়া কাহিনী প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১০ সালে, যার অনেক আগেই প্রকাশিত হয়েছে অক্ষয়কুমার ও হোরেসের বই।
আজ আর আমাদের পক্ষে বলরাম হাড়ির জন্ম-মৃত্যুদিনের যথাযথ হিসাব জানা সম্ভব নয়। সম্ভব নয় সঙ্গত কারণেই। বলরাম হাড়ির জীবদ্দশার সবচেয়ে কাছাকাছি সময়ের মানুষ অক্ষয়কুমার দত্ত ও প্রমথনাথ বসু। তাই বলরাম সম্পর্কে তাদের বর্ণিত জনশ্রুতি একশত বছর পরের গবেষকের হাতে প্রাপ্ত যেকোনো তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। ফলে আমরা মনে করি, বলরাম হাড়ির মৃত্যু সম্পর্কে দেওয়া অক্ষয়কুমার দত্ত ও প্রমথনাথ বসুর মন্তব্যই ঠিক। বলরাম হাড়ি ১৮৫০ সালে ৬৫ বছর বয়সেই মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র
০১। সুধীর চক্রবর্তী, গভীর নির্জন পথে, আনন্দদ পাবলিশার্স, কলকাতা- ষষ্ঠ মুদ্রণ-২০১২, পৃ. ৩৭
০২। অক্ষয়কুমার দত্ত, ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়, পৃ. ২০৭
০৩। অনুপম হীরা মণ্ডল, বাংলাদেশের লোকধর্ম দর্শন ও সমাজতত্ত্ব, বাংলা একাডেমি, পৃ. ১০৬
০৪। সুধীর চক্রবর্তী, গভীর নির্জন পথে, আনন্দদ পাবলিশার্স, পৃ. ৩৭ও ৪৩
০৫। যতীন সরকার, গণমুক্তি, নবম সংখ্যা, মার্চ ২০০৮,পৃষ্ঠা: ৪২
০৬। অনুপম হীরা মণ্ডল, প্রাগুক্ত, পৃ. ১০৬
০৭। কুমুদনাথ মল্লিক, নদীয়া কাহিনী, সম্পাদনা: বিলু কবীর গতিধারা, পৃ. ৩২৩
০৮। প্রাগুক্ত, পৃ. ৩২৪
০৯। প্রাগুক্ত, পৃ. ৩২৪
১০। প্রাগুক্ত, পৃ. ৯
১১। অনুমপ হীরা মন্ডল, প্রাগুক্ত, পৃ: ১০৬
১২ । প্রাগুক্ত, পৃ. ২৪১-৪২
চলবে…