॥পর্ব-৯॥
চা খেতে খেতে আরও গল্প হলো অনেক। আসর জমিয়ে রাখলেন ওসি সাহেব নিজেই। নিজের চাকরি জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে, যা মোকাবিলা করতে নাকি তার নাকের জল চোখের জল এক হয়েছে। তবে এ কেসটা অদ্ভুত। ব্যতিক্রমধর্মী। এমন একজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ রকম ন্যাক্কারজনক অভিযোগ আর কখনো আসেনি তার পুলিশি ক্যারিয়ারে।
কাজ শুরু করার আগে ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলা উচিত, মশি বলল।
ভিকটিমের কথা শুনে সব কিছু জেনে নিলে পরের কাজগুলো করতে সুবিধে হবে। কী বলেন, মোর্শেদ সাহেব?
হ্যাঁ, অবশ্যই। চলেন।
হাজতে নয়, থানা অফিসের লাগোয়া একটা কামরায় রাখা হয়েছে মেয়েটিকে। মশি আর গোলাম মোর্শেদ কামরার দরজার সামনে দাঁড়াতে একজন কনস্টেবল এসে দরজার তালা খুলে দিল। ভেতরে জড়োসড়ো ভাবে বসেছিল মেয়েটি। মশিদের দেখে আরও জড়োসড়ো হয়ে পড়ল। এরই মধ্যে এক পলকের জন্যে চোখ তুলল মশিদের দিকে। নিজের ভেতরে ধাক্কার মতো খেল মশি। শ্যামলা মেয়েটা। লম্বাটে মুখ। চোখদুটো অসম্ভব ডাগর। ওর মনে হলো, মেয়েটার চোখে জল টলমল করছে। আর লজ্জা পাচ্ছে সে।
গোলাম মোর্শেদই কথা বলল। মশিকে দেখিয়ে বলল, শোনো মেয়ে। ইনি খুব বড় একজন সাংবাদিক। তোমার কোনো ভয় নেই। যা ঘটেছে, সব পরিষ্কার করে বলো। সাংবাদিক পেপারে লিখবে। যে তোমার ওপর অত্যাচার করেছে, তার যাতে বিচার হয়, শাস্তি হয়, সে ব্যবস্থা করবে।
মেয়েটার মুখ দেখে মনে হলো, গোলাম মোর্শেদ ঠিক কী বলছে, বুঝতে পারছে না। চুপ করে রইল সে। ওসি ধমক দিয়ে বললেন, চুপ করে আছিস কেন? কী কয়, বুঝতে পারিস না? সাংবাদিকরে সব ভাইঙা ক। নইলে তরে একদম হাজতে ঢুকাইয়া দিমু। ঠিক কইরা ক, কী হইছিল? ওই ম্যাজিস্ট্রেট ব্যাটা তোর সাথে কী আকাম করতে চাইছিল? খবরদার! মিথ্যা কিছু কইবি না কইলাম।
ওসির হুমকিতে ভয় পেল মেয়েটা। আঁচলে চোখ মুছতে শুরু করল। তারপর হড়বড় করে যা বলল, তা হলো, সে প্রতিদিনের মতো ম্যাজিস্ট্রেট সাবের ঘরে কাম করতে গেছিল। কোনোদিন কিছু বলে না। কিন্তু আজ হঠাৎ ম্যাজিস্ট্রেট সাব তাকে জোর করে….কিন্তু সে ম্যাজিস্ট্রেট সাবকে ঠেলা মেরে ফেলে দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
মশি ব্যাপারটা বুঝে গেল। কিন্তু গোলাম মোর্শেদ অত সহজে বুঝতে চাইল না। বলল, ঠিক করে বল। তুই ম্যাজিস্ট্রেট সাবকে ধাক্কা মেরে বেরিয়ে গেলি! তোরে কিছুই করতে পারল না ব্যাটা?
না। মাথা নাড়ল মেয়েটা। ম্যাজিস্টর বুইড়া ব্যাটা। গতরে জোর নাই। আমার রাগ লাগছে। মামা ডাকতাম। হে কেমনে মামা অইয়া এমুন কাম করতে চায়। আমি চিল্লাইয়া উঠছি। সে ভয় পাইয়া গেছে। তারপর তারে ধাক্কা মাইরা দরজা খুইলা বাইর অইয়া আইছি।
তার মানে দরজা বন্ধ আছিল। আগে থাইকা। দরজা কে লাগাইছিল, তুই নাকি ম্যাজিস্ট্রেট সাব?
মেয়েটা কী বলবে, বুঝতে পারছে না। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল গোলাম মোর্শেদের দিকে।
মশির ভালো লাগছে না। মেয়েটার কথায় মনে হচ্ছে, সে ম্যাজিস্ট্রেটের ধর্ষণ প্রচেষ্টার শিকার হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেকে বাঁচাতে সক্ষম হয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ওকে কেন থানায় এনে আটকে রাখা হয়েছে বুঝতে পারছে না।
গোলাম মোর্শেদ আবার তাকে প্রশ্ন করতে যাচ্ছিল। কিন্তু মশি তার আগে বলল, কিন্তু তোমাকে থানায় এনে আটকে রেখেছে কেন? তোমার কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো দোষ তোমার নয়।
মেয়েটি চুপ করে রইল। মশি এবার ওসির দিকে চাইল। ওসি বললেন, বুঝলেন না। স্রেফে নিরাপত্তার জন্যে। এই মেয়ে বাইরে থাকলে নানাজনের অকথা কুকথা শুনবে। তার চেয়ে এই ভাল। ব্যাপারটার একটা মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত তাকে আমার হেফাজতে নিয়ে এসেছি।
মা-বাবা নেই? অভিভাবক?
থাকবে না কেন? মা-বাবা, ভাই সবই আছে। দুই ভাই নিজেদের বউ নিয়ে আলাদা। বুড়া মা-বাবার সাথে থাকে মেয়েটা। ময়মনসিংহ থেকে আসা সেটলার।
ওসিকে বুঝতে পারছে না মশি। লোকটার কথায় একধরনের যুক্তি আছে। এধরনের ক্ষেত্রে মেয়েরা সত্যি অসহায়। ধর্ষক পুরুষ লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে হাঁটতে পারে রাস্তায়। কিন্তু ধর্ষিতা কিংবা ধর্ষণচেষ্টার শিকার মেয়েরা লজ্জায় মাথা তুলতে পারে না। আত্মীয়-অনাত্মীয় নির্বিশেষে মানসিক নিপীড়নের শিকার হতে হয় তাদের। তাদের দিকে কুৎসিত আদিরসাত্মক দৃষ্টিতে তাকানোর অলিখিত অধিকার যেন পেয়ে যায় কিছু মানুষ। ভেবে বসে, যেন হাত বাড়ালেই পাওয়া যাবে ধর্ষণের শিকার নারীটিকে।
ওসিসহ ফের তার অফিসে গিয়ে বসল মশি। গোলাম মোর্শেদ বলল, আপনি তো কিছুই জানতে চাইলেন না ভিকটিমের কাছে। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ডিটেলস জেনে নেওয়া দরকার ছিল। ব্যাপারটা এমনও তো হতে পারে যে, একজন সম্মানিত বয়স্ক ম্যাজিস্ট্রেটকে চাপে ফেলে কিছু টাকা-পয়সা হাতানোর জন্যে মেয়েটা ধর্ষণ নাটকের সিকোয়েন্স সাজানোর চেষ্টা করেছে। আপনি কী বলেন, ওসি সাহেব?
ওসি কিছু বলার আগে মশি বলল, নাটক বলুন আর যা-ই বলুন, ব্যাপারটা প্রমাণের অবকাশ রাখে। কিন্তু যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে সম্ভবত ওসি সাহেব এখনো কিছু বলেননি। ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবকে কি থানায় নিয়ে আসা উচিত ছিল না, ওসি সাহেব?
আড়মোড়া ভেঙে সিধে হয়ে বসলেন ওসি। এমনভাবে হাসলেন, যেন মশি নেহাত বেকুবের মতো একটা কথা বলেছে। জবাবটা মশিকে না দিয়ে গোলাম মোর্শেদকে দিলেন। মোর্শেদ সাহেব, একজন দায়িদ্বশীল সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে কেউ অভিযোগ করলেই তাকে থানায় নিয়ে আসা যায় না। আপনার সাংবাদিকের তা বোধ হয় জানা নেই। তার উচিত, এসব ব্যাপারে রিপোর্ট লিখতে গেলে আগে একটু হোমওয়ার্ক করে নেওয়া। যাহোক, তবু যখন তিনি প্রশ্নটা তুলেছেন, তখন কেবল এটাই বলব, আমরা এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাইনি। পেলে বিবেচনা করা হবে।
কী বলবে, বুঝতে পারছে না মশি। ওসি সাহেব আইন নিশ্চয় বোঝেন। মশি এসব ব্যাপার অতটা বোঝে না। গোলাম মোর্শেদ হুঁশিয়ার লোক। ওসির কথায় সায় দিল হে হে করে হেসে। তারপর মশির দিকে চাইল, চলেন ভাই। সাংবাদিকের কাজ হলো ঘটনাটা দেখা এবং সেটা লেখা। এখানকার আইনশৃঙ্খলা দেখার দায়িত্ব ওসি সাহেবের। সেটা তিনি কিভাবে সামলাবেন, তার ব্যাপার। চলেন, আমরা উঠি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তার স্টেটমেন্ট নিতে হবে। চলেন চলেন।
ঠিক এসময় বাইরে হৈ চৈ-এর শব্দ শোনা গেল। বেশ কিছু নারী আর পুরুষের মিলিত কণ্ঠের আওয়াজ শুনে সচকিত হয়ে উঠলেন ওসি। একটু পরেই তার অফিসের সামনে এসে দাঁড়াল পঞ্চাশ ষাটজনের একটি দল। সবার সামনে একটি মেয়ে। বয়স ত্রিশের মতো। সঙ্গে আসা নারী-পুরুষদের নেতৃত্ব দিচ্ছে। মেয়েটা সবাইকে চুপচাপ থাকতে নির্দেশ দিল। তারপর নিজে এসে অফিসে ঢুকল। সালাম দিল ওসিকে। ওসি কিছু বলার আগে মৃদু বিনীত স্বরে বলল, ওসি সাহেব, আমরা আপনার অফিসে আটক মেয়েটাকে নিয়ে যেতে এসেছি। দয়া করে ওকে আমাদের সঙ্গে যেতে দিন।
যেতে দেব মানে? খেঁকিয়ে উঠল ওসি, কে তুমি? এদের কেন নিয়ে এসেছ?
আমি এদের নিয়ে আসিনি। এরা নিজেরাই আমার সঙ্গে এসেছে। আর একটা কথা, আপনি আমাকে তুমি করে বলবেন না। আপনি করে বলবেন। আমি রানী নীহারদেবী হাই স্কুলের একজন শিক্ষিকা। একজন শিক্ষিকা ও ভদ্রমহিলা হিসেবে নিশ্চয় আপনার কাছ থেকে সৌজন্যমূলক সম্বোধন আশা করতে পারি। কী বলেন?
ওসির মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে, মেয়েটির কথায় রেগে গেছেন। একজন ওসি হিসেবে ধমকে কথা বলার অধিকার তার আছে। সেভাবেই শুরু করেছিল। কিন্তু মেয়েটির দৃঢ় গলার স্বর ও কথায় যুক্তি তাকে মত পাল্টাতে বাধ্য করল। গোমড়ামুখে বললেন, আচ্ছা, আপনি টিচার। কিন্তু একজন শিক্ষক হিসেবে আপনার জানা উচিত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করে, এমন মানুষদের কাজে বিঘ্ন ঘটে এমন কিছু করা উচিত নয়। এলাকায় বেআইনি কিছু হলে সেটা দেখার দায়িত্ব পুলিশের। আপনি পুলিশের কাজে বাধা দিতে এসেছেন। আপনাকে আমি এক্ষুণি সঙ্গে করে যাদের নিয়ে এসেছেন, তাদের নিয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। নইলে থানায় এসে শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে আটক করে রাখতে পারি।
মেয়েটি হাসল। আমিও বিশ্বাস করি, আপনি সেটা পারবেন। তবে এও জানি, আপনি একজন প্রাজ্ঞ পুলিশ অফিসার। সেটা আপনি করবেন না। কারণ আপনি যেসব কারণের কথা বলে আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন, সেসব প্রমাণ করা আপনার পক্ষে সম্ভব হবে না। আপনি বরং মেয়েটাকে আমাদের সঙ্গে যেতে দিন। আমি একজন নারী। একজন নারী হিসেবে কখনো চাইব না, একজন নারীকে পুলিশ বিনা কারণে থানায় আটকে রাখুক।
কে বলল আপনাকে বিনা কারণে আটকে রাখা হয়েছে? মেয়েটির নিরাপত্তার জন্যেই তাকে থানার হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে।
এবার মেয়েটি হাসল। আপনি খুব ভালো কাজ করেছেন। আমিও বুঝি, বাইরে থাকলে এতক্ষণে অনেক মানুষের নোংরা কৌতূহলের যন্ত্রণায় মেয়েটার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠত। একজন দায়িত্বশীল অফিসারের কাজ করেছেন আপনি। আপনাকে আমরা এখানে যারা এসেছি, সবার তরফ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
চুপ করে রইলেন ওসি। ভাবছে। কিন্তু গোলাম মোর্শেদের মুখ দেখে মনে হচ্ছে, ব্যাপারটা তার পছন্দ হচ্ছে না। বলল, কিন্তু আপনি বললেই তো আর তাকে ছেড়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এটা একটা রেপ কেস। একজন সরকারি কর্মকর্তা দায়ী এর জন্যে…
তাহলে সে সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করছেন না কেন? দোষী তো উনিই। একটু থামল মেয়েটা। মৃদু হাসল, সেটা আপনার ওসি সাহেব নিশ্চয় ভালো বলতে পারবেন। তবে আমাদের তরফ থেকে কোনো অভিযোগ থাকবে না। মেয়েটা নিজেই করবে না অভিযোগ। ওসি সাহেব চাইলে ঘটনাকে এখানেই ধামাচাপা দিতে পারেন।
সেটা সম্ভব নয়, মাথা নাড়ল গোলাম মোর্শেদ। থানাপুলিশ হয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকার রিপোর্টার এসেছে। তারা নিউজ করবে।
নিউজ করবেন ভালো কথা। কিন্তু সে জন্যে ভিকটিমকে থানায় আটকে রাখতে হবে কেন?
মশি তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে। কালো একটা বোরকা পরনে মেয়েটার। মাথায় হিজাব। শুধু মুখটা অনাবৃত। শুদ্ধ বাংলায় কথা বলছে। মুখের গড়নটা কেন যেন পরিচিত লাগছে ওর। কোথাও কি দেখেছিল মেয়েটাকে? ওর পরিচিত কারও মুখের সঙ্গে যেন মিলে যাচ্ছে। তবে পরিচিত কোনো মেয়ের মুখের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছে না। তাহলে এরকম লাগছে কেন?
মানুষের একের সঙ্গে অন্যের চেহারার মিল থাকে না। জমজদের ক্ষেত্রে অবশ্য মাঝে মাঝে চেহারার মিল দেখা যায়। তবে মশি একটা জিনিস খেয়াল করেছে, মানুষের চেহারার মিল না থাকলেও এক ধরনের একটা মিল দেখা যায়। সেটা হলো, চেহারার কাঠামোগত মিল। কিছু মানুষের কপাল থাকে উঁচু, মুখটা লম্বাটে হয়ে নেমে আসে চিবুকের দিকে। আবার কিছু মানুষের প্রশস্ত কপাল, পানপাতার মতো মুখ। এটা কোনো বিশেষ মিল নয়। এসব সাধারণ মিল। সব মানুষকে এধরনের কাঠামোগত মিলে ফেলা যায়। এ মেয়েটার মুখ লম্বাটে, কপাল প্রশস্ত আর নাক মোটামুটি খাড়া। মশির পরিচিত মেয়েদের মধ্যে নিশ্চয় এ ধরনের কেউ আছে। তাই একে পরিচিত লাগছে ওর।
ওসি সাহেব কথা বলছেন, তাহলে ভিকটিমের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই?
না, মেয়েটার মা-বাবা আছেন এখানে। আপনি চাইলে তাদের ডাকতে পারি। তবে মেয়েটার বয়স আঠারোর বেশি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেয়েটি নিজে অভিযোগ আনতে না চাইলে মা-বাবার মতের দরকার হবে না।
গোলাম মোর্শেদের মুখ কালো। ব্যাপারটা তার পছন্দ হচ্ছে না, কিন্তু ওসি সাহেব, এভাবে তো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক হচ্ছে না। ভিকটিম যদি অভিযোগ না আনে, তাহলে বুঝতে হবে, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে। তাছাড়া এটা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল।
মেয়েটি বলল, বেশ অভিযোগ আনা না আনার ব্যাপারটা পরে বিবেচনা করা যাবে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা ভিকটিমকে নিয়ে যেতে এসেছি। ওর দেখাশোনা ওর অভিভাবকরাই করবেন। থানায় ওকে আটকে রাখার কোনো কারণ নেই। কী বলেন, ওসি সাহেব? আমি কি ভুল বলছি?
চলবে…