০১.
তুমি, সেই সুমিষ্ট আঙুর ফল
আলপ্স পর্বতমালার
মদ
আমি খাই—
তোমাকে—প্যারিস, স্পেন, ইটালি ও অস্ট্রিয়া।
কেননা, আমার কোনো দেশ নাই
আমি তরল পদার্থ
রং বদলাই।
তুমি আমাকে খাও।
আমরা পরস্পর খাওয়া-দাওয়া করি।
তুমি মদ, সুমিষ্ট আঙুরফল
আমি খাই
বাংলা। অ-বাংলা।
নির্বিশেষ প্রেমে-অপ্রেমে!
০২.
তোমাকে প্রেম করি।
তুমি স্বচ্ছ
কচুপাতায় জলের মতন!
তুমি স্বাধীন।
বসন্তদিনের সমান।
সুতীব্র, উষ্ণ, ঘ্রাণময়।
তোমাকে ভাবি, ভাব করি, চুমু খাই
ওষ্ঠে লালা আসে, লাবণ্য ছড়ায়
সূর্য ও সুঘ্রাণ।
তোমাকে প্রেম করি—
বাতাসে ওড়াই তৃষ্ণা
জরজর বেদনা
পরাধীন লতিকার মতো
বেহাল দশায়
ভাব করি তোমাকে!
ভাবি, সুহালে—রঙিন, বহুবর্ণ
তৃষ্ণায়, বিতৃষ্ণায়—
০৩.
অবিশ্বস্ত প্রেমিকার মায়ার মতো
দীর্ঘ টানা বরষা
তোমাকে ভাসিয়ে নে’ গহন বিষাদের স্রোতে
স্রোতমাত্র কলিজার কাচা কাচা
রক্ত ও আর্তনাদ
ফেনার আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা প্রেম—
প্রেমমাত্র বিভীষিকা—দহনের রঙ।
রঙ খেলে খেলে আমরা
মেঘ ও বৃষ্টি দেখি
অবুঝ সন্ধ্যার গরিমায় একাকীত্ব দেখি।
গরিমাকাতর প্রেমিকাদের মন ভালো নয়
বৃষ্টি এলেও ভিজতে জানে না
সামান্য হাওয়ায় মুখ বেঁকে যায়
আর আমাদের পাড়ারা ফোটে ওঠে
কোলাহলময় ভিড়ে
নীড়ে ফেরার আগে
কারও ঘর থাকে না—
আমাদের শত শত ঘর ও মন-মন্দির পুড়ে ছাই
সমস্ত আকাশ নেমে এসে আজ বুকেতে বাঁধাই হয়ে আছে
বৃষ্টিপতনের সাথে।
পতন ভালোবেসে
তোমাকে দেখে দেখে আনতকাল
কাটাতে চাই মায়ার আশ্রমে
আগুনের রং মেখে।
আগুন প্রেম হয়
তুমি কুহকময়
ছায়ামাত্র—
বিভ্রম।